উত্তর : উক্ত দাবী বিভ্রান্তিমূলক। কেননা দাড়ি লম্বা করা সম্পর্কে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে أعفوا، أوفروا، وفروا، أوفوا ارخوا، ارجوا،  ইত্যাদি শব্দ এসেছে। যার অর্থ দাড়িকে (কোন প্রকার কাটছাট ছাড়াই) স্বীয় অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৪৪২১; মুসলিম হা/৬২৫-২৬)। অতএব ‘অল্প লম্বা কর’ এধরনের অর্থ করাটা মনগড়া। রাসূল (ছাঃ) কখনো দাড়ি ছোট করেছেন মর্মে কোন ছহীহ দলীল নেই। অতএব তাঁর উম্মত হিসাবে আমাদেরকেও দাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।

তিরমিযীতে আমর ইবন শু‘আইব তার পিতা ও দাদার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাঁর দাড়ির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ থেকে কাট-ছাট করতেন বলে যে বর্ণনা এসেছে তা জাল। সুতরাং এটি গ্রহণযোগ্য নয় (তিরমিযী হা/২৭৬২; মিশকাত হা/৪৪৩৯; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৮)। অনুরূপভাবে হজ্জ বা ওমরা করার সময় ইবনু ওমর (রাঃ) এক মুষ্টির অধিক দাড়ি কেটে ফেলতেন মর্মে যে বর্ণনা এসেছে সেটা তার ব্যক্তিগত আমল। অন্য সময়ে তিনি এরূপ করতেন না। সুতরাং তা দলীল হিসাবে গ্রহণীয় নয় (ফাতহুল বারী ১০/৪২৮-২৯, হা/৫৮৯২-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)

রাসূল (ছাঃ) কালো কলপ ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে বলেছেন (মুসলিম হা/৫৬৩১; মিশকাত হা/৪৪২৪)। অন্য হাদীছে এসেছে, যারা কালো কলপ ব্যবহার করবে তারা জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না (আবুদাঊদ হা/৪২১২; মিশকাত হা/৪৪৫২, সনদ ছহীহ)। আবুবকর ও ওমর (রাঃ) সহ অন্যরা কালো কলপ ব্যবহার করতেন বলে প্রশ্নে যে দাবী করা হয়েছে তা সঠিক নয়। বরং আবুবকর (রাঃ) মেহেদী ও ‘কাতাম’ ঘাস দিয়ে কলপ করতেন। কাতাম হল এক ধরনের ইয়ামেনী ঘাস, যা দ্বারা কলপ করলে লাল ও কালো রঙের মিশ্রণ হয়। আর ওমর (রাঃ) শুধুমাত্র মেহেদী দ্বারা কলপ করতেন (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৩৫৫, হা/১৮০৬-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)

উল্লেখ্য যে, আরবদের মধ্যে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করেন রাসূল (ছাঃ)-এর দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব। আর সাধারণভাবে প্রথম কালো কলপ ব্যবহার করে ফেরাউন (ফাৎহুল বারী ১০/৪৩৫, হা/৫৮৯৯-এর ব্যাখ্যা দ্রঃ)। সুতরাং লেখকের উক্ত দাবী সঠিক নয়।






প্রশ্ন (২১/৩৪১) : জনৈক বক্তা বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আবূবকর ও ওমর (রাঃ) আমার জন্য মূসা ও হারূন (আঃ)-এর ন্যায়। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (১৩/৩৭৩) : বজ্রপাতের সময় কোন দো‘আ আছে কি? - আছিফ, কমলাপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (৬/৬) : আমি একজন মুওয়াযযিন। আমার দুই স্ত্রী এবং ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে আছে। সম্পদের ৪ ভাগের ৩ ভাগ আমি ছেলেমেয়েদের মাঝে হেবা বিল এওয়ায মোতাবেক বণ্টন করেছি। কিন্তু ইমাম ছাহেব বলছেন, মালিক জীবিত অবস্থায় বণ্টন করা জায়েয নয়। তাই তা ফেরত না নিলে চাকুরী করা যাবে না। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -আব্দুল জাববারআত্রাই, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৯/১৮৯) : আমি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে ১৯-২০ লক্ষ টাকা ঋণ করে নষ্ট করে ফেলেছি। বর্তমানে আমি একটা চাকুরী করে মাসে ২০ হাযার টাকা বেতন পাই। আমাকে এখন পাওনাদার প্রতিদিনই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। আমি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত। এমতাবস্থায় আমি কি করতে পারি? - -বায়েজীদ হোসাইন, রংপুর।
প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : জনৈক বক্তা বলেন, নিয়মিত মেসওয়াককারী মুসলমান ৭০টি পুরস্কার পাবেন, তার মধ্যে ৭০ নং পুরস্কার হ’ল কালেমা সহ হাসিমুখে মৃত্যুবরণ। একথা কি সত্য?
প্রশ্ন (৩৫/৪৩৫) : আমরা সিঙ্গাপুরে কাজ করি। সেখানে জুম‘আর দিনে ছুটি নেই। খুব অল্প সময়ের জন্য ছুটি দেওয়া হয়। মসজিদে গেলে সময় থাকে না। আমরা যেখানে কাজ করি সেখানে সবাই মিলে আযান দিয়ে জুম‘আ আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/১২৪) : আদম ও ইবরাহীম (আঃ) সহ অন্যান্য নবীগণ মৃত্যুবরণ করা সত্ত্বেও মি‘রাজ রজনীতে রাসূল (ছাঃ) কিভাবে তাঁদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন? - -রায়হানুল করীম, বাড্ডা, ঢাকা।
প্রশ্ন (১২/৩৭২) : দিনের বেলায় স্বপ্নদোষ হ’লে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে কি?
প্রশ্ন (২৮/২২৮) : জেহরী ছালাত মসজিদে একাকী পড়ার ক্ষেত্রে পার্শ্বে যদি অন্যান্য মুছল্লী থাকে সেক্ষেত্রে সশব্দে ক্বিরাআত করা জায়েয হবে কি? - -শাহনেওয়ায, রাজেন্দ্রপুর, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৩৪/৩১৪) : নারীদের মসজিদে ছালাত আদায়ের চেয়ে নিজ গৃহে ছালাত আদায়ে ছওয়াব বেশী কি?
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণের সংখ্যা কত ছিল?
প্রশ্ন (৯/৪০৯) : কোন অমুসলিমকে দান করলে ছওয়াব পাওয়া যাবে কি?
আরও
আরও
.