উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সালাম ফিরানোর পরে প্রথমে আস্তাগফিরুল্লাহ তিন বার বলতেন। ছাওবান (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের সালাম ফিরানোর পর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহু বলতেন, তারপর দো‘আ পড়তেন, আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবারাকতা ইয়া- যালজালা-লি ওয়াল ইকরাম ‘হে আল্লাহ! তুমিই শান্তির আধার। তোমার পক্ষ থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহামহিম ও মহা সম্মানিত’ (মুসলিম হা/৫৯১; মিশকাত হা/৯৬১)। সেজন্য মুহাদ্দিছগণ সালাম বা‘দ ইসস্তিগফার পাঠের বিষয়ে অধ্যায় রচনা করেছেন (মুসলিম ১/৪১৪; নাসাঈ ৩/৬৮; ইবনু খুযায়মাহ ১/৩৬৩)। কখনো কখনো তিনি ‘আল্ল-হুম্মা আন্তাস সালা-ম, ওয়া মিনকাস সালা-ম, তাবারাকতা ইয়া- যালজালা-লি ওয়াল ইকরাম’ বলে উঠে যেতেন (মুসলিম হা/৫৯২; মিশকাত হা/৯৬০)। এছাড়া ইবনু আববাস থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, আমরা রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত শেষ হয়ে গেছে তা বুঝতে পারতাম তাঁর তাকবীর পাঠ শুনে (বুখারী হা/৮৪১; মুসলিম হা/৫৮৩; আহমাদ হা/৪৩৭৮)। উক্ত বর্ণনার ভিত্তিতে একদল বিদ্বান মনে করেন সালাম ফিরানোর পর মুছল্লী প্রথমে তিন বার কিংবা একবার তাকবীর বা আল্লহু আকবার বলবে, অতঃপর অন্যান্য যিকির করবে (ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৭/৩৯৬-৩৯৭; মির‘আত ৩/৩১৫)। যদিও ইবনু হাজার আসক্বালানী, শায়খ উছায়মীন প্রমুখ বিদ্বানগণ বলেন, এই তাকবীর দ্বারা উদ্দেশ্য যিকির। অর্থাৎ এই তাকবীর হবে তাহমীদ, তাসবীহ ও তাহলীলের সাথে (ফাৎহুল বারী ২/৩২৬; ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব ৮/২; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৪২০)। সর্বোপরি উপরোক্ত সবগুলো যিকিরই হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। মুছল্লী যে কোন যিকির দিয়ে শুরু করতে পারে।

প্রশ্নকারী : শামসুল আলম, নওদাপাড়া, রাজশাহী।







বিষয়সমূহ: ছালাত
প্রশ্ন (২৯/১৪৯) : মহিষ, ঘোড়া ও গাধার দুধ ও গোশত হালাল কি?
প্রশ্ন (১৮/৯৮) : দাদী বা নানী তার কোন নাতিকে বা নাতির ছেলেকে সম্পদের কিছু অংশ উপহার হিসাবে দলীল করে দিতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১০/৫০) : শ্যামুয়েল নামে কোন নবী কি দুনিয়াতে আগমন করেছিলেন? যদি এসে থাকেন, তবে তাঁর সংক্ষিপ্ত কাহিনী জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : আমি শুনেছি ঋণের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। কিন্তু আমি অনেক টাকা ঋণী হয়ে আছি, যা পরিশোধ করার মত কোন সম্পদ আমার নেই। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -যহূরুল ইসলাম, রংপুর।
প্রশ্ন (১৪/২৯৪) : নাছেবী কারা? বর্তমান যুগে কি এদের অস্তিত্ব আছে? - -ড. শিহাবুদ্দীন, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৩/১৩) : সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায় মাতা তাকে হেফযখানায় পড়ানোর নিয়ত করেন। পরবর্তীতে শত চেষ্টা করেও তাতে সফল হননি। এক্ষণে উক্ত মায়ের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : আযান ও ইক্বামতের মধ্যবর্তী সময়ে দো‘আ কবুল হয়। এটা কি কেবল মসজিদের ইক্বামতের জন্য খাছ? না গৃহাভ্যন্তরে অবস্থানরত নারীরাও ইক্বামত দিয়ে ছালাত শুরুর আগ পর্যন্ত উক্ত সময় পাবে?
প্রশ্ন (১৪/১৪): জনৈক আলেম বলছেন, নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তার বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৮/১৪৮) : সূরা তাকাছুর একবার পড়লে এক হাযার আয়াত পড়ার সমান ছওয়াব হয় এবং উক্ত সূরা পাঠকারীকে আল্লাহর রাজত্বে শুকরিয়া আদায়কারী হিসাবে গণ্য করা হয়। হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (২২/২২) : জনৈক আলেম বলেন, সব হাদীছই তো রাসূলের। তা আবার ছহীহ বা যঈফ হয় কিভাবে?
প্রশ্ন (৩৯/২৩৯) : মসজিদে ইমাম না থাকায় এক ব্যক্তি এশার ছালাতে ইমামতি করেন। তিনি একটি ৭/৮ বছরের ছেলেকে তার ডান পার্শ্বে নিয়ে ছালাত আদায় করেন। এতে মসজিদে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এমনকি কেউ কেউ ছালাত পুনরায় পড়ে। উক্ত ছালাত সঠিক হয়েছে কি?
প্রশ্ন (৩৭/৩৯৭) : ঝগড়ার মধ্যে স্বামী তার স্ত্রীকে তার সাথে সংসার করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে স্ত্রীর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে মহল্লার বখাটে ছেলেরা হস্তক্ষেপ করে বিবাহের কাবিন নামা নিয়ে যায় এবং কাযী অফিসের মাধ্যমে তালাক নামা লিখে এনে উভয়ের অসম্মতিতে - মুহাম্মাদ মুস্তাফীযুর রহমান, পতেঙ্গা, চট্রগ্রাম।
আরও
আরও
.