উত্তর : মানুষের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট স্থানে ছালাত, তাওয়াফ এমনকি হজ্জ বন্ধ রাখা জায়েয। কেননা মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা রক্ষা করা ইসলামী শরীআ‘তের অন্যতম মূলনীতি (বাক্বারাহ ২/১৯৫; নিসা ৪/২৯)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না এবং নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না (আহমাদ হা/২৮৬৭; ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)। অর্থাৎ নিজেকে দিয়ে অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না এবং অন্যের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া যাবে না। মহামারীর সময়ে জাতিকে সতর্ক করে রাসূল (ছাঃ) বলেন, অসুস্থ প্রাণীকে যেন সুস্থ প্রাণীর মাঝে প্রবেশ করানো না হয় (বুখারী হা/৫৭৭১; মুসলিম হা/২২২১)। অতএব বর্তমান বিশ্ব মহামারী করোনার সময়ে হাজীদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে হজ্জ বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা নেই। উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে যুদ্ধ ও মহামারীসহ বিভিন্ন কারণে বহুবার হজ্জ ও তাওয়াফ বন্ধ হয়েছে। যেমন- (১) ৩১৭ হি./৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বাহরাইনের শাসক আবু তাহের কারামিয়ার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী সর্ববৃহৎ হাজীদের কাফেলায় আক্রমণ করে এবং অনেক নারী-পুরুষকে হত্যা করে। ফলে ৩১৭ হিজরী থেকে ৩২৭ হিজরী পর্যন্ত হজ্জের কার্যক্রম বন্ধ ছিল’ (যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ২৩/৩৭৪)। (২) ১০৩৮ হি./১৬২৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কায় ব্যাপক বন্যা হয়। ফলে কা‘বার দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। সুলতান চতুর্থ মুরাদের নির্দেশে কা‘বা পুনর্নির্মাণের সময় হজ্জ ও ওমরাহর কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ঐতিহাসিকদের মতে, এটি ছিল কা‘বার সর্বশেষ নির্মাণ। (৩) ১৮১৪ সালে হেজাজ প্রদেশে প্লেগের কারণে ৮০০০ মানুষ মারা যাওয়ায় হজ্জ বাতিল করা হয়। (৪) ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রকাশ পাওয়া কলেরায় আক্রান্ত হয়ে তিন-চতুর্থাংশ হাজী মারা যায়। ফলে সে বছর হজ্জ বাতিল হয়। এছাড়াও ১৮৩৭ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে মহামারীর কারণে তিনবারে মোট সাত বছর হজ্জ বন্ধ ছিল (তথ্যসূত্র : হারামাইনের ওয়েবসাইট)

-আবূ রাঈদ, গণকপাড়া, রাজশাহী।







প্রশ্ন (১৮/১৩৮) : আমার অতি নিকটের কিছু মানুষ আমাকে মন্দ কাজে উৎসাহিত করছে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? - -আব্দুর রাযযাক, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (৩৯/৩৯৯) : সকলেই কা‘বা ঘরের দিকে মুখ করে ছালাত আদায় করেন। কিন্তু কা‘বা ঘরের ভিতরে কেউ ছালাত আদায় করেছেন কি? যদি কেউ আদায় করে থাকেন তাহ’লে কোন দিকে মুখ করে ছালাত আদায় করেছেন।
প্রশ্ন (১৯/৩৩৯) : ইউটিউব ভিডিওতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে যে উপার্জন করা হয় তা জায়েয কি? - -আবুল বাশার, রংপুর।
প্রশ্ন (১২/২১২) : জুম‘আর ছালাতে ইমামের তাশাহহুদে থাকাবস্থায় আমি জামা‘আতে শরীক হই। এখন কি আমি চার রাক‘আত যোহর আদায় করব? না-কি ২ রাক‘আত জুম‘আর ছালাত আদায় করব? - -আনাস, সৈয়দপুর, নীলফামারী।
প্রশ্ন (১২/৪১২) : বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন মাধ্যমে একে অপরকে লিখিতভাবে দো‘আ করা হয় এবং তার জবাব দেওয়া হয়। এভাবে পরস্পরের জন্য দো‘আ করলে নেকী হবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫) : নবী করীম (ছাঃ) হিলফুল ফুযূল গঠনের জন্য যে বৈঠক ডাকেন, তাতে তাঁর দাদা ও নানার গোত্র সহ ৫টি গোত্র যোগদান করেছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশ্ন হ’ল- ৪০০ মাইল দূর থেকে নানার গোত্র কিভাবে উক্ত বৈঠকে যোগদান করেছিল?
প্রশ্ন (২২/১৮২) : অন্তরকে আল্লাহমুখী করার জন্য কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর যিকির সশব্দে বা নিঃশব্দে করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : জনৈক ব্যক্তি পবিত্র কুরআন নিয়ে দৃঢ়ভাবে শপথ করে যে, আল্লাহর কসম! আমি বাকী জীবনে এই পাপ আর করব না। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পুনরায় ঐ পাপে লিপ্ত হ’লে তার হুকুম কী?
প্রশ্ন (২৫/১৪৫) : ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে ছুটে যাওয়া ছালাতের ক্বাযা আদায়ের ক্ষেত্রে কি বলে নিয়ত করতে হবে? এছাড়া পূর্বের ওয়াক্তের ছালাত আদায়ের আগেই পরের ওয়াক্তে ছালাতের আযান হয়ে গেলে কোন ওয়াক্ত আগে আদায় করতে হবে?
প্রশ্ন (২১/২১): ছিয়াম অবস্থায় দাড়ি শেভ করা, নখ কাটা বা পেষ্ট দ্বারা ব্রাশ করায় ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/২৩৯) : ফরয ছাদাক্বা তথা যাকাত কি প্রকাশ্যে দান করা উত্তম না গোপনে?
প্রশ্ন (৩০/২৭০) : ওযন কমানোর জন্য আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়া যাবে কী? - -মুখলেছুর রহমান, সাপাহার, নওগাঁ।
আরও
আরও
.