উত্তর : যেকোন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ত সঠিক রেখে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে সমর্থন দিবে। এরপর যদি সে কোন পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তবে সে নিজেই গুনাহগার হবে। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)। আল্লাহ বলেন, কাফেররা মুমিনদের বলে তোমরা আমাদের পথ অনুসরণ কর। আমরা তোমাদের পাপভার বহন করব। অথচ তারা তাদের পাপভার কিছুই বহন করবে না। বস্ত্তত ওরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী (আনকাবূত ২৯/১২)।
তবে যদি কেউ কোন নেতাকে পাপের কাজে সহায়তা করে, পাপ কাজ দেখেও সমর্থন করে তাহ’লে তার পাপের বোঝা সমর্থনকারীকেও বহন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা অবশ্যই নিজেদের পাপভার বহন করবে এবং সেই সাথে অন্যদের পাপভার। আর তারা যেসব মিথ্যারোপ করেছে, সে বিষয়ে ক্বিয়ামতের দিন অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসিত হবে’ (আনকাবূত ২৯/১৩)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আর যারা যুলুম করেছে তোমরা তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, অন্যথায় আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। অতঃপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না’ (হূদ ১১/১১৩)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আর যে লোক ইসলামে কোন অশুভ নীতি চালু করল এবং তারপরে সে অনুযায়ী আমল করা হ’ল তাহ’লে ঐ আমলকারীর মন্দ প্রতিদানের সমান গুনাহ তার জন্য লিখিত হবে। এতে তাদের পাপ সামান্য ঘাটতি হবে না’ (মুসলিম হা/১০১৭)। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক যে পদ্ধতি চালু আছে তা শরী‘আত সম্মত নয়। কেননা ইসলাম জ্ঞানীদের পরামর্শ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা সমর্থন করে। অথচ প্রচলিত গণতন্ত্রে স্রেফ মাথা গণনা করা হয়। তার মেধা যাচাই করা হয় না। এটা দেখেও যারা এই ভোটে অংশগ্রহণ করে, তারা ঐ জনপ্রতিনিধির পাপের ভাগীদার হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভাল কাজে সুফারিশ করে, তার জন্য তাতে একটি অংশ থাকে। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজে সুফারিশ করে তার জন্য তাতে একটি অংশ থাকে। বস্ত্তত আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর শক্তিমান’ (নিসা ৪/৮৫)।
প্রশ্নকারী : গোলাম কিবরিয়া, বড়াইগ্রাম, নাটোর।