উত্তর : এরূপ ওয়াদা ভঙ্গের কারণে গুনাহগার হবে না। আর এজন্য তার নিকট ক্ষমা চাইতেও হবে না (ইমাম শাফেঈ, আল-উম্ম, ৮/৬৩১)।
কোন ব্যক্তিকে সংশোধনের উদ্দেশ্যে সমালোচনা বৈধ বা তার গোপন কথা এমন
ব্যক্তিকে বলা যায়, যার মাধ্যমে সে সংশোধন হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে
ব্যক্তি এরূপ মানত করে যে, সে আল্লাহর আনুগত্য করবে, সে যেন তাঁর আনুগত্য
করে। আর যে ব্যক্তি মানত করে যে, সে আল্লাহর নাফরমানী করবে, সে যেন তাঁর
নাফরমানী না করে (বুখারী হা/৬৭০০; মিশকাত হা/৩৪২৭)। কয়েকটি
ক্ষেত্রে সমালোচনা করা যায়, যেমন (১) অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার জন্য
(২) সমাজ থেকে অন্যায় দূর করা এবং পাপীকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে
সাহায্য করার জন্য (৩) হাদীছের সনদ যাচাই ও ফৎওয়া জানার জন্য (৪)
মুসলিমদেরকে মন্দ থেকে সতর্ক করা ও তাদের মঙ্গল কামনার ক্ষেত্রে (৫)
পাপাচার ও বিদ‘আতে লিপ্ত হ’লে তা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে (৬) কোন ব্যক্তির
প্রসিদ্ধ নাম ধরে পরিচয় দেওয়া। যেমন : কানা, খোড়া ইত্যাদি। অবশ্য এরূপ নামে
ডাকা তার মর্যাদাহানির উদ্দেশ্যে হওয়া যাবে না (নববী, রিয়াযুছ ছালেহীন, ২৫৬ অনুচ্ছেদ, পৃ. ৫৭৫)।