উত্তর : আল্লাহর গুণাবলী দু’ভাবে বিভক্ত। (১) সত্তাগত গুণাবলী। যেমন তাঁর চেহারা, হাত, পা, চক্ষু, কর্ণ ইত্যাদি। আল্লাহ বলেন, وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ- ‘কেবল অবশিষ্ট থাকবে তোমার প্রতিপালকের চেহারা। যিনি মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী’ (রহমান ৫৫/২৭)। এখানে চেহারাকে আল্লাহর সত্তাগত গুণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। আর সে কারণেই ‘যুল জালালে’ বলা হয়েছে। নইলে ‘যিল জালালে’ বলা হ’ত। তিনি বলেন, كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلاَّ وَجْهَهُ، ‘সবকিছুই ধ্বংস হবে তাঁর চেহারা ব্যতীত’ (ক্বাছাছ ২৮/৮৮)। (২) কর্মগত গুণ। যেমন আল্লাহ বলেন, اللهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ، ‘আল্লাহ সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা’ (যুমার ৩৯/৬২)। এর মধ্যে আল্লাহর সৃষ্টিগুণ বর্ণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, আল্লাহর সত্তা হ’ল আদি। তাঁর পূর্বে কিছুই ছিলনা। পরে তিনি পানি সৃষ্টি করেন এবং আরশ সৃষ্টি করেন, যা পানির উপরে ছিল’ (বায়হাক্বী, আল-ই‘তিক্বাদ ২৯-৩১ পৃ.; মুখতাছার ছাওয়ায়েকুল মুরসালাহ ২/১৭৯-১৮০)। সত্তাগত ও কর্মগত গুণ সমূহ যখন আল্লাহর দিকে সম্বন্ধিত হয়, তখন সেটি আল্লাহর সত্তা হিসাবে গণ্য হয়। পৃথক কোন সৃষ্টি হিসাবে নয়। যদিও বাহ্যতঃ এগুলি পৃথক। যেমন মসজিদে প্রবেশের সময় রাসূল (ছাঃ) বলতেন, أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ، ‘আমি বিতাড়িত শয়তান হ’তে আশ্রয় প্রার্থনা করছি মহান আল্লাহর নিকটে এবং তাঁর সম্মানিত চেহারার মাধ্যমে’ (আবুদাঊদ হা/৪৬৬; মিশকাত হা/৭৪৯)। এখানে তাঁর চেহারা ও ক্ষমতাকে পৃথকভাবে বলা হ’লেও তার অর্থ আল্লাহর সত্তা। সেটি পৃথক কোন মাখলূক নয়, যেমন আল্লাহর কালামও মাখলূক নয়। যেটি বলে থাকেন নির্গুণবাদী জাহমিয়া, মু‘আত্ত্বিলাহ, মু‘তাযিলা প্রভৃতি ভ্রান্ত ফিরকার লোকেরা। ক্বিয়ামতের দিন মুমিনগণ আল্লাহকে তাঁর নিজস্ব চেহারায় দেখতে পাবেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৫৫৫৫)। কিন্তু অবিশ্বাসীগণ ও কপটবিশ্বাসীগণ তাঁর দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে (মুত্বাফফেফীন ৮৩/১৫; বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : ‘আল্লাহকে দর্শন’ বই)।  

বস্ত্ততঃ আল্লাহর গুণাবলী কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, সেভাবেই প্রকাশ্য অর্থে বিশ্বাস করতে হবে কোনরূপ পরিবর্তন, সামঞ্জস্যকরণ, শূন্যকরণ, প্রকৃতি নির্ধারণ, তুলনাকরণ বা আল্লাহর উপরে ন্যস্তকরণ ছাড়াই। আল্লাহর নিজস্ব আকার আছে, যা কারু সাথে তুলনীয় নয়। তিনি বলেন, لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ  ‘তাঁর তুলনীয় কিছুই নেই। তিনি সবকিছু শোনেন ও দেখেন’ (শূরা ৪২/১১)। আয়াতটি ‘তাওহীদুল আসমা ওয়াছ ছিফাতে’র অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর একত্ব প্রমাণিত হয়। যা অনন্য ও অতুলনীয়।

প্রশ্নকারী : রণি*, দূর্গাপুর, নেত্রকোনা।

[*আরবীতে সঠিক ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]






প্রশ্ন (২৪/৩৮৪) : কুরবানীর জন্য ক্রয়কৃত বা উক্ত উদ্দেশ্যে পোষা পশুর চাইতে উত্তম পেলে তা পরিবর্তন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : মৃত্যুর কতদিনের মধ্যে ওয়ারিছদের মাঝে সম্পদ বণ্টন করতে হয়? এতে কেউ গড়িমসি করলে কোন পাপ হবে কি? - মোর্শেদ মা‘ছূম, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৩/২৩) : ভুলে গিয়ে ফরয গোসল না করেই কয়েক ওয়াক্ত ছালাত আদায় করেছি। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১১/৪১১) : মসজিদে ইফতার দাতাদের তালিকা করার ক্ষেত্রে ২৭শে রামাযান ইফতার দেওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। উক্ত দিনে ইফতার খাওয়ানোর বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি? - -আব্দুল বারী, বিরামপুর, দিনাজপুর।
প্রশ্ন (৮/৮) : আমাদের এলাকায় কেউ মারা গেলে তার বাড়িতে উন্নত খাবারের আয়োজন করা হয় এবং মৃতের জানাযায় উপস্থিত সকলকে খাওয়ানো হয়। এরূপ পদ্ধতি জায়েয কি?
প্রশ্ন (২৫/২৫) : বর্তমান সমাজে মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অধিকাংশ অভিভাবক মেয়েদের সর্বোচ্চ শিক্ষা ও চাকুরী করার আগ পর্যন্ত বিবাহ দিতে রাযী হন না। এরূপ মেয়েরা চরিত্র রক্ষার্থে পিতা-মাতার অমতে বিবাহ করতে চাইলে করণীয় কি?
প্রশ্ন (৬/১২৬) : রাসূল (ছাঃ) ও ছাহাবীদের জীবন নিয়ে কোন নাটক-সিনেমা করা যাবে কি? - -নূরুল ইসলাম, বহরমপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১/২০১) : ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যে ইনসুলিন দেওয়া হয়, তাতে শূকরের কোষ থেকে গৃহীত উপাদান রয়েছে। এক্ষণে উক্ত ঔষধ গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/১৯৮) : মাথা মাসাহ করার পর ঘাড় মাসাহ করতে হবে কি? এ বিষয়ে দলীল সহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১০/১৭০) : সফরে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত কয় রাক‘আত এবং কোন কোন সুন্নাত আদায় করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। - -মাসঊদ মাহমূদ, মান্দা, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৬/৩২৬) : অনেকে নিয়মিত ছালাত ও ছিয়াম পালন করে। কিন্তু সর্বদা টাখনুর নীচে কাপড় পরে। অথচ হাদীছে আছে, টাখনুর নীচে কাপড় পরিধানকারী ব্যক্তি জাহান্নামী। উক্ত ব্যক্তির পরিণাম কী হবে?
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলার ব্যবস্থা আছে। যা খেলে সব বয়সের মানুষ প্রচুর সময়ের অপচয় করে। এগুলো খেলা জায়েয হবে কি?
আরও
আরও
.