উত্তর : ঈদায়নের খুৎবা ১টি। ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদগাহে বের হ’লেন এবং সর্বপ্রথম ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর খুৎবা দিলেন। তারপর তিনি মহিলাদের কাছে আসলেন, তাদেরকে ওয়ায-নছীহত করলেন এবং দান-ছাদাক্বার নির্দেশ দিলেন... (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৪২৯, ‘ঈদায়নের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি ঈদের দিনে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে উপস্থিত ছিলাম। আমি দেখলাম যে, তিনি আযান ও ইক্বামত ছাড়াই খুৎবার পূর্বে ছালাত শুরু করলেন। যখন তিনি ছালাত শেষ করলেন তখন বেলালের গায়ে ভর দিয়ে দাঁড়ালেন। অতঃপর আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করলেন এবং লোকদের উপদেশ দিলেন, পরকালের কথা স্মরণ করালেন এবং আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করলেন। অতঃপর মহিলাদের দিকে অগ্রসর হ’লেন। এমতাবস্থায় তাঁর সাথে বেলাল ছিল। তাদেরকে তিনি আল্লাহভীতির উপদেশ দিলেন এবং আখেরাতের কথা স্মরণ করালেন (নাসাঈ, মিশকাত হা/১৪৪৬ ‘ঈদায়নের ছালাত’ অনুচ্ছেদ)। উক্ত হাদীছ দু’টি থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদের খুৎবার মাঝে বসতেন না এবং তাঁর খুৎবা ছিল একটি (উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/১৪৬)। দুই খুৎবার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই, বরং যা আছে তা যঈফ ও মুনকার (ইবনু মাজাহ হা/১২৮৯, মাজমাউয  যাওয়ায়েদ হা/৩২৩৯, যঈফাহ হা/৫৭৮৯; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৩২২ পৃঃ)

ইমাম বায়হাক্বী, ছান‘আনী ও ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, প্রচলিত দুই খুৎবার নিয়মটি মূলতঃ জুম‘আর দুই খুৎবার উপরে ক্বিয়াস করেই চালু হয়েছে। খুৎবা শেষে বসে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার রেওয়াজটিও হাদীছ সম্মত নয়। বরং এটাই প্রমাণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঈদায়নের ছালাত শেষে দাঁড়িয়ে কেবলমাত্র একটি খুৎবা দিয়েছেন। যার মধ্যে আদেশ-নিষেধ, উপদেশ, দো‘আ সবই ছিল (বায়হাক্বী ৩/২৯৯ পৃঃ  হা/৬০০৬-এর পরের আলোচনা;  মির‘আত ২/৩৩০-৩৩১; ৫/৩১; সুবুলুস সালাম ১/৪৩২)

উল্লেখ্য, যারা ঈদায়নের দু’টি খুৎবা সমর্থন করেন, তারা মূলত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেন। যেমন সিমাক (রাঃ) বলেন, আমি জাবির (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কি দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন? তিনি বলেন, তিনি দাঁড়িয়ে খুৎবা দিতেন। তারপর অল্প বসতেন, অতঃপর পুনরায় দাঁড়াতেন (নাসাঈ হা/১৫৮৩-৮৪, ১৪১৮)। অত্র হাদীছে দু’খুৎবার মাঝে বসা প্রমাণিত হয়। কিন্তু সেটি জুম‘আর খুৎবা না ঈদের খুৎবা তা প্রমাণিত হয় না। কিন্তু জাবের (রাঃ) বর্ণিত অন্য হাদীছে সরাসরি জুম‘আর কথা বলা হয়েছে (নাসাঈ হা/১৪১৭; আবুদাঊদ হা/১০০৩)। এছাড়া হাদীছটি কুতুবে সিত্তাহসহ প্রায় সকল মুহাদ্দিছ ‘জুম‘আর খুৎবা’ অধ্যায়ে বর্ণনা করেছেন। কেউই ঈদের ছালাত অধ্যায়ে বর্ণনা করেননি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, এটা জুম‘আর জন্য খাছ। 

আলবানী (রহঃ) বলেন, দু’খুৎবার মাঝে বসার বিষয়টি জুম‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট, ঈদের সাথে নয় (যঈফাহ হা/৫৭৮৯)। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, দু’খুৎবার মাঝে বসার বিষয়টি জুম‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট। অতএব ঈদায়নের জন্য একটি খুৎবাই সুন্নাত। (বিস্তারিত দ্রঃ ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ ২০৪ পৃ.)







প্রশ্ন (৩৬/২৩৬) : আমাদের অনেক বইয়ের ভিতরের অংশে অনেক ছবি থাকে যেগুলোর জীবন আছে। এসব ছবির কারণে ফেরেশতাগণ ঘরে প্রবেশ করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : যিনি আযান দিবেন তার জন্য ইক্বামত দেওয়া যরূরী কি? অন্য কেউ ইক্বামত দিতে গেলে আযান দাতার অনুমতি লাগবে কি? - -যুবায়ের ইসলাম, ছয়ঘরিয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৬/৪৭৬) : দাড়ি নেই এমন মুসলমানকে সালাম দেওয়া যাবে কী?
প্রশ্ন (৭/৩২৭) : কুরবানীর চামড়া বিক্রয় করে এর অর্থ ফকীর বা মিসকীনকে দান করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২০/১৮০) : আয়েশা (রাঃ) বলেন, আল্লাহকে নবী করীম (ছাঃ) দেখেছেন বলে দাবীকারী মিথ্যুক। আবার আরেক ছাহাবী (রাঃ) বলেছেন, নবী করীম (ছাঃ) আল্লাহকে দেখেছেন। এমতাবস্থায় কার কথা মানতে হবে? - -নূর-ই- আলম ছিদ্দীকী, ধাপ, রংপুর।
প্রশ্ন (১৭/৪৫৭) : আমাদের এলাকায় মহিলারা তা‘লীম দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে তাদের তা‘লীমে না গেলে ঈমান থাকবে না। তাদেরকে না খাওয়ালে খাদ্যে বরকত হবে না। তাদের এরূপ দাওয়াতের বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে চাই। - -জামীলা খানম, কোনাবাড়ি, গাযীপুর।
প্রশ্ন (১৩/১৭৩) : সম্প্রতি দেশে ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ নামে যে মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। এটা শরী‘আতসম্মত কি? - -আবু আমাতুল্লাহমঠবাড়িয়া, পিরোজপুর।
প্রশ্ন (১০/১৭০) : রক্ত দান করা কি শরী‘আতসম্মত? এটা ‘ছাদাক্বা’র অন্তর্ভুক্ত হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আহলেহাদীছগণ ফিরক্বা নাজিয়াহ হওয়া সত্ত্বেও এদের মাঝে এত দলাদলির কারণ কি?
প্রশ্ন (১২/৩৭২) : সূরা হূদের ১০৭ ও ১০৮ নং আয়াতে জান্নাতবাসী ও জাহান্নামীদের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তারা অনন্তকাল সেখানে থাকবে, যে পর্যন্ত আসমান ও যমীন স্থায়ী থাকবে। তবে আল্লাহ অন্য কিছু চাইলে ভিন্ন কথা’। উক্ত আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, এক সময় জাহান্নামের শাস্তি থেকে সবাইকে রেহাই দেয়া হবে। চিরস্থায়ীভাবে কাউকে জাহান্নামে থাকতে হবে না। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১/১) : হাতে মেহেদী দেওয়ার কারণে মহিলাদের হাত মোযা ব্যবহার করা আবশ্যক কি?
প্রশ্ন (২৮/৬৮) : রাসূল (ছাঃ) স্বীয় জীবদ্দশায় কতবার হজ্জ এবং ওমরাহ পালন করেছিলেন?
আরও
আরও
.