উত্তর : কাগজের টাকা স্বর্ণ বা রৌপ্যের মূল্যমান যা প্রথমে তাম্র মুদ্রা হিসাবে তাবেঈগণের যুগে চালু হয়ে পরবর্তীতে টাকার রূপ ধারণ করে অদ্যাবধি চলমান। উমাইয়া খলীফা আব্দুল মালেক ইবনে মারওয়ান (৬৫-৮৬ হি.) প্রথমবারের মত মুসলিম বিশ্বে আরবীতে লেখা দীনার (স্বর্ণমুদ্রা), দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) ও ফাল্স (তাম্র মুদ্রা) প্রচলন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় মুদ্রার প্রচলন হয়। এভাবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্যমান ধরে অন্যান্য মুদ্রার প্রচলন ঘটে। ইমাম মালেক (রহঃ)-কে ফাল্স বা তাম্রমুদ্রার সূদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি একে স্বর্ণ বা রৌপ্যের সাথে তুলনা করে সূদ হওয়ার বিষয়টি আলোচনা করেন (আল-মুদাউওয়ানাহ ৩/৫, ৩/২৯)। শায়খুল ইসলাম ইবনু তায়মিয়াহ ও তার ছাত্র ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) স্বর্ণ ও রৌপ্যে সূদের বিষয়টি এর মূল্যমানের সাথে সংশ্লিষ্ট করেছেন, ওযনের সাথে নয়। তারা মূল্যমানের সাথে সমন্বয় করাকে বিশুদ্ধ বলেছেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৯/৪৭১-৭২; ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ২/১৫৬)

উপরোক্ত আলোচনা প্রমাণ করে যে, কাগজের টাকা স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্যমান হিসাবে ব্যবহার করা জায়েয। শায়েখ বিন বায (রহঃ) বলেন, কাগজের টাকা একটি আরেকটির বিনিময়ে ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বর্ণের ও রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/১৫৮)। এছাড়া রাবেতায়ে ‘আলমে ইসলামী ও হাইআতু কিবারিল ওলামা তথা সঊদী আরবের ‘সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদ’ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, কাগজের টাকা স্বর্ণ ও রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত, যা ব্যবহার করা জায়েয।

বস্ত্ততঃ কাগজের নোটই বর্তমানে মূল্য হিসাবে প্রচলিত এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বর্ণ ও রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত। এর উপরেই সকল প্রকার লেনদেন চলমান। নিছক কাগজ হিসেবে এর কোন মূল্য নেই। কিন্তু এটি বাণিজ্য ও লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আর এটিই এর মূল্যের রহস্য।

দ্বিতীয়তঃ সোনা-রূপা ও অন্যান্য মুদ্রার মত কাগজের নোটও স্বতন্ত্র মুদ্রা হিসাবে গণ্য। আবার দেশ ও অঞ্চলের ভিন্নতার কারণে কাগজের নোটও মানগতভাবে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত। অর্থাৎ সঊদী রিয়ালের মান আর আমেরিকান ডলারের মান এক নয়। এভাবে প্রত্যেক দেশের কাগজী নোট স্বতন্ত্র মুদ্রা হিসাবে গণ্য। সে অনুযায়ী সোনা-রূপা ও অন্যান্য মূল্যের মতো কাগজের মুদ্রা বা নোটের উপরও সূদের বিধান কার্যকর হবে। মোটকথা কাগজের মুদ্রা স্বর্ণ বা রৌপ্যের স্থলাভিষিক্ত, যা ব্যবহারে শরী‘আতে কোন বাধা নেই (আবহাছু হাইআতি কিবারিল ওলামা ১/৮৫)

প্রশ্নকারী : আবুল বাশার, মুজিবনগর, মেহেরপুর






বিষয়সমূহ: অর্থনীতি
প্রশ্ন (৭/৪৪৭) : আমি মসজিদের ইমাম। কুরবানীর সময় এলাকাবাসীর পশু যবেহ করে দিলে তারা নিজ নিজ কুরবানীর গোশত থেকে আমাকে হাদিয়া হিসাবে কিছু দেয়। এভাবে যবহের বিনিময় হিসাবে গোশত নেয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৫/২৮৫) : ফরয ছালাতের এক্বামত হলে সুন্নাত ছেড়ে দিয়ে জাম‘আতে শরীক হতে হয়। কিন্তু ছেড়ে দেয়া সুন্নাত পড়তে হবে কি?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাঘা উপযেলাতে এক বিশাল মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। মেলাতে নাচ-গান ও বাজনা সহ জুয়া-সার্কাস ইত্যাদি হয়ে থাকে। কোন মুসলিম এ মেলাতে যেতে পারে কি?
প্রশ্ন (২৮/২৮) : কুরআনে ‘বায়‘আত’ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা কি মেয়েদের পুরুষের হাতে হাত রেখে বায়‘আত গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে? যদি না হয় তবে কখন কুরআনের সেই আয়াতটি নাযিল হয়েছিল? এর শানে নুযূল কি? বিস্তারিতভাবে জানতে চাই।
প্রশ্ন (৬/১২৬) : আমি ইটভাটায় কাঁচা ইট সাজানোর কাজ করি। এক এক ভাগে ইট ধরে ১৮৮০০। কিন্তু আমাদের যারা হেড তারা ম্যানেজার ও কোম্পানীকে ধোঁকা দিয়ে ২০ হাযার ইটের টাকা নেয়। এই টাকার ভাগ আমিও পাই। বিগত বছরেও এরকম টাকা আমি নিয়েছি। এখন আমি অনুতপ্ত। কিভাবে এই অপরাধ থেকে মুক্ত হ’তে পারি?
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : রাসূল (ছাঃ) ক্বাদারিয়া বা তাকদীরকে অস্বীকারকারীদের মাজূসী বা অগ্নিউপাসক বলে আখ্যায়িত করেছেন কি? করলে তার কারণ কি? - -যুবায়ের হাসান, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (৪০/১৬০) : পিতা খুবই কৃপণ হওয়ায় হাত খরচ একেবারেই দেয় না। সেকারণ মাকে জানিয়ে বা কোন কোন সময় কাউকে না জানিয়েই পিতার টাকা নিতে বাধ্য হই। এতে আমার গুনাহ হবে কি? গুনাহ হ’লে ক্ষমা পাওয়ার উপায় কি?
প্রশ্ন (২৬/১০৬) : কেউ নবজাতক সন্তানের সুসংবাদ দিলে কী বলে দো‘আ করতে হবে?
প্রশ্ন (৩১/৩৭১) : ছিয়াম অবস্থায় ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন গ্রহণের বিধান কি? বিশেষতঃ যাদের দিনে একাধিকবার গ্রহণের প্রয়োজন হয়। - -আব্দুল কাবীর, নওহাটা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২১/২১) : বিভিন্ন সম্মেলন ও ইজতেমায় দেখা যায় একদল লোক ইমামসহ উঁচু স্থানে (স্টেজে) ছালাত আদায় করে। আর মুছল্লীরা নীচে থেকে ইমামের অনুসরণ করে। অথচ এমন কাজ থেকে শরী‘আতে নিষেধ করা হয়েছে বলে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। সঠিক সমাধান কি?
প্রশ্ন (২৪/১০৪) : আমি একটা সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করি। শিক্ষকগণ সকালে আসেন এবং দুপুর দুইটায় ক্লাস শেষ করে চলে যান। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা হ’ল, সকাল ৯-টা থেকে বিকেল ৫-টা পর্যন্ত অফিস করা। তাদের যুক্তি হ’ল তারা ক্লাস নিয়েছেন তাদের কাজ শেষ। তারা খাতা দেখা সহ অন্যান্য কাজ বাসায় রাতেও করেন। এমনকি ছুটির দিনেও প্রয়োজনে কাজ করেন। তাদের অফিস টাইমের বাইরে বাসায় পড়াশোনাও করতে হয়, যা সরকারী অন্যান্য অফিসাররা করেন না। তাই তারা সরকারী অফিস টাইমের নিয়ম মানেন না। তাদের এ কাজে প্রিন্সিপালেরও মত আছে। তিনি বাধা দেন না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? আমি কি চলে যাবো, না চাকুরীবিধি অনুযায়ী অফিসে ৫-টা পর্যন্ত কাজ করব?
প্রশ্ন (১০/১০) : নিজস্ব পরিবহন থাকা অবস্থায় সফরে ঠিক ওয়াক্ত মত ছালাত আদায় করা উত্তম, না কি যোহর ওয়াক্তে আছর বা আছর ওয়াক্তে যোহর জমা করা উত্তম হবে? এসময় একাকী না জামা‘আত করা উত্তম? - -আব্দুল লতীফ, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
আরও
আরও
.