উত্তর :
মারফূ‘ সূত্রে হাদীছটির কোন ভিত্তি না থাকায় দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ
ছাড়াও তা রাসূল (ছাঃ)-এর অকাট্য বাণী- فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ
‘নিশ্চয়ই সকল প্রকার বিদ‘আত ভ্রষ্টতা’ (মুসলিম হা/৮৬৭; মিশকাত হা/১৪১)-এর স্পষ্ট বিরোধী।
ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কথা নয়। হাদীছ সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিরাই এটিকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে সম্পৃক্ত করেছে (ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফুরূসিইয়াহ ৬১ পৃঃ)।
শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেন, মারফূ‘ সূত্রে এর কোন ভিত্তি নেই। বরং এটি ইবনু মাসউদ (রাঃ) হ’তে ‘মওকূফ’ সূত্রে বর্ণিত (সিলসিলা যঈফাহ হা/৫৩৩)।
হাফেয ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, উক্ত আছারটি দ্বারা খেলাফতের ক্ষেত্রে আবুবকর (রাঃ)-কে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে ছাহাবায়ে কেরামের ইজমার কথা বুঝানো হয়েছে (আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ১০/৩২৮ পৃঃ)।
এছাড়াও উল্লিখিত আছারে বর্ণিত اَلْمُسْلِمُوْن এর اَلْ দ্বারা ‘ইজমায়ে ছাহাবা’ তথা যার উপর ছাহাবায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন, সেটা বুঝানো হয়েছে। এর অর্থ এটা নয় যে, অধিকাংশ মুসলমান কোন বিদ‘আতকে উত্তম বললে সেটা আল্লাহর নিকটেও উত্তম। এরূপ অর্থ করা মূর্খতা বৈ কিছুই নয়।