উত্তর : আল্লাহ তা‘আলার কোন বিধান বা রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা বিনা শর্তে মেনে নেওয়াই মুমিনের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলার প্রতিটি নির্দেশনার পিছনে হিকমত রয়েছে। তবে শরী‘আতে সবগুলোর হিকমত বর্ণনা করা হয়নি। রাসূল (ছাঃ) নারীদের যে দু’টি ঘাটতির কথা বলেছেন তার কারণ হ’ল তাদের সাধারণ ভুল প্রবণতা। যেমন সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, তাদের একজন ভুলে গেলে আরেকজন স্মরণ করিয়ে দিবে (বাক্বারাহ ২/২৮২)। অপরদিকে দ্বীনের ক্ষেত্রে তাদের ঘাটতি হ’ল হায়েয ও নিফাস অবস্থায় তাদের ছালাত পড়তে না পারা বা ছিয়াম কবাযা না করা। এটি মূলতঃ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য রহমত স্বরূপ। কেননা এরূপ অবস্থায় ছিয়াম পালন করতে হ’লে তাদের জন্য কষ্টদায়ক হয়ে যেত। সুতরাং এই ঘাটতি তাদের স্বাভাবিক সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য।
স্মর্তব্য যে, নারীরা জ্ঞানে ও প্রজ্ঞায় ক্ষেত্রবিশেষে পুরুষদের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। যেমন মা আয়েশা (রাঃ) ২২১০টি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। হযরত শু‘আইব (আঃ)-এর কন্যা তার দূরদর্শিতা বলে মূসা (আঃ)-এর মত মানুষকে চিনতে পেরেছিলেন। হোদায়বিয়ার সন্ধির পর রাসূল (ছাঃ) সকলকে হালাল হওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সবাই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। তাতে তিনি মন খারাপ করে তাঁবুতে চলে যান। সেসময় স্ত্রী উম্মে সালামা তাঁকে পরামর্শ দেন যে, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি প্রথমে চুল কেটে হালাল হন। দেখবেন সবাই আপনার অনুসরণ করবে। পরে সেটাই হ’ল। অতএব নারীদের এই ঘাটতি বর্ণনার মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ) তাদের স্বভাবগত ও সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন (শায়েখ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৪/২৯২)।
প্রশ্নকারী : সুমাইয়া ইছমাত, নওদাপাড়া, রাজশাহী।