উত্তর :
ছেলেদের বুক বা পিঠের স্বাভাবিক লোম তার সৃষ্টিগত সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর ধর্ম, যার উপরে তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই’ (রূম ৩০/৩০)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু কাছীর বলেন, তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করোনা। মানুষকে তাদের সৃষ্টির উপর ছেড়ে দাও (ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা রূম ৩০ আয়াত)।
অতএব মানুষের স্বাভাবিক দৈহিক সৌন্দর্য বিকৃত করা যাবেনা। যেমন নারীর লম্বা চুল, চোখের ভ্রু ও পাপড়ি, পুরুষের দাড়ি ইত্যাদি। তবে যেসব বিষয়ে শরী‘আতের অনুমোদন রয়েছে সেগুলি ব্যতীত। যেমন বাড়তি নখ কাটা, বগলের ও গুপ্তাঙ্গের লোম ছাফ করা, পুরুষের গোঁফ ছাঁটা, মাথার বাড়তি চুল কাটা ইত্যাদি। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দশটি বিষয় ফিৎরাতের অন্তর্ভুক্ত। গোঁফ ছাটা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, বগলের ও গুপ্তাঙ্গের লোম ছাফ করা... (মুসলিম হা/২৬১; মিশকাত হা/৩৭৯)।
তবে অস্বাভাবিক কিছু হ’লে তা কাটায় কোন বাধা নেই। কারণ সেটি মুবাহ বিষয়। যা কাটতে চাইলে কাটতে পারে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১৮/১০০)।
প্রশ্নকারী : আরীফুর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।