উত্তর : ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দু’টিই হারাম। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতা উভয়কে লা‘নত করেছেন (আবুদাঊদ, তিরমিযী, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/৩৭৫৩)।
তাই ঘুষ দিয়ে চাকরী নেওয়া জায়েয নয়। এতে একদিকে ঘুষ প্রদানের কবীরা গুনাহ
হয়, অন্যদিকে ঘুষদাতা অযোগ্য হ’লে অন্য চাকরী প্রার্থীর হক নষ্ট করারও
গুনাহ হয়। এক্ষণে যদি ঐ ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে চাকরীর যোগ্য বিবেচিত হয় এবং
সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে সেক্ষেত্রে তার বেতন হালাল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
তবে তাকে ঘুষ প্রদানের জন্য তওবা ও এস্তেগফার করতে হবে।
আর যদি সে তার কর্মক্ষেত্রে অযোগ্য হয় এবং যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহ’লে তার জন্য ঐ চাকরীতে থাকা এবং বেতন নেয়া বৈধ হবে না, বরং তার উপার্জন হারাম হয়ে যাবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৩১-৩২)। এক্ষেত্রে তাঁর উচিৎ হবে, খালেছ নিয়তে তওবা করা এবং উত্তম রিযিক অনুসন্ধান করা। রাসূল (ছাঃ) বলেন, হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ কর। কেননা কোন ব্যক্তিই তার জন্য নির্ধারিত রিযিক পূর্ণরূপে না পাওয়া পর্যন্ত মরবে না, যদিও তার রিযিক প্রাপ্তিতে কিছুটা বিলম্ব হয়। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং উত্তম পন্থায় জীবিকা অন্বেষণ কর। যা হালাল তা গ্রহণ কর এবং যা হারাম তা বর্জন কর (ইবনু মাজাহ হা/২১৪৪; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭৪২)।
প্রশ্নকারী : আল-আমীন, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।