উত্তর : ‘বৈশাখ’ উদযাপন একটি অনৈসলামী প্রথা। যা থেকে মুসলিমকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। হযরত আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, নবী করীম (ছাঃ) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন মদীনাবাসীদের দু’টি উৎসব পালন করতে দেখে তিনি তাদের বলেন, তোমাদের এ দু’টি দিন কেমন? তারা বলল, জাহেলী যুগে আমরা এ দু’দিন উৎসব পালন করতাম। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ এ দু’দিনের পরিবর্তে দু’টি উত্তম উৎসব দান করেছেন। আর তা হ’ল ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহা’ (আবুদাঊদ হা/১১৩৪, মিশকাত হা/১৪৩৯, ‘ছালাতুল ঈদায়েন’ অধ্যায়)। ঐ দু’টি দিন ছিল ‘নওরোজ’ বা নববর্ষ। অর্থাৎ সৌরবর্ষের প্রথম দিন এবং ‘মেহেরজান’ বছরে এইদিন রাত্রি-দিন সমান হয়।

মুবারকপুরী বলেন, ‘উক্ত হাদীছ দ্বারা নবী করীম (ছাঃ) উক্ত দুই দিন ব্যতীত অন্যান্য যাবতীয় উৎসব রহিত করেছেন এবং তার মুকাবিলায় উক্ত দু’টি দিনকে সাব্যস্ত করেছেন। মাযহার বলেন, ‘নওরোজ (নববর্ষ) ও মেহেরজান সহ কাফিরদের যাবতীয় উৎসবকে সম্মান প্রদর্শন করা যে নিষিদ্ধ উক্ত হাদীছে তার দলীল রয়েছে’। ইবনু হাজার বলেন, ‘মুশরিকদের উৎসব সমূহে খুশী করা কিংবা তাদের মত উৎসব করা উক্ত হাদীছ দ্বারা অপসন্দনীয় প্রমাণিত হয়েছে’। শায়খ আবু হাফছ আল-কাবীর হানাফী বলেন, ‘এসব দিনের সম্মানার্থে মুশরিকদের যে একটি ডিমও উপঢৌকন দিল, সে আল্লাহর সাথে কুফরী করল’। কাযী আবুল মাহাসেন হাসান মানছূর হানাফী বলেন, ‘এ দিনের সম্মানার্থে কেউ যদি ঐ সব মেলা থেকে কোন জিনিষ ক্রয় করে কিংবা কাউকে কোন উপঢৌকন দেয়, সে কুফরী করল। এমনকি সম্মানার্থে নয় বরং সাধারণভাবেও যদি এই মেলা থেকে কিছু ক্রয় করে কিংবা কাউকে এই দিনে কিছু উপঢৌকন দেয়, তবে সেটিও মাকরূহ’ (মির‘আত শরহ মিশকাত, ‘ছালাতুল ঈদায়েন’ অধ্যায় ৫/৪৪-৪৫ পৃঃ)

অতএব উক্ত হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, অমুসলিমদের উৎসবের সাথে মুসলমানদের কোনরূপ সম্পর্ক রাখা কিংবা সহযোগিতা করা জায়েয নয়। বৈশাখ সংক্রান্ত যাবতীয় অনুষ্ঠানাদি মূলতঃ হিন্দুয়ানী প্রথা সঞ্জাত। সুতরাং এ সংক্রান্ত যাবতীয় সহযোগিতা, অংশগ্রহণ, আয়-উপার্জন সহ সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গুনাহ ও অন্যায়ের কাজে সাহায্য কর না (মায়েদাহ ৫/২)’।






প্রশ্ন (২০/২২০) : শরী‘আতে সুরমা ব্যবহারের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আছে কি? এর উপকারিতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৮/৭৮) : পিতা-মাতা আমার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। আমাকে সংসার থেকে আলাদা করে দিয়েছেন। বড় ভাই ও ভাবীকে নিয়েই তারা ব্যস্ত। আমার স্ত্রী গরীব ঘরের সন্তান হওয়ায় তার সাথে মন্দ আচরণ করেন। টাকা-পয়সা সব বড় ভাইকে দিতে চান। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১/২৪১) : ওআইসি-র সিদ্ধান্ত মতে বিশ্বের যে কোন স্থানে রামাযানের চাঁদ দেখা গেলে কি সকল স্থানে সেটি প্রযোজ্য হবে?
প্রশ্ন (২৫/১৮৫) : সাদা কাপড় দিয়ে কাফন পরানোর ব্যাপারে শরী‘আতের কোন নির্দেশনা আছে কি? অন্য কোন রং বা প্রিন্টযুক্ত কাপড় দ্বারা কাফন পরানো যাবে কি? - -মাহদী হাসান, ছাতিয়ানতলা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : পবিত্র কুরআন মুখস্থ ও দেখে তেলাওয়াত করার মধ্যে ছওয়াবের কোন তারতম্য আছে কি? - -আব্দুস সালামনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৫/১২৫) : প্রবাসে আমরা অনেক বাংলাদেশী ভাই একত্রে থাকি। এখানে বিদেশীদের সালাফী সংগঠন আছে। এক্ষণে আমরা বাংলা ভাষাভাষীরা পৃথক জামা‘আত গঠন করতে পারি কি? - -ইবরাহীম, সিডনী, অস্ট্রেলিয়া।
প্রশ্ন (৩৯/৩৯) : স্ত্রী পরপুরুষের সাথে অবাঞ্ছিত কথা বলত। স্বামী হুঁশিয়ারী স্বরূপ বলেছিল, যদি এরপর ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বল, তাহ’লে তুমি তালাক। কিন্তু স্ত্রী তার সাথে কথা বলা অব্যাহত রাখে। এর ৫/৬ মাস পর স্বামী আবারও অনুরূপ কথা বলে। কিন্তু স্ত্রী তার অভ্যাস পরিবর্তন করেনি। পরে স্বামী তাকে তালাক দেয়। কিন্তু সহবাস বন্ধ করেনি। এক্ষেত্রে স্বামী উক্ত কথা বলার কারণে স্ত্রী কি তালাক হয়েছে? যদি তালাক হয়ে থাকে তবে ক’টি তালাক হয়েছে? এ মুহূর্তে স্ত্রীকে কি পুনরায় বিবাহের মাধ্যমে ফিরিয়ে নিতে হবে? - -হাফীযুর রহমান, টঙ্গী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৯/৪৯) :কোন কোন মাদ্রাসায় কেউ ছাগল বা অন্য কিছু ছাদাক্বা করলে মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারী সবাই তা খায়। এভাবে সবার জন্য ছাদাক্বা খাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/৭৯) : স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তালাক ব্যতীত অন্য শব্দ যেমন তুমি আমার জন্য হারাম, আমি তোমার জন্য হারাম ইত্যাদি বললে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে কি?
প্রশ্ন (২১/২৬১) : বেজি, কুকুর বা শিয়াল কর্তৃক হাঁস-মুরগী আহত হ’লে তা যবহ করে খাওয়া যাবে কি? - মাছূম বিল্লাহ খানসামা, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (১৯/২৯৯) : কোন ছেলে যদি কোন অসহায় মেয়েকে ‘ধর্ম বোন’ বানায় এবং নিজের বোনের মত তাকে দেখাশোনা করে, তবে সেটি জায়েয হবে কি? - -আশরাফুল ইসলাম, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : ইসলামিক টিভিতে শরী‘আত পরিপন্থী বহু বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এগুলির জন্য কর্তৃপক্ষ কিরূপ শাস্তির সম্মুখীন হবে? তারা যেসব উপকারী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর বিষয়াদী প্রচার করছে এগুলি কি উক্ত শাস্তির জন্য কাফফারা স্বরূপ হবে?
আরও
আরও
.