উত্তর : উক্ত
বক্তব্যটি যথার্থ। কারণ একজন আহলেহাদীছ ফাসেক যত বড় গুনাহেই লিপ্ত হৌক না
কেন সাধারণতঃ সে শিরক-বিদ‘আতে লিপ্ত হয় না। আর শিরক একটি অমার্জনীয় পাপ। যা
থাকলে তার জন্য আল্লাহ জান্নাতকে হারাম করে দেন (মায়েদাহ ৫/৭২)। আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা শিরক ব্যতীত অন্য সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন (নিসা ৪/৪৮, ১১৬)।
হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি যদি আমার নিকট ক্ষমার
আশা রাখো এবং ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। ... তুমি যদি পৃথিবী
পরিমাণ গুনাহ নিয়ে আমার নিকটে উপস্থিত হও এবং আমার সাথে কাউকে শরীক না করে
আমার সামনে আস, তাহ’লে আমি পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে উপস্থিত
হব’ (তিরমিযী হা/৩৫৪০; মিশকাত হা/২৩৩৬)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু সৃষ্টি করবে, তা প্রত্যাখ্যাত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৪০)। তিনি বলেন, ইসলামে প্রত্যেক নবোদ্ভূত বস্ত্ত হ’ল বিদ‘আত, আর প্রত্যেক বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম হ’ল জাহান্নাম’ (নাসাঈ হা/১৫৭৮)।
বিদ‘আতী কিয়ামতের দিন হাউয কাওছারের পানি পাবে না। কেননা রাসূল (ছাঃ) তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলবেন, দূর হও! দূর হও! যে ব্যক্তি আমার পরে আমার দ্বীনকে পরিবর্তন করেছ’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৫৭১)। অথচ অন্যান্য বড় পাপে জড়িত মুসলিমরা রাসূল (ছাঃ)-এর শাফা‘আতের অন্তর্ভুক্ত হবে (আবুদাউদ হা/৪৭৩৯; তিরমিযী হা/২৪৩৫, ইবনু মাজাহ হা/৪৩১০)। জেনে-শুনে বিদ‘আতকারীর কোন আমল গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে’ (বুখারী হা/৩১৭২; মুসলিম হা/১৩১৭; মিশকাত হা/২৭২৮, ত্বাবারাণী, ছহীহ আত-তারগীব হা/৫৪)।
চঞ্চল মাষ্টার
ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]