উত্তর : স্বামীর শরী‘আতসম্মত যেকোন নির্দেশ মেনে চলা স্ত্রীর জন্য আবশ্যক (নিসা ৪/৩৩, তিরমিযী হা/১১৫৯; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৩২৪৬, ৩২৫৭)।
তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্ত্রী যদি সত্যিই প্রয়োজন বোধ করে এবং
মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও পূর্ণ পর্দার পরিবেশ আছে বলে নিশ্চিত হয়,
তবে স্বামীকে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করবে। এরপরও সম্মতি না পেলে অল্পে
তুষ্ট থাকতে হবে এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে যে,
ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী এমন কোন প্রাণী নেই যার রিযিকের যিম্মা আল্লাহ নেননি (হূদ ১১/৬)।
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য রাস্তা খুলে
দেন এবং তাকে রূযী দান করেন এমন উৎস হ’তে যে বিষয়ে তার কোনরূপ পূর্ব ধারণা
ছিল না’ (তালাক ৬৫/২-৩)। এ বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর শিখানো দো‘আটি
নিয়মিত পাঠ করতে হবে- আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান নাফি‘আ, ওয়া
‘আমালাম মুতাক্বাববালা, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়েবা (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট
উপকারী ইলম, কবুলযোগ্য আমল ও পবিত্র রূযী প্রার্থনা করছি’) (ইবনু মাজাহ হা/৯২৫, মিশকাত হা/২৪৯৮)।
আর স্বামীকে স্মরণ রাখতে হবে যে, তিনি স্ত্রী-সন্তানদের ভরণ-পোষণ করার ব্যাপারে দায়িত্বশীল। বৈধভাবে এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হ’লে স্বামীকে ক্বিয়ামতের দিন জবাবদিহি করতে হবে (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৬৮৫)। রাসূল (ছাঃ) স্বামীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যা খাও এবং পরিধান কর, স্ত্রীদেরকে তা খাওয়াও এবং পরিধান করাও। তাদেরকে প্রহার করো না এবং তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করো না’ (আবুদাঊদ হা/২১৪৪)। অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) পরিবারের জন্য ব্যয়কে সর্বোত্তম ব্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন (মুসলিম হা/৯৯৪, মিশকাত হা/১৯৩২)।