উত্তর : যেনা-ব্যভিচার হদযোগ্য কবীরা গুনাহ। এথেকে বেঁচে থাকা মুসলমানের জন্য আবশ্যক। তাদের হদ কায়েম করবে সরকার ও প্রশাসন। তারা সে দায়িত্ব পালন না করলে তারা দায়ী হবে। স্বাভাবিক অবস্থায় এই বিবাহ জায়েয নয়। জমহূর বিদ্বান এর বিরোধিতা করেছেন। কেননা গর্ভবতী নারীর সাথে সন্তান প্রসব না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ বৈধ নয় এবং যেনার সন্তান হওয়ায় উক্ত সন্তানও বৈধ নয় (ওছায়মীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়া ৩/৩৩০)। তবে বর্ণিত পরিস্থিতিতে সামাজিক বিশৃংখলা রোধে সমাজ প্রধানদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উক্ত বিবাহ বৈধ হয়েছে। এমতাবস্থায় বিবাহের পূর্বে অবশ্যই উভয়কে তওবা করাতে হবে এবং ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মতে সন্তানও পিতা-মাতার দিকে সম্পৃক্ত হবে। কারণ এই সন্তানের দাবীদার অন্য কেউ নয় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/১২২; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৩৮১-৮২)। এরূপ পরিস্থিতিতে বিবাহ বৈধ হওয়ার পক্ষে কতিপয় ছাহাবী ও তাবেঈ থেকে আছার বর্ণিত হয়েছে (বায়হাক্বী হা/২১২৬৩; মুওয়াত্ত্বা হা/২২, ২৮৮৯; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৭৪১৭; মাওয়ার্দী, আল-হাবিল কাবীর ৯/১৮৯)। ইবনু তায়মিয়াহ, হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) প্রমুখও উক্ত অভিমত সমর্থন করেছেন (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/১১০; যাদুল মা‘আদ ৫/৩৮১-৮২; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১২/১২৭)। আল্লাহ অধিক অবগত।
প্রশ্নকারী : তরীকুল ইসলাম, কুমিল্লা।