
উত্তর : যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম বিশেষ সূরার বিশেষ মর্যাদার কারণে সেটি বেশী বেশী তেলাওয়াত করতেন। যেমন আবুবকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তো বৃদ্ধ হয়ে গেলেন। তিনি জবাবে বলেন, সূরা হূদ, ওয়াকি‘আহ, মুরসালাত, আম্মা ও কুওভিরাত সূরাগুলো আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে (তিরমিযী হা/৩২৯৭; মিশকাত হা/৫৩৫৩, সনদ ছহীহ)। আবূ যার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করীম (ছাঃ) ভোর পর্যন্ত একটি আয়াত দ্বারাই ছালাত আদায় করলেন। আর সে আয়াতটি হ’ল- إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ অর্থ: ‘তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দা। আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী’ (মায়েদাহ ৫/১১৮; তিরমিযী হা/৩২৯৭)। জনৈক ছাহাবী ছালাতে বারবার সূরা ইখলাছ পাঠ করে ইমামতি করতেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হ’লে তিনি তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, আমি একে ভালোবাসি। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমাকেও আল্লাহ তা‘আলা ভালোবাসেন (বুখারী হা/৭৩৭৫; মিশকাত হা/২১২৯)।
প্রশ্নকারী : রায়হান কবীর, মান্দা, নওগাঁ।