উত্তর : যদি কোন পাপী মুসলমান শিরক ও কুফর থেকে বিরত থেকে ঈমানের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে (বাক্বারাহ ২১৭, মায়েদা ৭২) এবং বান্দার হক্ব নষ্ট না করে (বুখারী, মিশকাত হা/৫১২৬)। সাথে সাথে সে পাপ থেকে খালেছ নিয়তে তওবা করে, তবে আল্লাহর অনুগ্রহে সে নিষ্পাপ অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে (ফুরক্বান ৭০)। আর যদি তওবা না করে মৃত্যুবরণ করে, তবে সেক্ষেত্রে ৩টি অবস্থা হতে পারে- হয় পাপের পাল্লা হালকা হওয়ার কারণে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সে পাপের শাস্তি ভোগ না করেই জান্নাতে প্রবেশ করবে (আ‘রাফ ৮) অথবা পাপ ও পুণ্য সমান হওয়ার কারণে জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী স্থানে আল্লাহর অনুগ্রহের অপেক্ষায় থাকবে (আ‘রাফ ৪৬-৪৯), নতুবা পাপের পাল্লা পুণ্যের চেয়ে ভারী হওয়ার কারণে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে এবং পাপ অনুযায়ী নির্ধারিত শাস্তি ভোগের পর রাসূল (ছাঃ), অন্যান্য নবী-রাসূল, ফেরেশতা এবং মুমিনগণের সুফারিশে জান্নাতে প্রবেশ করবে (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫৭৯)

আর কুরআনের বর্ণনায় সুস্পষ্ট হয় যে, পুণ্যের পাল্লা ভারি হলে মানুষ তার পাপ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হবে এবং সরাসরি জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ লাভ করবে (আ‘রাফ ৮, ক্বারি‘আহ ৬-৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বান্দাকে তাঁর নিকটবর্তী করবেন এবং তার কৃত পাপসমূহ তার সামনে পেশ করবেন, যা তিনি দুনিয়াতে গোপন করে রেখেছিলেন। তারপর বলবেন, তুমি কি তোমার অমুক পাপটি চিনতে পারছ? অমুক পাপটি চিনতে পারছ? তখন সে একে একে সব অপরাধ স্বীকার করতে থাকবে এবং ধ্বংস হওয়ার আশংকায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তখন আল্লাহ বলবেন, আমি দুনিয়ায় তোমার অপরাধ গোপন রেখেছিলাম, আর আজ তা ক্ষমা করে দিলাম (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫৫৫১)। 






প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : মাসিক আত-তাহরীক ১১তম বর্ষ অক্টোবর’০৭ সংখ্যার ৩০/৩০নং প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে ইমাম ডানে সালাম ফিরালে মাসবূক অবশিষ্ট ছালাত আদায়ের জন্য দাঁড়াবে। কিন্তু ১৩তম বর্ষ এপ্রিল’১০ সংখ্যার ১৪/২৫৪নং প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে দুই সালামের পর মাসবূক দাঁড়াবে। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : মাসবূক মুছল্লী ইমামের এক সালামের পর দাঁড়াবে না দুই সালামের পর দাঁড়াবে?
প্রশ্ন (১/৪১) : এশার পর দাওয়াতী কাজ, পড়াশুনা ইত্যাদি শেষ করতে আমার রাত ২-টা বেজে যায়। ফলে সকাল ৭-৮ টার আগে ঘুম ভাঙ্গে না। আমি শুনেছি সকালে যখনই ঘুম ভাঙবে তখন ফজরের ছালাত আদায় করলেই যথেষ্ট হবে। আমি সেটাই করি। এক্ষণে এটা নিয়মিত করা জায়েয হবে কি? - -তাইফুল ইসলাম, বদরগঞ্জ, রংপুর।
প্রশ্ন (২১/৩৬১) : আমি ছালাত, ছিয়াম সহ নিয়মিত সৎআমলে অভ্যস্ত। কিন্তু কিছুদিন থেকে হস্তমৈথুনে জড়িয়ে পড়েছি। কোনভাবেই এথেকে বিরত থাকতে পারছি না। এর বিধান কি এবং এথেকে বাঁচার জন্য কোন আমল বা দো‘আ আছে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ফুলবাড়ী, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (৪/২০৪) : জনৈকা মহিলা তার বর্তমান স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে পূর্বের প্রেমিককে বিবাহ করতে চায়। এক্ষণে বর্তমান স্বামীকে ত্যাগ করে নতুন বিবাহের ক্ষেত্রে শরী‘আতের নির্দেশনা কি?
প্রশ্ন (৬/১২৬) : চুরি, মদ্যপান, জুয়া খেলা ও মিথ্যা কথা বলায় অভ্যস্ত জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এসে তওবা করতে চাইলে তিনি তাকে কেবল মিথ্যা বলা থেকে নিষেধ করেন। লোকটি তা মেনে নিয়ে বাকী তিনটি কাজ করতে চায়। কিন্তু সত্য কথা বলতে গিয়ে পর্যায়ক্রমে সে বাকী কাজগুলি থেকে তওবা করতে বাধ্য হয়। এ কাহিনীটির কোন সত্যতা আছে কি? - -মোবারক, পীরগঞ্জ, রংপুর।
প্রশ্ন (২০/১৮০) : মাইয়েতকে দাফন করার পর লাশ যাতে শিয়াল-কুকুরে তুলে না ফেলে এজন্য লোহার খাঁচা বা প্লাস্টিক জাতীয় কিছু কবরের উপরে দেওয়া যাবে কি? - -আকীমুল ইসলাম, জোতপাড়া, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (২/২৮২) : ‘হিন্দুস্থানে একটি যুদ্ধ হবে এবং সেখানে শাহাদতবরণকারীগণ জান্নাতে যাবে’ মর্মের বর্ণনাটির কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : আমাদের এলাকায় প্রায় মসজিদের ইমামগণ ছালাত শেষে মুছল্লীদেরকে নিয়ে গোল হয়ে বসেন। বিভিন্ন রকমের দরূদ পড়ে থাকেন। যেমন- বালাগাল উলা, ছাল্লাল্লাহু, ইয়া মুহাম্মাদ, ইয়া রাসূলুল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ইত্যাদি। এসব দরূদ পড়া কি জায়েয।
প্রশ্ন (১/২৮১) : জনৈক লেখক বলেন যে, বাঁশির শব্দে ইবনু ওমর (রাঃ) কানে আঙ্গুল দেয়াতে গান হারাম হয়েছে তা বলা যায় না (সৌভাগ্যের পরশমণি)। আবার রাসূল (ছাঃ) নিজে কানে আঙ্গুল দিয়েছিলেন কিন্তু ইবনু ওমর (রাঃ)-কে তা করতে বলেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খলীফাদের যুগে বাদ্যযন্ত্র ও গান নিষেধ ছিল না; বরং তা উপভোগ করা হত (তাবারী)। তিনি আরো বলেন, কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যা গানকে হারাম করে। তাই ইবনে হাজার, ইবনু খাল্লিকান, জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী, গাযালী প্রমুখ বিদ্বানদের মতে বাদ্যযন্ত্রসহ গান শোনা বৈধ। যদি তা সৎ উদ্দেশ্যে এবং কল্যাণকর কথা হয়। উক্ত দাবীগুলো কি সত্য? সৌভাগ্যের পরশমণি’ এবং ‘এহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ বইগুলো কি গ্রহণযোগ্য?
প্রশ্ন (৫/৩৬৫) : ট্রাফিক জ্যামের কারণে অধিকাংশ সময় মাগরিবের ছালাত সঠিক সময়ে আদায় করতে না পারায় আছরের সাথে মাগরিবের ছালাত আদায় করি। এটা সঠিক হবে কি?
প্রশ্ন (১৬/১৭৬) : ছালাতরত অবস্থায় পিতা-মাতা ডাক দিলে সেক্ষেত্রে করণীয় কি?
আরও
আরও
.