উত্তর : উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যা এবং বিজ্ঞানের ব্যাখ্যার মধ্যে কোন বিরোধ নেই। কারণ দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতারা বিচ্ছিন্ন মেঘমালাকে একত্রিত করার জন্য আগুনের চাবুক দিয়ে আঘাত করে তখন যে চার্জ সৃষ্টি হয় তাতেই গর্জন ও আলো বিচ্ছুরিত হয়। আবার ফেরেশতারা যখন মেঘমালাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তাড়িয়ে নিয়ে যায়, তখনও তাদের হাতে থাকা চাবুক দিয়ে আঘাত করে। ফলে বিপরীতধর্মী চার্জ সৃষ্টি হয় এবং তাতেই বজ্রপাত এবং আলো বিচ্ছুরিত হয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ২৪/২৬৩-৬৪ ; মিরআত ৫/২০৭; মিরক্বাত ৩/১১১৯)। আলোর গতি তুলনামূলক বেশী হওয়ায় পৃথিবীতে আলোর আগমন ঘটে আগে এবং শব্দের আগমন ঘটে পরে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, মেঘমালাকে হাঁকিয়ে নেয়ার জন্য ফেরেশতাদের একজন নিয়োজিত আছে। তার সাথে রয়েছে আগুনের চাবুক। এর সাহায্যে সে মেঘমালাকে সেদিকে পরিচালনা করে, যেদিকে আল্লাহ তা‘আলা চান। তারা বলল, আমরা যে গর্জন শুনতে পাই তার তাৎপর্য কি? রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটা হচ্ছে ফেরেশতার মেঘমালাকে আঘাত করে তাড়ানোর গর্জন। এভাবে আঘাত করে সে মেঘমালাকে তার নির্দেশিত স্থানে তাড়িয়ে নিয়ে যায় (তিরমিযী হা/৩১১৭; ছহীহাহ হা/১৮৭২)। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, বজ্রধ্বনি সৃষ্টিকারী হ’লেন একজন ফেরেশতা। তিনি মেঘমালাকে হাঁকিয়ে নিয়ে যান, যেমন রাখাল তার মেষপালকে হাঁকিয়ে নিয়ে যায় (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৭২২)

প্রশ্নকারী : রেযওয়ানুল হকলাকসামকুমিল্লা।







বিষয়সমূহ: সৃষ্টিজগৎ
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : বনু ইস্রাঈলের এক আবেদ ব্যক্তিকে বলা হ’ল তুমি আল্লাহর রহমতে জান্নাতে যাবে। তখন সে বলল, আমি আমার আমলের বিনিময়ে জান্নাতে যেতে চাই। তাকে পুনরায় একই কথা বলা হ’লে সে আবারও বলল, আমার আমলের বিনিময়েই জান্নাতে যেতে চাই। তখন আল্লাহ ফেরেশতাগণকে বললেন, তোমরা আমার দেওয়া নে‘মত এক পাল্লায় এবং তার আমলসমূহ এক পাল্লায় রেখে পরিমাপ কর। তখন কেবল চক্ষুর নে‘মত এত ভারী হয়ে গেল যে, তা তার ৫০০ বছরের ইবাদতকে ছেয়ে ফেলল। তখন সে বুঝতে পারল এবং আল্লাহর রহমতেই জান্নাতে প্রবেশ করতে চাইল। হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (২০/১৮০) : রাসূল (ছাঃ)-এর কবরকে রওযা বা মাযার বলা যাবে কি? - -তাওহীদুল ইসলামরহনপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৭/১৭) : দেশের মধ্যে অন্য কোন স্থানে বা বিদেশে চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সংবাদ পেলে সূর্য গ্রহণের ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -মাহমূদ, মধ্য বাসাবো, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৬/৩১৬) : জনৈক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ঈমানকে মাখলূক বললে কাফির হবে’। এ ব্যাপারে আমাদের আক্বীদা কেমন হবে? অন্তরের বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি ও কর্মে বাস্তাবায়ন এগুলো কী মাখলূক?
প্রশ্ন (২০/২০): কোন মানুষের নাম তাকে অপমান করার জন্য বিকৃত করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫) : রাসূল (ছাঃ) বলেন, ছোঁয়াচে কোন রোগ নেই। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, বসন্ত, চোখ ওঠা ইত্যাদি ছোঁয়াচে রোগ। উভয়ের মধ্যে সমন্বয় কি? - -তানভীর, উত্তরা, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : ক্বাযা ছালাত আদায় করার সময় সুন্নাত আদায় করতে হবে কি? উক্ত সুন্নাত না পড়লে কি গোনাহ আছে?
প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : রাসূল (ছাঃ) কাফেরদের সাথে হুদায়বিয়ায় যে সন্ধি করেছিলেন তা কি আপোষমূলক ছিল? এখনো কি বাতিলদের সাথে আপোষ করা যাবে?
প্রশ্ন (৩৮/৪৩৮) : ফিতরা সম্পর্কে সঠিক মাসআলা না জানার কারণে জনৈক ব্যক্তি ফিতরা আদায় করেনি। এক্ষণে রামাযানের পর তা আদায় করা যাবে কি? এর জন্য কোন কাফফারা দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (৪০/১২০) : সর্বপ্রথম জানাযার ছালাত শুরু করেন কে? মৃত ব্যক্তি ছিলেন কে?
প্রশ্ন (২৬/৩০৬) : ইলেকট্রিক র‌্যাকেট দিয়ে মশা মারার বিধান কি? ছহীহ হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন। - রফীকা, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১২/৯২) : যে মসজিদের জমি ওয়াকফকৃত নয়, সে মসজিদে ছালাত আদায় জায়েয হবে কি? - -প্রফেসর এম. মনযূর আলমরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও
আরও
.