উত্তর : বিবাহের
ক্ষেত্রে কন্যা পক্ষের কোন দায়িত্ব নেই মেহমানদারী ব্যতীত। আর ছেলে পক্ষের
উপর অলীমা করা ওয়াজিব। এক্ষণে প্রশ্নমতে নেকীর কাজে যে কেউ যে কাউকে
সাহায্য করতে পারে (মায়েদাহ ৫/২)। বরং এরূপ ভালো কাজে পরস্পরকে
সহযোগিতা করা উত্তম। ৫ম হিজরীতে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে যয়নবের বিয়ের পর তার
ওয়ালীমার জন্য উম্মে সুলায়েম (রাঃ) তাঁর ছেলে আনাস (রাঃ)-এর মাধ্যমে খেজুর,
ঘি ও পনির দিয়ে তৈরী খাদ্য ‘হাইস’ প্রেরণ করেন (বুখারী হা/৫১৬৩; মুসলিম হা/১৪২৮; মিশকাত হা/৫৯১৩)।
৭ম হিজরীতে খায়বার যুদ্ধের পর ছাফিয়া (রাঃ)-এর সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর বিবাহ
হ’লে রাত্রিতে উম্মে সুলায়েম (রাঃ) তার জন্য বাসর সজ্জার ব্যবস্থা করেন এবং
রান্না খাবার সহ উপঢৌকন প্রেরণ করেন। অতঃপর সকালে ওয়ালীমার জন্য রাসূল
(ছাঃ) দস্তরখান বিছিয়ে দিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, যার কাছে যা আছে নিয়ে
এস। তখন কেউ খেজুর, কেউ ঘি, কেউ ছাতু নিয়ে আসল। অন্য বর্ণনায় এসেছে ‘পনির’।
অতঃপর তা দিয়ে উন্নতমানের ‘হাইস’ খাদ্য বানানো হ’ল ও তা দিয়ে ওয়ালীমা করা
হ’ল (বুখারী হা/৩৭১, ৫০৮৫; মুসলিম হা/১৩৬৫)। ২য় হিজরীতে বদর যুদ্ধের পর আলী (রাঃ)-এর সাথে ফাতেমা (রাঃ)-এর বিবাহের ওয়ালীমায় আনছার ছাহাবীগণ সহযোগিতা করেন (আহমাদ হা/২৩০৮৫; আলবানী, আদাবুয যিফাফ ১৭৩ পৃ.)। রাসূল (ছাঃ)-এর অন্যতম খাদেম রাবী‘আ আসলামীর বিবাহের ওয়ালীমায় রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে আনছার ছাহাবীগণ সহযোগিতা করেন (আহমাদ হা/১৬৬২৭; মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৭৩৩৪; ছহীহাহ হা/৩২৫৮)।
সুতরাং বিবাহের দিন খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বা পরদিন অলীমায় উভয়পক্ষ পরস্পরকে
সহযোগিতা করতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কোন অবস্থাতেই কোন পক্ষকে বাধ্য করা
যাবেনা।
প্রশ্নকারী : আহমাদুল ইসলাম, নওদাপাড়া, রাজশাহী।