উত্তর
: সাধ্যানুযায়ী দাওয়াত দিয়ে যাওয়াই উত্তম হবে এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করতে
হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর যদি তোমরা তাদের অবাধ্যতার আশংকা কর, তাহ’লে তাদের
সদুপদেশ দাও, তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (প্রয়োজনে) প্রহার কর। অতঃপর
যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তাহ’লে তাদের জন্য অন্য কোন পথ তালাশ করোনা’ (নিসা ৪/৩৪)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তম নছীহত কর। কেননা নারী জাতিকে
পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে
উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে
যাবে। আর যদি ছেড়ে দাও, তাহ’লে তা সব সময় বাঁকাই থাকবে। অতএব নারীদের নছীহত
করতে থাক’ (বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮; মিশকাত হা/৩২৩৮)।
তালাক থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর নিকট ঘৃণিত হালাল হ’ল তালাক প্রদান করা’ (আবুদাউদ হা/২১৭১; মিশকাত হা/৩২৮০; যঈফুল জামে‘ হা/৪৪)। হাদীছটির সনদ ‘মুরসাল’ হ’লেও মর্মগতভাবে সঠিক (উছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৩/৫৫)। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তার মধ্যে সংশোধনের কোন লক্ষণ না পেলে তাকে তালাক দেওয়া যাবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৩১৯, ৩৬৪)।
প্রশ্নকারী : ফারূক, মালিবাগ, ঢাকা।