উত্তর : আল্লাহ বলেন, তোমরা নেকী ও তাক্বওয়ার কাজে পরস্পরকে সাহায্য কর এবং গুনাহ ও অন্যায়ের কাজে সাহায্য করো না’ (মায়েদাহ ৫/২)।
অতএব কোন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যদি শরীআ‘তের উপরোক্ত নির্দেশনা
মেনে দায়িত্ব পালন করা দুঃসাধ্য হয়, তাহ’লে ঐরূপ চাকুরী থেকে বিরত থাকাই
কর্তব্য। রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, অবশ্যই তোমাদের উপরে এমন শাসকদের আগমন ঘটবে,
যারা নিকৃষ্ট লোকদের কাছে টানবে এবং উত্তম লোকদের পিছনে সরিয়ে দিবে। তারা
ছালাতকে তার ওয়াক্ত থেকে পিছিয়ে দেবে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে পাবে,
তারা যেন কখনোই তাদের গুপ্তচর, পুলিশ, কর আদায়কারী এবং রাজস্ব কর্মকর্তা
হিসাবে নিযুক্ত না হয়’ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৪৫৮৬; মুসনাদে আবী ইয়া‘লা হা/১১১৫; ছহীহাহ হা/৩৬০)।
ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি তাতে মুসলমানদের জন্য কল্যাণ থাকে এবং সে তা করতে সক্ষম হয়, তাহ’লে তার জন্য চাকুরী ত্যাগ করা সমীচীন হবে না... বরং সাধ্যমত অন্যায় থেকে বেঁচে থাকবে। তবে দ্বীন পালন করা সম্ভব না হ’লে বা তার যুলুমে সহযোগিতা করা ছাড়া কোন উপায় না থাকলে উক্ত চাকুরী করা যাবে না (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৮/২৬, ২৮৩; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/৭৯৩-৯৪ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : মামূনুর রশীদ, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর।