উত্তর : আয়াতটির
অনুবাদ হ’ল, ‘হে আহলে কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমাদের রাসূল এসেছেন, যিনি
বহু বিষয় তোমাদের সামনে বিবৃত করেন, যেসব বিষয় তোমরা তোমাদের কিতাব থেকে
গোপন কর। আরও বহু বিষয় তিনি এড়িয়ে যান (অর্থাৎ প্রকাশ করেন না)। বস্ত্ততঃ
তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হ’তে এসেছে একটি জ্যোতি ও আলোকময় গ্রন্থ’।
উক্ত আয়াতে ‘নূর’ দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হ’তে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘কিতাবুম মুবীন’ (كتابٌ مبينٌ) ‘নূর’ (نُوْرٌ)-এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের নিকট আল্লাহর নিকট থেকে এসেছে একটি জ্যোতি ও সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’ (মায়েদাহ ১৫)। যেমন ইতিপূর্বে সূরা নিসা ১৭৪-৭৫ আয়াতে بُرْهَانٌ ও نُورًا مُبِينًا বলে কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অমনিভাবে সূরা আ‘রাফ ১৫৭ আয়াতের কুরআনকে ‘নূর’ বলা হয়েছে (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য আত-তাহরীক, আগস্ট’১১ প্রশ্নোত্তর নং ৭/৪০৭)।
উল্লেখ্য যে, اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেন’ বলে যে হাদীছ প্রচলিত আছে তা জাল (আজলূনী, কাশফুল খাফা হা/৮২৭; ছহীহাহ হা/৪৫৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নূরের তৈরী ছিলেন না। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসূল! তুমি বলে দাও যে, আমি তোমাদেরই মত একজন মানুষ... (কাহফ ১১০)।