উত্তর : উক্ত ঘটনা জীবনীকারগণ বর্ণনা করেছেন (হাফেয ইবনু হাজার, আল-ইছাবাহ ৮/২০২; ইবনু আব্দিল বার্র, আল-ইস্তী‘আব ৪/১৮৬৯)। কিন্তু কেউ সনদ উল্লেখ করেননি। ইবনুল আরাবীসহ অনেক বিদ্বান বর্ণনাটিকে বাতিল বলেছেন (ইবনুল ‘আরাবী, আহকামুল কুরআন ৩/৪৮২; তাফসীরে কুরতুবী ১৩/১৮৩)।
তাছাড়া উক্ত বর্ণনায় বলা হয়েছে,وربما ولّاها شيئا من أمر السوق ‘হয়তবা
বাযারের কিছু কর্মে তাকে দায়িত্ব প্রদান করেছিলেন’। এটি প্রমাণ করে যে,
তাকে কোন স্থায়ী দায়িত্ব বা প্রশাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। হ’তে পারে
বাযারের পাশে বাড়ি হওয়ার কারণে সাধারণ কোন দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য যে, শিফা বিনতে আব্দুল্লাহ প্রসিদ্ধ মহিলা ছাহাবী ছিলেন। তিনি
হিজরতের পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং প্রথম হিজরতকারীদের অন্তর্ভুক্ত
ছিলেন। তিনি ইসলামে নারীদের প্রথম শিক্ষিকা ছিলেন এবং নারীদের তারাবীহর
ছালাতে ইমামতি করতেন বলে বর্ণিত হয়েছে (আল-ইছাবাহ ৮/২০২; তারীখে দিমাশক্ব ২২/২১৬; ত্বাবাক্বাত্ব ১/৩৭৯; আল-ইস্তী‘আব ৪/১৮৬৯; তাহযীবুল কামাল ৩৫/২০৭)।
তিনি রাসূল (ছাঃ) থেকে বেশ কিছু হাদীছও বর্ণনা করেছেন। যেমন একটি হাদীছে
রয়েছে তিনি বলেন, আমি হাফছাহ (রাঃ)-এর নিকট বসা ছিলাম, এমন সময় রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) সেখানে প্রবেশ করে বললেন, তুমি যেভাবে হাফছাকে হস্তলিপি শিখিয়েছ,
সেভাবে তাকে ‘নামলাহ’ (ফুঁসকুড়ি) রোগের মন্ত্র শিখাও না কেন? (আবুদাউদ হা/৩৮৮৭; মিশকাত হা/৪৫৬১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৬৫০)।