প্রশ্নকারী : আযীযুল ইসলাম, পিরুজালী, গাযীপুর।

উত্তর : জমি ক্রয় বা বিক্রয় করে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা না থাকলে বা অন্যের হক বিনষ্ট করার উদ্দেশ্য না থাকলে  এরূপ চুক্তি জায়েয। রাসূল (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ তাদের পরস্পরের শর্তানুযায়ী কাজ করবে যদি তা হালাল হয় (হাকেম হা/২৩১০; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৭১৫)। ইমাম বুখারী ‘দালালের মজুরী’ শিরোনামে অধ্যায় রচনা করে বলেন,  ইবনু সীরীন, আতা, ইব্রাহীম ও হাসান বাছরী দালালীর মজুরীতে কোন দোষ মনে করেননি। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, যদি কেউ বলে যে, তুমি এ কাপড়টি বিক্রি করে দাও। এর উপর যা বেশী হয় তা তোমার, এতে কোন দোষ নেই। ইবনু সীরীন বলেন, যদি কেউ বলে যে, এটা এত এত দামে বিক্রি করে দাও, লাভ যা হবে তা তোমার, অথবা তা তোমার ও আমার মধ্যে সমান হারে ভাগ হবে, তবে এতে কোন দোষ নেই (বুখারী ৮/৩০১)। ক্বায়েস ইবনু আবী গারাযাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় আমাদের (ব্যবসায়ীদের) ‘সামাসিরাহ’ (السَّمَاسِرَةَ) বা দালাল বলা হ’ত। এরপর একদিন রাসূল (ছাঃ) আমাদের পাশ দিয়ে গমন করেন এবং তিনি আমাদের পূর্বের নামের চাইতে উত্তম নামে আখ্যায়িত করে বলেন, হে ব্যবসায়ী দল (يَا مَعْشَرَ التُّجَّارِ)! বেচা-কেনার মধ্যে (অনেক সময়) অনর্থক কথাবার্তা এবং কসম জড়িত হয়ে থাকে। তোমরা কিছু দান করে তাকে দোষমুক্ত করে নিবে (আবুদাঊদ হা/৩৩২৬; তিরমিযী হা/১২০৮; শায়খ বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৯/৩৫৮; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ১০/১৫১)। 

উল্লেখ্য যে, দালালীর নামে কোন প্রকার প্রতারণা করা যাবে না (বুখারী হা/৬৯৬৩)। যেমনটি বর্তমান সমাজে বহুল প্রচলিত হয়ে গেছে। যেমন কোন পণ্য ক্রয়ের উদ্দেশ্য ছাড়াই কেবল দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত দাম বলা, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে মিথ্যা বলা, মিথ্যা কসম করা বা অতিরঞ্জিত কথা বলা ইত্যাদি।







বিষয়সমূহ: মহিলা বিষয়ক
প্রশ্ন (৩৩/২৩৩) : একদা মু‘আবিয়া (রাঃ) মদীনার মসজিদে এশার ছালাতের ইমামতি করেন। তিনি ‘সূরা ফাতিহার শুরুতে’ বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রাহীম’ নীরবে পাঠ করেন। ফলে আনছার ও মুহাজির ছাহাবীগণ মু‘আবিয়া (রাঃ)-কে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি ছালাত চুরি করলেন না ভুলে গেলেন? পরবর্তীতে তিনি আর কখনো নীরবে পড়েননি। উক্ত ঘটনা কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৭/২৩৭) : সূরা জিন ৭০০ বার পড়লে জিন হাযির হয়। এ কথার সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : সুন্নাত ছালাতের ক্বাযা আদায় করতে হবে কি? না করলে গুনাহগার হতে হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/৩৭৯) : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন যে, রামাযান মাসে ইতিকাফকারী দু’টি হজ্জ ও দু’টি ওমরাহ করার সমপরিমাণ নেকী পায়। এর কোন সত্যতা আছে কি? - -মাহমূদ সরদার, পিরোজপুর।
প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : বিদেশে কর্মরত অবস্থায় সবসময় ছালাত ক্বছর করা যাবে কি? - -মাসঊদ শেখ, মুর্শিদাবাদ, ভারত।
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : কী কী কারণে কাবীরা গোনাহ হয়।
প্রশ্ন (৭/৭) : হযরত ওমর (রাঃ) সম্পর্কে শোনা যায় তিনি রাতে প্রজাদের অবস্থা দেখার সময় জনৈক মাকে শুন্য হাড়ি চড়িয়ে ক্ষুধার্ত শিশুদের সান্ত্বনা দেওয়ার দৃশ্য দেখে স্বয়ং বায়তুল মাল থেকে পিঠে খাদ্যদ্রব্য বহন করে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন। এ ঘটনার কোন সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : স্ত্রীকে মোহর দেওয়ার ক্ষেত্রে সাক্ষী রাখা কি যরূরী? স্ত্রী পরবর্তীতে অস্বীকার করলে সেক্ষেত্রে স্বামীর করণীয় কি? - -আবু ছালেহ, বগুড়া।
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : বিতর ছালাত নিয়মিতভাবে এক রাক‘আত পড়া যাবে কি? এক রাক‘আত উত্তম হলে রামাযানে নিয়মিত ৩ রাক‘আত পড়ার কারণ কি? - -মামূন, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (২৯/২৬৯) : ইমাম মাহদী (আঃ)-এর আগমনের পূর্বে জুলফি নক্ষত্রের উদয় সম্পর্কে যে হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সেটা ছহীহ কি না? - -আয়েন আহমাদ, মোড়াগাছা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৩৪/২৭৪) : জনৈক আলেম বলেন, আহলেহাদীছ হতে হলে এক লক্ষ হাদীছের হাফেয হতে হবে। এ কথার সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৮/৪৪৮) : অধিকাংশ আলেম বলেন, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ পৃথক ছালাত। তাহাজ্জুদ ১১ রাক‘আত আর তারাবীহ ২০ রাক‘আত। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
আরও
আরও
.