উত্তর : প্রত্যেকে নিজ নিজ অপকর্মের কারণে শাস্তি পাবে। কেউ আত্মহত্যা করলে তাকে জাহান্নামে শাস্তি ভোগ করতে হবে। কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী করে সৃষ্টি করার ব্যাখ্যা আলাদা। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের ও কেউ মুমিন। আর তোমরা যা কিছু কর, সবই আল্লাহ দেখেন’ (তাগাবুন ৬৪/২)। অত্র আয়াতে বিশ্বাসগত দিক দিয়ে মানুষকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। হয় সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী মুমিন হবে, অথবা অবিশ্বাসী কাফের হবে। আল্লাহর উপর বিশবাসী হ’লে তার সার্বিক জীবন আল্লাহর বিধান অনুযায়ী গড়ে উঠবে। আর অবিশ্বাসী হ’লে তার সার্বিক জীবন শয়তানী খেয়াল অনুযায়ী গড়ে উঠবে। পরিণতির দিক দিয়েও এক দল জান্নাতী হবে, এক দল জাহান্নামী হবে (শূরা ৪২/৭)

অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফের ও কেউ মুমিন বলার মধ্যে একটি মৌলিক দর্শনের সন্ধান রয়েছে যে, আল্লাহ কাফের-মুমিন এবং কুফর ও ঈমান সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। কিন্তু বান্দা তার ইচ্ছামত কুফর বা ঈমানকে বেছে নেয় ও সেমতে সে কাজ করে। যেটি আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা যা কর, সবই আল্লাহ দেখেন। আর সে হিসাবে তার পুরস্কার অথবা শাস্তি হয়ে থাকে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তাকে সুপথ প্রদর্শন করেছি। এক্ষণে সে কৃতজ্ঞ হৌক কিংবা অকৃতজ্ঞ হৌক’ (দাহর ৭৬/৩)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কোন লোক নেই, যার ঠিকানা জাহান্নামে বা জান্নাতে লেখা হয়নি। একথা শুনে একজন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তাহ’লে সকল আমল ত্যাগ করে আমাদের লিখিত ভাগ্যের উপর ভরসা করব না? তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে। অতঃপর তিনি কুরআন থেকে পাঠ করলেন, অতঃপর যে ব্যক্তি দান করে ও আল্লাহভীরু হয় এবং উত্তম বিষয়কে (তাওহীদকে) সত্য বলে বিশ্বাস করে, অচিরেই আমরা তাকে সরল পথের জন্য সহজ করে দেব। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কৃপণতা করে ও বেপরোয়া হয় এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে, অচিরেই আমরা তাকে কঠিন পথের জন্য সহজ করে দেব (লায়েল ৯২/৫-৭, বুখারী হা/৪৯৪৯;  মিশকাত হা/ ৮৫)

-আব্দুল কুদ্দূস, যুগীপোতা, সাতক্ষীরা।







প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : বাহাউল্লাহ অর্থ কী? বাহাঈ মতবাদের প্রবর্তক কে? এটা কখন চালু হয়েছে? এ মতবাদের অনুসারীরা কি মুসলিম? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : মাসজিদুল হারাম ও মাসজিদুল আক্বছা সর্বপ্রথম কে নির্মাণ করেন?
প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) ব্যাংকে চাকুরী করে উপার্জিত সকল অর্থই কি হারাম হবে?
প্রশ্ন (৩/৩২৩) : চিকিৎসা হিসাবে তাবীয ব্যবহার করা যাবে কি? যদি এটা শিরক হয়, তবে অন্যান্য চিকিৎসা গ্রহণ করাও কি শিরক হবে?
প্রশ্ন (১৭/৫৭) : পিতার সম্মতিক্রমে বা অবর্তমানে দাদা, নানা বা অন্য আত্মীয়-স্বজন বা প্রতিবেশীরা কারু আকীকা দিতে পারবে কি? - -আব্দুল ওয়াজেদ, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : সুন্নাত ছালাত আদায়কালে ফরয ছালাত শুরু হয়ে গেলে কিভাবে ছালাত পরিত্যাগ করতে হবে। এসময় বসে সালাম ফিরাতে হবে কি? - -আরাফাত, চৌগাছা, যশোর।
প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : রাসূল (ছাঃ) নারীদেরকে বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ দু’টিকে ত্রুটি বলার পিছনে হিকমত কি?
প্রশ্ন (২/৩৬২) : বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন চলছে, তার কারণ কি? এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৪/১১৪) : দশ বছরের শিশু বিছানায় অথবা তোষকে পেশাব করে। পরে শুকিয়ে যায়। এর উপর চাদর বিছিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে কি এবং কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : জামা‘আতবদ্ধ জীবন যাপন ইসলামে আবশ্যিক হ’লেও যথাযথ পরিবেশ না পেলে নারী হিসাবে আমার করণীয় কি? - - শারমীন নাহার, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (২০/১০০) : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) তার সমগ্র জীবনে চারটি ওমরা এবং দু’টি হজ্জ করেছেন। উক্ত বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (২৬/৬৬) : মসজিদের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টাধ্বনি বাজানো ঘড়ি রাখা যাবে কি? - -রাশেদুল ইসলামবিরল, দিনাজপুর।
আরও
আরও
.