উত্তর : তিন বা চার রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম বৈঠকে কেবল তাশাহহুদ পড়াই যথেষ্ট। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, আমাদের উপর তাশাহহুদ ফরয হওয়ার পূর্বে আমরা বলতাম, ‘আসসালামু ‘আলাল্লাহি মিন ইবাদিহী’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা এটা না বলে বরং ‘আত্ত্বাহিইয়াতু... বল’ (নাসাঈ হা/১১৬৮, ইরওয়া হা/৩১৯)

প্রথম বৈঠকে তাশহ্হুদের পরে দরূদ পাঠ না করার বিষয়টি বিভিন্ন হাদীছ দ্বারা বুঝা যায়। যেমন (১) ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন যে, তাঁকে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তাশাহ্হুদ শিক্ষা দেন। ... অতঃপর তিনি ছালাতের মধ্যখানে হ’লে তাশাহ্হুদ পড়েই উঠে যেতেন। আর শেষ বৈঠক হ’লে তাশাহ্হুদের পরে ইচ্ছামত দো‘আ করতেন। অতঃপর সালাম ফিরাতেন’ (আহমাদ হা/৪৩৮২, ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৭০৮, সনদ হাসান)। (২) আবুবকর (রাঃ) যখন প্রথম বৈঠকে বসতেন, তখন তিনি যেন গরম পাথরের উপরে বসতেন’ (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩০৩৪, সনদ ছহীহ, ইবনু হাজার, তালখীছুল হাবীর হা/৪০৬)। (৩) ইবনু ওমর থেকেও অনুরূপ বর্ণনা এসেছে (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩০৩৭)

ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, প্রথম বৈঠকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দরূদ পাঠ  করেছেন মর্মে কিছুই বর্ণিত হয়নি। যিনি এটাকে মুস্তাহাব বলেন, তিনি দরূদ পাঠের সাধারণ নির্দেশের উপরে ধারণা করেই সম্ভবত এটা বলেন। যদিও শেষ বৈঠকে দরূদ পাঠের বিষয়টি বিশুদ্ধভাবে স্পষ্ট হয়ে গেছে’ (যাদুল মা‘আদ ১/২৩৭; ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/১২৯)

ইমাম তিরমিযী বলেন, উক্ত আমল জারি রয়েছে বিদ্বানগণের নিকটে’ (তিরমিযী হা/৩৬৬-এর আলোচনা)। তবে অনেক বিদ্বান তাশাহহুদ পাঠের ‘আম’ হাদীছের আলোকে প্রথম তাশাহহুদে দরূদ পাঠ করা জায়েয বলেন (ছিফাতু ছালাতিন্নবী পৃঃ ১৪৬; ছহীহাহ হা/৮৭৮-এর আলোচনা)

-গোলাম রহমান, আইলাইন, বাহরাইন।







প্রশ্ন (২৩/৪২৩) : ‘বড় পীর’ বলে খ্যাত আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। তাঁর সম্পর্কে যেসব কাহিনী শোনা যায়, তার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৭/১৬৭) : আমার দাদীর বয়স ৯০ বছর। নানা রোগে দারুণভাবে ভুগছেন। তার বেঁচে থাকাই কষ্টকর। এক্ষণে তার জন্য মৃত্যু কামনা করে দো‘আ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৫/৪০৫) : খোলাফায়ে রাশেদীন দ্বারা বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা কম হওয়ার কারণ কী?
প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) : জনৈক বক্তা বলেন, কোন ব্যক্তি ছিয়াম পালন করতে সক্ষম না হ’লে তাকে ফিদইয়া দিতে হবে না। কারণ সূরা বাক্বারাহ ১৮৫ নং আয়াতটি রহিত হয়ে গেছে। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : স্বর্ণকার হিসাবে আমাকে মাঝে মাঝে হিন্দুদের দেব- দেবী, ময়ূর ইত্যাদির ডিজাইন করতে হয়। হিন্দু দেশ হিসাবে এটা না করলে আমার ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এক্ষণে এটা জায়েয হবে কি? - -হাসীবুর রহমান, পালি, রাজস্থান, ভারত।
প্রশ্ন (১২/৩৫২) : আমার ভাড়ায় চালিত কয়েকটি গাড়ি ও ট্রাক আছে, যা মাঝে মাঝে নিজস্ব কাজেও ব্যবহৃত হয়। এর যাকাত দিতে হবে কি? দিতে হ’লে কিভাবে দিতে হবে? - -হাবীবুর রহমান, মহাখালী, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩/২০৩) : এক ওয়াক্ত ছালাত ক্বাযা করলে ৮০ হুক্ববা জাহান্নামে জ্বলতে হবে- কথাটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : বিবাহের সময় বরকে কবুল না বলে আলহামদুলিল্লাহ বলতে বলা হয়। বরও মুখে কবুল না বলে কবুলের নিয়তে মুখে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বলে। অভিভাবক ও সাক্ষীরা বরের সম্মতি ধরতে পেরেছে। এক্ষণে বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে কি? নাকি পুনরায় বিবাহের প্রয়োজন আছে? - -আলমগীর, কাহারোল, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (২২/৬২) : ছালাতরত অবস্থায় কোন রুকন যেমন রুকূ বা সিজদা করা হয়নি- এরূপ সন্দেহের সৃষ্টি হলে কেবল সহো সিজদা দিলেই চলবে না এক রাক‘আত পুনরায় আদায় করতে হবে? - -রফীকুল ইসলাম, ভালুকা, ময়মনসিংহ।
প্রশ্ন (১০/২৫০) : যে ব্যক্তি সব মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীর জন্য দো‘আ বা ক্ষমা প্রার্থনা করবে আল্লাহ তাকে প্রতিটি মুমিন পুরুষ ও নারীর পরিবর্তে একটি করে নেকী দিবেন মর্মে বর্ণিত হাদীছটি ছহীহ কি?
প্রশ্ন (১০/২১০) : আমার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম। মান-সম্মানের ভয়ে এভাবেই ১২ বছর একসাথে আছি। বর্তমানে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় তিনি পাওনাদারদের আমাকে ও আমার পিতৃ পরিবারকে দেখিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় আমি তালাক চাইলে তিনি তালাকও দিচ্ছেন না। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৭/২৯৭) : পাঁচটি কারণে ছিয়াম নষ্ট হয় সেগুলো হচ্ছে- (১) মিথ্যা কথা বলা (২) গীবত করা (৩) চোগলখুরী করা (৪) মিথ্যা কসম করা (৫) কোন নারীর প্রতি কুদৃষ্টি দেয়া। একথার দলীল জানতে চাই।
আরও
আরও
.