উত্তর : দায়িত্ব একটি আমানত। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে তার দায়িত্বে অবহেলা করে বা ফাঁকি দেয় তাহ’লে ক্বিয়ামতের দিন সে কৈফিয়তের সম্মুখীন হবে (বুখারী হা/২৫৫৪; মুসলিম হা/২৮২৯)। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা আমানত সমূহকে যথাযোগ্য স্থানে সমর্পণ কর (নিসা ৪/৫৮)। তিনি আরো বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা (অবাধ্যতার মাধ্যমে) আল্লাহ ও রাসূলের সাথে খেয়ানত করো না এবং (এর অনিষ্টকারিতা) জেনে-শুনে তোমাদের পরস্পরের আমানত সমূহে খেয়ানত করো না’ (আনফাল ৭/২৭)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কোন বান্দাকে যদি আল্লাহ কোন দায়িত্ব প্রদান করেন, আর সে কল্যাণ কামনার সঙ্গে তা যথাযথ পালন না করে, তাহ’লে সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না’ (বুখারী হা/৭১৫০; মিশকাত হা/৩৬৮৭)। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরূপ খুৎবা খুব কমই দিয়েছেন যেখানে তিনি এ কথা বলেননি যে, যার আমানতদারিতা নেই তার ঈমান নেই এবং যার অঙ্গীকার নেই তার দ্বীন নেই (আহমাদ হা/১২৪০৬; মিশকাত হা/৩৫, সনদ হাসান)। অতএব প্রত্যেককে দায়িত্ব সচেতন হওয়া আবশ্যক।
প্রশ্নকারী : মাসঊদ, বাগমারা, রাজশাহী।