উত্তর : উক্ত প্রশ্নগুলো অত্যন্ত জঘন্য ও অজ্ঞতাপ্রসূত। যারা এমন বিশ্বাস রাখবে তারা কাফের হয়ে যাবে (ইবনুল ‘আরাবী, ‘আরেযাতুল আহওয়াযী ১১/৫২)। রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-এর প্রতি সন্দেহের বশে নয়, বরং মুনাফিকদের অপপ্রচার দেখে এবং কিছু ছাহাবীর পরামর্শে অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাঁকে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অহী প্রাপ্তির মাধ্যমেই তাঁর পবিত্রতার বিষয়টি নিশ্চিত হোক (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৮/৪৮০)। এজন্য রাসূল (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে বলেছিলেন, হে আয়েশা! তোমার সম্পর্কে এ ধরনের কথা আমার কাছে পেঁŠছেছে। তুমি নির্দোষ হ’লে আল্লাহ অবশ্যই তোমার নির্দোষিতা ঘোষণা করবেন। আর যদি তুমি কোন গুনাহে জড়িয়ে গিয়ে থাক, তাহ’লে আল্লাহর কাছে তওবা ও ইস্তিগফার কর। কেননা বান্দা নিজের পাপ স্বীকার করে তওবা করলে আল্লাহ তওবা কবুল করেন (বুখারী হা/২৬৬১; মুসলিম হা/১৬৯৫; মিশকাত হা/৩৫৬২)। আর রাসূল (ছাঃ) তাঁর স্ত্রীর ব্যাপারে সন্দেহ করেননি বলেই আলী ও বারীরা (রাঃ)-এর সাথে পরামর্শ শেষে খুৎবায় দাঁড়িয়ে বলেন, আমার পরিবারকে কেন্দ্র করে যে লোক আমাকে জ্বালাতন করেছে, তার মুকাবিলায় কে প্রতিকার করবে? আল্লাহর কসম, আমি তো আমার স্ত্রী সম্পর্কে ভালো ছাড়া অন্য কিছু জানি না। আর এমন ব্যক্তিকে জড়িয়ে তারা কথা তুলেছে, যার সম্পর্কে ভালো ছাড়া অন্য কিছু আমি জানি না। আর সে তো আমার সাথে ছাড়া আমার ঘরে কখনও প্রবেশ করত না (বুখারী হা/২৬৬১; মুসলিম হা/১৬৯৫)। দুঃখজনক হ’ল, নবী বিদ্বেষীরা এমন রাসূলের বিরুদ্ধে অপবাদ দেয় যে রাসূল কখনো স্ত্রীদের প্রহার কিংবা গালি-গালাজ পর্যন্ত করেননি। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) এক জিহাদের ময়দান ব্যতীত নিজ হাত দিয়ে কাউকে মারেননি, এমনকি তাঁর স্ত্রী ও খাদেমদেরকেও না (মুসলিম হা/২৩২৮; মিশকাত হা/৫৮১৮)

প্রশ্নকারী : জাবের হোসাইন, ঢাকা।







প্রশ্ন (৩০/১৫০) : পরিবারে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়ার আশংকায় স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের কাছে যদি মিথ্যা কসম করতে বাধ্য হয়, সেটার জন্য গুনাহগার হ’তে হবে কি? এরূপ করা হয়ে গেলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (১২/১৭২) : আমার নিজের বোনের বিয়ে। তারা তেমন দ্বীনদার নয়। ফলে বিবাহ অনুষ্ঠানে দ্বীনী পরিবেশ থাকবে না। এক্ষণে আমি পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে যদি এই বিয়েতে না যাই এবং আমার স্ত্রীকেও যাওয়ার অনুমতি না দেই, তাহ’লে আমার পিতা-মাতা আমার উপর অসন্তুষ্ট হবেন। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৮/৪০৮) : কয়েক বছরের জন্য জমি লীজ নিয়ে ফলদ বৃক্ষ রোপন করে লাভবান হওয়া যাবে কি? - -নাজীদুল্লাহ, কলাবাগান, নজিপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২১/৬১) : গাড়ী চালনা বা দোকান পরিচালনার ক্ষেত্রে লেনদেনের সময় অনেক বেপর্দা নারী চোখে পড়ে। যা থেকে বাঁচতে হ’লে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। এক্ষণে এতে কি আমার চোখের গুনাহ হবে? - -নূরুদ্দীন, কাজলা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৫/৫৫) : জনৈক আলেম বলেন, যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ একবার বলবে, তার ৪ হাযার পাপ মাফ হয়ে যাবে। যতবার বলবে ততবার ৪ হাযার পাপ মাফ হয়ে যাবে। তার পাপ না থাকলে তার স্ত্রীর, তারপর তার মেয়ের পাপ মাফ হবে। উক্ত কথা কি সঠিক?
প্রশ্ন (১৮/১৭৮) : একই পরিবারের মধ্যে একে-অপরের নানা কর্মকান্ড নিয়ে সংশোধনের নিয়তে পিছনে নিন্দা করলে, তা গীবতের শামিল হবে কি? এর জন্য গোনাহগার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : জামা-কাপড়ে নাপাক কিছু লেগে গেলে তিনবার ধোয়া ফরয কি? এর চেয়ে কম হ’লে অপবিত্র থেকে যাবে কি? - -জসীমুদ্দীন, মধুপুর, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : কী কী কারণে কাবীরা গোনাহ হয়।
প্রশ্ন (২৯/৪৬৯) : ফিৎরার মাল সমাজের সরদারের কাছে জমা দেওয়া উত্তম নাকি একাকী বণ্টন করা উত্তম? যাকাতের মাল জমা করা হয় না কেন? যাকাতের টাকা দিয়ে ফকীর-মিসকীনকে শাড়ী কাপড়, লুঙ্গী ইত্যাদি কিনে দেওয়ায় ছওয়াব হবে কি?
প্রশ্ন (১/৪১) : বাড়ি থেকে সফরের উদ্দেশ্যে ফজরের ছালাতের ওয়াক্ত হওয়ার পূর্বে বের হ’তে হ’লে আযানের আগেই ছালাত আদায় করে নেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : কেউ নিজে অশ্লীল ছবি বা মুভি দেখেছে এবং অন্যকে দেখিয়েছে। এক্ষণে সে দেখা থেকে তওবা করেছে। কিন্তু যাকে দেখিয়েছে সে এসব দেখায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। এক্ষণে নিজে তওবা করা সত্ত্বেও অপরজনকে একাজে লিপ্ত করার অপরাধে সে নিয়মিত পাপী হ’তে থাকবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : ইমাম মেহরাবের ভিতরে না বাইরে দাঁড়াবে? এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন। - -আবু যর গিফারী, গোমস্তাপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
আরও
আরও
.