উত্তর : এ বিষয়ে আবুদাঊদের আরবী ভাষ্যকার শামসুল হক আযীমাবাদী বলেন, কোন কোন বিদ্বান রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতাকে জীবিতকরণ, ঈমান আনয়ন ও নাজাত প্রাপ্তি সম্পর্কে কিছু দলীল পেশ করার চেষ্টা করেছেন, যার অধিকাংশই মুহাদ্দিছ ওলামায়ে কেরামের নিকটে মিথ্যা ও জাল এবং বাকীগুলি খুবই দুর্বল (আওনুল মা‘বূদ ১২/৩২৪, হা/৪৭১৮-এর আলোচনা)।
রাসূল (ছাঃ)-এর পিতা-মাতার জাহান্নামী হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আনাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকটে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কোথায়? রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার পিতা জাহান্নামে। একথা শ্রবণ করে লোকটি দুঃখিত হয়ে ফিরে যাচ্ছিল, তখন রাসূল (ছাঃ) তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বললেন, আমার পিতা এবং তোমার পিতা উভয়েই জাহান্নামী (মুসলিম হা/২০৩; আবুদাঊদ হা/৩৯৪৯; ছহীহাহ হা/২৫৯২)। একবার রাসূল (ছাঃ) মা আমেনার কবর দেখতে গেলেন। তখন তিনি নিজেও কাঁদলেন এবং তাঁর সাথীগণও কাঁদলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি আমার প্রতিপালকের নিকট মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুমতি চেয়েছিলাম; কিন্তু তিনি আমাকে অনুমতি দেননি। অতঃপর তাঁর কবর যিয়ারতের অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন। অতএব তোমরা কবর যিয়ারত কর। কেননা তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়’ (মুসলিম হা/৯৭৬; মিশকাত হা/১৭৬৩ ‘কবর’ যিয়ারত’ অনুচ্ছেদ)। উপরোল্লিখিত হাদীছদ্বয় থেকে বুঝা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পিতা-মাতা জান্নাতী হবেন না।