উত্তর : ইহ্রাম অবস্থায় বিবাহ করা বা বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া উভয়টি নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় কেউ বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হবে না। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি নিজে বিবাহ করবে না, অন্যকেও বিবাহ করাবে না এবং বিবাহের প্রস্তাবও দিবে না’ (মুসলিম হা/১৪০৯; মিশকাত হা/২৬৮১)

কিন্তু বুখারী ও মুসলিমে ইবনু আববাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছে আছে যে, রাসূল (ছাঃ) ইহরাম অবস্থায় মায়মূনা (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন (বুখারী হা/১৮৩৭; মুসলিম হা/১৪১০)

এর জবাব এই যে, রাসূল (ছাঃ) মায়মূনা (রাঃ)-কে ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করেননি। যেমন মায়মূনা (রাঃ) নিজে বলেন যে, রাসূল (ছাঃ) তাকে বিবাহ করেন এমন অবস্থায় যে, তিনি হালাল ছিলেন (মুসলিম হা/১৪১১, মিশকাত হা/২৬৮৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘রাসূল (ছাঃ) আমাকে ‘সারিফ’ নামক স্থানে বিয়ে করেছেন। তখন আমরা উভয়ে হালাল অবস্থায় ছিলাম’ (আবুদাউদ হা/১৮৪৩, সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ)-এর খাদেম আবু রাফে‘ বলেন, রাসূল (ছাঃ) মায়মূনা (রাঃ)-কে হালাল অবস্থায় বিবাহ করেছেন এবং হালাল অবস্থায় বাসর করেছেন। আমিই ছিলাম তাদের বিবাহের ঘটক (আহমাদ হা/২৭২৪১; দারেমী হা/১৮২৫, সনদ হাসান)। এসকল হাদীছ থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, রাসূল (ছাঃ) ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করেননি।

এক্ষণে ইবনু আববাস (রাঃ)-এর বর্ণনা সম্পর্কে ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, আবু রাফে‘ বর্ণিত হাদীছটি কয়েকটি কারণে অগ্রগণ্য। (১) হাদীছটি বর্ণনার সময় ইবনু আববাস (রাঃ) দশ বছরের বালক ছিলেন। যখন আববাস (রাঃ)-এর গোলাম আবু রাফে‘ পূর্ণ যুবক ছিলেন। সঙ্গত কারণে আবু রাফে‘ তার অপেক্ষা নিরাপদ। (২) আবু রাফে‘ যেহেতু বিয়ের ঘটক ছিলেন, সেহেতু ইবনু আববাস অপেক্ষা তার বেশী জানাটাই যুক্তিসম্মত...। (৩) তাছাড়া ওমরাহ পালনের সময় ইবনু আববাস (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছিলেন না। তখন তিনি মক্কায় দুর্বল ছাহাবীগণের মাঝে অবস্থান করছিলেন। উক্ত হাদীছটি তিনি পরে শুনে বর্ণনা করেছেন। (৪) আর ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছটি ‘ইহরাম অবস্থায় বিবাহ নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) বর্ণিত কওলী হাদীছে’র বিপরীত হওয়ায় তা গ্রহণীয় হবে না’ (যাদুল মা‘আদ ৫/১০২-১০৫)

সবচেয়ে বড় কথা এই যে, বিবাহিতা মায়মূনা (রাঃ) যেখানে বলছেন, আমরা উভয়ে হালাল ছিলাম, সেখানে অন্যের সাক্ষ্য অগ্রাধিকার যোগ্য নয়।

উক্ত বিষয়ে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত হওয়া সত্ত্বেও হাদীছটি যঈফ অর্থে গরীব। তবে এর অর্থ এই নয় যে, এর বর্ণনাকারীগণ দুর্বল বা মিথ্যাবাদী। বরং ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত মায়মূনা (রাঃ) থেকে অন্য সূত্রে বর্ণিত হাদীছ বুখারীর অত্র হাদীছটির বিপরীত হওয়ায় রাবীর বক্তব্যে ভুল হওয়াটা প্রমাণিত হয়’ (আলবানী, সিলসিলাতুল হূদা ওয়ান নূর, অডিও রেকর্ড নং ০৭১)






প্রশ্ন (২১/১৮১) : অমুসলিমদের কবরস্থানে কোন মুসলমানকে কবরস্থ করায় শারঈ কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (২৪/১৪৪) : বড় ভাই হারিয়ে যাওয়ায় তার সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ছোট ভাই তার স্ত্রীকে বিবাহ করে। কিন্তু পরবর্তীতে বড় ভাই ফিরে এসেছে। এক্ষণে করণীয় কী?
প্রশ্ন (২৩/৪২৩) : প্রবাসী স্বামী বছরের পর বছর আমাকে ছেড়ে প্রবাসে রয়েছেন। শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে আমি দারুণভাবে বিপর্যস্ত। আমার অধিকার নষ্টের কারণে স্বামী কি গোনাহগার হবেন? এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৮/৪৮): আমি একটি দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তার পরিবার গরীব হওয়ায় আমার পরিবার এ বিয়েতে বাধা প্রদান করছে। এক্ষণে আমি কি পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়াই তাকে বিয়ে করতে পারি?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : অনেক সময় সম্পদশালী লোকেরা গরীব দুস্থদের ঘৃণা করে। এ আচরণের পরিণতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২২/৩০২) : পশুর পেটে বাচ্চা থাকা অবস্থায় ঐ পশু কুরবাণী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/১৭১) : মহিলাদের জন্য কুরবানীর পশু যবেহ করতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩১৫) : ছিয়াম অবস্থায় ইনজেকশনের মাধ্যমে ঔষধ বা স্যালাইন দেওয়া হ’লে ছিয়াম ভঙ্গ হবে কি? - -আলতাফ হোসেন, গুরুদাসপুর, নাটোর।
প্রশ্ন (২২/৪৬২):‘আলেমের এক ঘন্টা ইলম চর্চা একজন আবেদের সত্তর বছর ইবাদতের সমান’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ? - -শরীফুল ইসলাম, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : কবরের পাশে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি? এছাড়া কবরের পাশে গিয়ে দো‘আ করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (১৫/৩৩৫) : জনৈক ব্যক্তি খুবই আমলদার ছিলেন। তিনি মারা যাওয়াতে অনেকে কষ্টও পেয়েছেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন গোঁড়া বিদ‘আতী। তার কোন আমল কাজে আসবে কি?
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : কোন মহিলা তার দেবর বা ভাসুরের সাথে হজ্জে যেতে পারবে কি?
আরও
আরও
.