উত্তর : প্রতিনিয়ত আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা মুমিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন। তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন’ (নূহ ৭১/১০-১২)। তিনি আরো বলেন, ‘তবে যে তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎ কর্ম করে, আশা করা যায় সে সফলকাম হবে’ (ক্বাছাছ ২৮/৬৭)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘কিন্তুু তারা ব্যতীত যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করেছে। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন যুলুম করা হবে না’ (মারিয়াম ১৯/৬০)। হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘এক বান্দা গোনাহ করল। তারপর সে বলল, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো গোনাহ করে ফেলেছি। তাই আমার গোনাহ মাফ করে দাও। আল্লাহ বললেন, আমার বান্দা কি একথা জেনেছে যে, তার একজন প্রতিপালক আছেন, যিনি গোনাহ মাফ করেন এবং এর কারণে শাস্তিও দেন? (সে যদি জেনে-বুঝে ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে) তাহ’লে আমার বান্দাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। তারপর সে আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী কিছুকাল বিরত থাকার পর আবার গুনাহে লিপ্ত হ’ল এবং একইভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করল। তখন আল্লাহ একই জবাব দিয়ে আবারো তাকে ক্ষমা করে দিলেন। তার কিছুদিন পর তৃতীয়বারের মত গোনাহ করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা‘আলা সেবারও তার জন্য ক্ষমা ঘোষণা করলেন’ (বুখারী হা/৭৫০৭; মুসলিম হা/২৭৫৭; মিশকাত হা/২৩৩৩)। রাসূল (ছাঃ) আরো বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা! তোমরা অপরাধ করে থাক রাত-দিন, আমি সমস্ত অপরাধ মাফ করে দেই। সুতরাং তোমরা আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিব’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৬)

এ হাদীছ দ্বারা বুঝা গেল যে, আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর নিকট সঠিক পথ, খাদ্য, বস্ত্র ও ক্ষমা চাইতে বলেছেন। আর এসব কিছু তিনি প্রদান করবেন বলে ওয়াদা করেছেন। কাজেই তাঁর কাছে আমাদের চাওয়া কর্তব্য। এরূপ বহু হাদীছ রয়েছে। উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় ইমাম নববী বলেন, বান্দা যদি একশ’ বার বা হাযার বার বা ততোধিকবার পাপ করে আর প্রত্যেকবার তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ (নববী, শরহ মুসলিম হা/২৭৫৭, ১৭/৭৫; ফাৎহুল বারী ১৩/৪৭২)। আর দিনে কমপক্ষে একশত বার ইস্তেগফার করা উচিৎ। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি দিনে ৭০ বারেরও বেশী আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই এবং তাঁর নিকট তওবা করি (বুখারী, মিশকাত হা/২৩২৩)। রাসূল (ছাঃ) আরো বলেছেন, ‘হে মানব সকল! আল্লাহর নিকট তওবা কর। আমি দৈনিক একশতবার তাঁর নিকট তওবা করি’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৫)। আর বিশেষভাবে কোন পাপ থেকে তওবার জন্য দিনে বা রাতে ২ রাক‘আত ছালাত আদায় করে অনুতপ্ত হৃদয়ে একনিষ্ঠভাবে তওবা করবে।

প্রশ্নকারী : মিনহাজ পারভেয, রাজশাহী।






বিষয়সমূহ: বিবিধ
প্রশ্ন (১/২৪১) : কবিরাজের মাধ্যমে মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের বশ করিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবাহ সম্পাদন বৈধ হয়েছে কি? যদি বৈধ না হয় সেক্ষেত্রে আমার করণীয় কি? - নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকযাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৪/২৯৪) : বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসকে কি রহমত বলা যাবে? - -আব্দুর রহমান, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩১/৪৭১) : সুন্নাতকে অাঁকড়ে ধরে থাকলে ৫০ জন শহীদের ছওয়াব পাওয়া যাবে। উক্ত হাদীছ কি ছহীহ?
প্রশ্ন (১৭/১৩৭) : তাহাজ্জুদ ছালাত আলোতে না অন্ধকারে পড়া উত্তম?
প্রশ্ন (৩৫/১৫৫): একজন ইমাম ঈদের দিন ১ ঘন্টার ব্যবধানে একাধিক জামা‘আতে ইমামতি করতে পারে কি? ছাহাবায়ে কেরামের জীবনে এরূপ কোন আমল আছে কি? শরী‘আতে এ ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/২৪০) : অনেক আলেমকে দেখা যায়, সাদা দাড়িতে কলপ দিয়ে কালো করে এবং দাড়ি কেটে ছোট করে। শরী‘আতে এর অনুমোদন আছে কি?
প্রশ্ন (২৬/২৬৬) : কানাডা সরকার প্রতি মাসে সন্তান প্রতি ৫০০ ডলার প্রদান করে। পিতা-মাতার বাৎসরিক আয় অনুযায়ী বরাদ্দের পরিমাণ কমবেশী হয়। এক্ষণে সূদী কারবারের উপর প্রতিষ্ঠিত এই সরকারের অনুদান গ্রহণ করা যাবে কি? - -ইদ্রীস আলী, টরেন্টো, কানাডা।
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : পিতা সন্তানের কোন অপরাধ প্রকাশ্যে ক্ষমা করে দেওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে ‘আল্লাহ তুমি তাকে জাহান্নামে দাও এবং দুনিয়াতে ধ্বংস করে দাও’ বলে বদ দো‘আ করেন। এরূপ বদদো‘আ কবুল হবে কি? - সাইফুল ইসলাম, লাকসাম, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (৩৭/৩৭) : ইজতিহাদী মাসআলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পন্ন আলেমের সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় শারঈ কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : পল্লী চিকিৎসক হিসাবে আমাকে অনেক সময় মহিলা রোগীকে ইনজেকশন দিতে হয়, হাত বা কোমরের কাপড় সরিয়ে পুশ করতে হয়। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৪/২৪৪) : আমি এযাবৎ ধন-সম্পদের যাকাত প্রদান করিনি। এখন যাকাত দিতে চাই। যাকাত দেওয়ার পদ্ধতি জানিয়ে বাধিত করবেন?
প্রশ্ন (৮/৪৮): আমি একটি দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু তার পরিবার গরীব হওয়ায় আমার পরিবার এ বিয়েতে বাধা প্রদান করছে। এক্ষণে আমি কি পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়াই তাকে বিয়ে করতে পারি?
আরও
আরও
.