উত্তর : সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশ বিবেচনায় এবং স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী পর্দা সহকারে মহিলাগণ দ্বীনের কাজে বাড়ীর বাইরে যেতে পারেন। আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘বল, এটাই আমার পথ। আহবান করি আল্লাহর দিকে আমি এবং আমার অনুসারীগণ জাগ্রত জ্ঞান সহকারে’ (ইউসুফ ১২/১০৮)। ‘অনুসারীগণ’ বলতে এখানে মুসলিম নারী ও পুরুষ উভয়কে বুঝানো হয়েছে। হযরত আয়েশা (রাঃ) হাদীছ শাস্ত্রে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। আবু মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, আমরা আয়েশা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করে তাঁর নিকট থেকে জ্ঞান হাছিল করতাম’ (তিরমিযী, সনদ ছহীহ, হা/৬১৮৫)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সময়ে মুসলিম মহিলাগণ ৫ম হিজরীতে পর্দা ফরয হওয়ার আগে ও পরে পর্দার সঙ্গে দ্বীনের কাজে ও দুনিয়ার কাজে বাড়ীর বাইরে যেতেন। তারা যেমন মসজিদে ও ঈদের জামা‘আতে যোগদান করতেন। তেমনি বাজারে, ক্ষেতে-খামারে ও জিহাদেও গমন করতেন (বুখারী হা/৫২২৪,   মুসলিম হা/১৮১০)। অতএব দ্বীনী কাজে বিশেষ করে দ্বীন শিক্ষা করা বা দ্বীন শিক্ষা দেওয়া দু’টি কাজই পুরুষের ন্যায় মেয়েরা ঘরে বসে কিংবা প্রয়োজনে বাইরে গিয়ে করতে পারে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘দ্বীন শিক্ষা করা প্রত্যেক মুমিনের (পুরুষ ও নারী উভয়ের) উপর ফরয’ (ইবনু মাজাহ হা/২২৪, বায়হাক্বী, মিশকাত হা/২১৮)। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়’ (বুখারী, মিশকাত হা/২১০৯)। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা একটি আয়াত জানলেও তা আমার পক্ষ হ’তে অন্যকে পৌছে দাও’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৯৮)

শায়খ বিন বায (রহঃ) বলেন, উপরোক্ত মর্মের আয়াত (ও হাদীছ) সমূহ পুরুষ ও নারী উভয়কে শামিল করে’ (মাজমূ‘উ ফাতাওয়া ৭/৩২৫ পৃঃ)। তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) ইয়ামনে ও অন্যান্য বহু গোত্রে দাঈদের প্রেরণ করতেন এবং এতে কোন বাধা ছিল না যে, তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে করে নিয়ে যেতেন’ (ঐ, ৯/২৯৫ পৃঃ)। এছাড়া শায়খ উছায়মীন, শায়খ আলবানীসহ অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন (আলবানী, সিলসিলা হুদা ওয়ান নূর, অডিও ফাইল নং ১৮৯, ফৎওয়া নং ১৮; উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ দারব, ‘ইলম’ অধ্যায়)

উল্লেখ্য যে, নারীর মূল দায়িত্ব হ’ল তার ঘরে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘নারী তার স্বামীর গৃহের ও সন্তানদের দায়িত্বশীল। এজন্য সে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসিত হবে’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৬৮৫)

অতএব মূল পারিবারিক দায়িত্ব পালনের পর সময়-সুযোগ পেলে পর্দা-পুশিদা সহকারে দ্বীনের দাওয়াত দান ও দ্বীন শিক্ষার কাজে অবশ্যই মহিলাগণ বাইরে যেতে পারবেন। আর দ্বীন শিক্ষা বলতে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক শিক্ষাকে বুঝায়। অন্য কোন উদ্দেশ্য নয়। নারীদের কণ্ঠস্বর তাদের লজ্জার অন্তর্ভুক্ত। অতএব তাদের কণ্ঠস্বর যেন পরপুরুষ শুনতে না পায় বা তাদের দৃষ্টি না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং দাওয়াতী কাজের জন্য পোষ্টারিং করা বা মাইক ব্যবহার করা যাবে না।






প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : পূর্বে ডিভোর্স হওয়া কোন নারীকে পরবর্তীতে বিবাহ দেওয়ার সময় ডিভোর্সের বিষয়টি গোপন রাখা যাবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : প্রথম কাতারে ডান পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২৩/২৩) : হজ্জে গমনকারী পিতা সেখানে কুরবানী দিবেন। এক্ষণে বাড়ীতে অবস্থানকারী পরিবারের জন্য কুরবানী দিতে হবে কি? - -আহসানুল্লাহ, মুজিবনগর, মেহেরপুর।
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) : হাদীছে জিবরীলে বলা হয়েছে ‘ইবাদত কর এমনভাবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ’। এর ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১২/১৭২) : মহিলারা যত সন্তান জন্ম দিবে ততটি কবুল হজ্জের নেকী পাবে। উক্ত হাদীছের সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) : জান্নাতে কৃষি খামার বা পশুপালন ইত্যাদি করা যাবে কি? দলীলসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৪/৪০৪) : যারা ছালাত আদায় করে না বা শিরকে লিপ্ত, তাদের জানাযা পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৯/৩২৯) : আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ঐ বছর রামাযানে আমি ছিয়াম রাখিনি। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৯/২৯) : পুত্র সন্তান না থাকায় জনৈক ব্যক্তি তার সমস্ত সম্পত্তি তার পাঁচ কন্যা ও স্ত্রীর নামে লিখে দিয়েছে। শারঈ দৃষ্টিকোণ থেকে কাজ কি সঠিক হয়েছে?
প্রশ্ন (১৩/১৩) : সরকারী বীমা বা ব্যাংকে চাকুরী করতে বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : জনৈক আলেম বলেন, ইবরাহীম (আঃ) আমাদের ‘জাতির পিতা’-একথা ভুল। বরং তিনি কুরায়েশ বংশের পিতা। এ বক্তব্যের সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৮/৩৩৮) : আমি এবং আমার এক আত্মীয় একটি জমি ক্রয় করি। কিন্তু সে চক্রান্ত করে জমিটি তার নামে দলীল করে নেয়। ঐ জমির মূল্য দাবি করলে সে তা দিতে অস্বীকার করে। এতে সম্পর্ক নষ্ট হয়। এ জন্য দায়ী হবে কে?
আরও
আরও
.