উত্তর : কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কোন সভা-সম্মেলন শুরু করায় কোন বাধা নেই। তবে সর্বপ্রথম হামদ ও ছানা পাঠ করতে হবে (আহমাদ হা/১৫২৬, ছহীহাহ হা/১৬৯)।
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, أصحاب النبي صلى الله عليه و سلم إذا جلسوا كان حديثهم يعني الفقه إلا أن يقرأ رجل سورة أو يأمر رجلا بقراءة سورة ‘ছাহাবায়ে কেরাম যখন কোন আলোচনা তথা ফিক্বহী আলোচনার মজলিসে বসতেন তখন তাদের মধ্যে একজন কোন সূরা পাঠ করতেন অথবা একজনকে কুরআনের কোন একটি সূরা পাঠ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হ’ত (হাকেম হা/৩২২, যাহাবী, সনদ ছহীহ, বায়হাক্বী, আল-মাদখাল হা/৩১৩; ইবনু সা‘দ ২/৩৭৪)।
খতীব বাগদাদী, ইবনুছ ছালাহ, ইবনু কাছীর, ইমাম নববী, সৈয়ূতী সহ অনেক ওলামায়ে সালাফ যেকোন মজলিস শুরুর পূর্বে হামদ ও ছানাসহ কুরআন তেলাওয়াতকে মুস্তাহাব বলে আখ্যায়িত করেছেন (খতীব বাগদাদী, আল-জামে‘ ২/৬৮; মুক্বাদ্দামা ইবনুছ ছালাহ ২২৪ পৃঃ, ইবনু কাছীর, আল-বা‘এছুল হাছীছ ১৫৩ পৃঃ, সৈয়ূতী তাদরীবুর রাবী ২/৫৭৩)।
শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, কুরআনের কিছু অংশ তেলাওয়াত করার মাধ্যমে মজলিস শুরু করার বিষয়টি সালাফে ছালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত (আলবানী, সিলসিলাতুল হুদা ওয়ান নূর, অডিও ক্লিপ নং ৪০২)।
কোন কোন আলেম এভাবে তেলাওয়াত করার বিষয়টি দলীল বিহীন আখ্যায়িত করেছেন (ওছায়মীন, আল-বিদঊ ওয়াল মুহদাছাত ৫৪০ পৃঃ)। কেউ কেউ এটাকে বিদ‘আত বলে ১৩৪২ হিজরীর পূর্বে এর অস্তিত্ব ছিল না বলেছেন (শায়খ বকর আবু যায়েদ, তাছহীহুদ দো‘আ ৯৮ পৃঃ, ফাতাওয়া আব্দুর রাযযাক আফীফী ২২১ পৃঃ)। যা আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণিত উপরোক্ত আছারটি দ্বারা ভুল প্রমাণিত হয়।
-ডা. মোশাররফ হোসাইন
ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, নওদাপাড়া, রাজশাহী।