উত্তর : আক্বীদাগতভাবে সকল আহলেহাদীছই এক। শরী‘আতের ব্যাখ্যাগত পার্থক্যের কারণে কিছু প্রশাখাগত বিষয়ে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। এছাড়া অন্যান্য যেসব বিভেদ দেখা যায়, তা অনেক সময় দুনিয়াবী স্বার্থদ্বন্দ্ব ও মনের রোগ থেকে সৃষ্টি হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দায়ী হবেন। আল্লাহর নিকট তাদের জওয়াবদিহী করতে হবে এবং শাস্তি ভোগ করতে হবে (বাক্বারাহ ২/১৩৭; আলে ইমরান ৩/১০৫; আন‘আম ৬/১৫৯)। অবশ্য যদি কোন আহলেহাদীছ নামধারী ব্যক্তি কুফরী বা বিদ‘আতী আক্বীদা পোষণ ও লালন করেন এবং জেনে-শুনে যিদ বশতঃ ছহীহ হাদীছ মানতে অস্বীকার করেন, তবে তিনি প্রকৃত অর্থে আহলেহাদীছ নন।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে এযাম এবং মুহাদ্দিছ ওলামায়ে কেরামের ভাষ্য অনুযায়ী কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসারী আহলেহাদীছগণই কেবল নাজাতপ্রাপ্ত দল (তিরমিযী, মিশকাত হা/৬২৮৩, ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/৬০৩২; বাগদাদী, শারফু আছহাবিল হাদীছ; বিস্তারিত আলোচনা দেখুন: ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন কি ও কেন’ বই)

উল্লেখ্য, রাসূল (ছাঃ)-এর বাণী- ‘আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে’ (তিরমিযী হা/২৬৪১, ইবনু মাজাহ হা/৩৯৯২; মিশকাত হা/১৭১-১৭২) বলতে আক্বীদাগত বিভক্তিকে বুঝানো হয়েছে। ৩৭ হিজরীর পর থেকে যার উদ্ভব ঘটে। ফলে খারেজী ও শী‘আ এবং পরবর্তীতে ক্বাদারিয়া, জাবরিয়া, মুরজিয়া, মু‘তাযিলা সহ হাযারো দল ও মতের প্রচলন ঘটে। নামে-বেনামে যা আজও রয়েছে। অতএব যেকোন মূল্যে ফিরক্বা নাজিয়াহর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা আবশ্যক।






প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : আমি প্রাপ্তবয়স্কা নারী। গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি, কিন্তু চাকুরী না পাওয়া পর্যন্ত আববা-আম্মা বিবাহ দিবেন না। আমি হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আশংকা করছি। এমতাবস্থায় আমি কী করতে পারি?
প্রশ্ন (৩৭/১৯৭) : সরকারী উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য বয়স কম দেখানো হচ্ছে। এভাবে টাকা উঠানো জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : মাগরিবের ছালাত না আদায় করা অবস্থায় এশার জামা‘আতের সাথে মাগরিব আদায় করা যাবে কি? যদি করা যায় তবে তা কিভাবে আদায় করতে হবে?
প্রশ্ন (৫/৪৫) : আমার কাপড়ের দোকানে থ্রি পিছ বিক্রি করা হয়, যাতে ঐ পোষাকটি পরিহিতা বেপর্দা নারীর ছবি থাকে। যা দেখে ক্রেতা কাপড়টি পরলে কেমন দেখাবে তা বুঝতে পারে। এক্ষণে উক্ত ছবি রাখা বৈধ হবে কি? এছাড়া মেয়েদের মাথাকাটা প্লাস্টিকের মূর্তিতে কাপড় ঝুলিয়ে রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪০/২৮০) : দেশের প্রায় ৯০ ভাগ লেখকই লিখেছেন যে, রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম তারিখ ১২ রবীউল আউয়াল। কিন্তু মাওলানা ছফিউর রহমান তাঁর ‘আর-রাহীকুল মাখতূম’ গ্রন্থে ৯ রবীউল আউয়াল লিখেছেন। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (১৩/৪৫৩) : আমাদের সামাজিক নিয়ম অনুযায়ী গ্রামের ফিৎরা আদায়কারীকে মোট আদায়ের ৮ ভাগের ১ ভাগ পারিশ্রমিক হিসাবে দিতে হয়। এটা শরী‘আতসম্মত কি? - -আলী আববাস, কালিহাতি, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (২৬/৩০৬) : গান গাওয়া, লেখা, সুর করা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো প্রভৃতিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করা যাবে কি? এর সমর্থক হওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২/১৬২): জনৈক আলেম বলেন, খাদীজা (রাঃ)-এর দাফনের সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অশ্রু ফোঁটায় তাঁর কবর সিক্ত হলে আল্লাহ মুনকার-নাকীর কে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সওয়াল-জওয়াব করতে নিষেধ করে দেন। এ বিবরণ কি সত্য?
প্রশ্ন (১২/১৩২) : খরগোশের গোশত খাওয়া জায়েয কি?
প্রশ্ন (৩১/৩৫১) : টয়লেটে বালতি ভরে পানি রেখে সেই পানিতে পরের দিন ওযূ করা যাবে না। কেননা শয়তান তাতে প্রস্রাব করে দেয়- একথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৪/২৮৪) : অনেকের মুখে শুনা যায় যে, ছালাতের জন্য ওযূ করতে বসলে চার জন ফেরেশতা একটি চাদরের চার কোণা ধরে ওযূকারীর মাথার উপর ধরে রাখে। ওযূকারী চুপচাপ না থেকে পরপর চারটি কথা বললে ফেরেশতাগণ চাদর ছেড়ে দিয়ে চলে যান। এ বক্তব্য কি সত্য?
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩): তাবলীগ জামা‘আতের জনৈক ব্যক্তি দাবী করেছেন যে, পেশাব করার পর ৪০ কদম হাঁটতে হবে। কারণ পানি ব্যবহার করে উঠে দাঁড়ালে ফোঁটায় ফোঁটায় পেশাব পড়ে কাপড় নাপাক হয়ে যায়। ফলে ছালাত হবে না। তাদের উক্ত দাবী কি সঠিক?
আরও
আরও
.