উত্তর :
হাদীছটির পটভূমিতে বলা হয়েছে, জনৈক ব্যক্তি এক বালকের গালে চপেটাঘাত করলে
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে এভাবে গালে চপেটাঘাত করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন,
خَلَقَ اللهُ آدَمَ عَلَى صُوْرَتِهِ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা আদমকে স্বীয়
আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৮৪৬)। এ
বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মূলতঃ মানুষের মুখমন্ডলের
মর্যাদা নির্দেশ করেছেন এবং মানবদেহের মর্যাদাপূর্ণ এই অঙ্গে আঘাত করতে
নিষেধ করেছেন। বাকী থাকে হাদীছাংশে উল্লেখিত সর্বনাম (ه)-এর প্রত্যাবর্তন
স্থল কোন দিকে? এর জবাবে মুহাদ্দিছগণের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও হাদীছটির
পটভূমির আলোকে এর প্রত্যাবর্তনস্থল হবে ‘আদম’। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা আদম
(আঃ)-কে তাঁর (আদমের) নিজস্ব আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। কারণ তিনি পৃথিবীর
প্রথম মানুষ ছিলেন যার উচ্চতা ছিল ষাট হাত (নববী, শরহ মুসলিম হা/২৮৪১-এর ব্যাখ্যা)। ইবনু হাজার বলেন, ...এ হাদীছগুলো শক্তিশালী করে যে, উক্ত সর্বনামের প্রত্যাবর্তনস্থল আদম (আঃ) (বুখারী হা/৬২২৭-এর ব্যাখ্যা)।
আলবানী বলেন, صُورَتِهِ তে সর্বনামের প্রত্যাবর্তনস্থল ‘আদম’। যে হাদীছে
এর প্রত্যাবর্তন স্থল আল্লাহর দিকে করা হয়েছে তা মুনকার ও যঈফ (ছহীহাহ হা/৪৪৯, ৮৬২; যঈফাহ হা/১১৭৬)।
অতএব আদম (আঃ)-কে স্বীয় আকৃতিতে সৃষ্টি করা হয়েছে। পৃথিবীতে যত মানুষ আসবে
আদমের মত হাত-পা, নাক, কান, মুখ ও অন্যান্য অঙ্গ দিয়েই সৃষ্টি করা হবে।
তাদের অন্য কোন আকৃতিতে সৃষ্টি করা হবে না।