উত্তর : মূর্তি ও ভাষ্কর্যের মধ্যে অর্থগত পার্থক্য থাকলেও উদ্দেশ্য একই। মূর্তি হ’ল অবয়ব বা প্রতিকৃতি। আর প্রস্তরাদি খোদাই করে যে মূর্তি তৈরী হয় তা-ই ভাষ্কর্য। ইসলামী শরী‘আতে মূর্তি ও ভাষ্কর্য দু’টির মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয়নি। কোনটি পূজনীয়, আর কোনটি পূজনীয় নয়- এমন কোন ভাগও করা হয়নি। রাসূল (ছাঃ) মক্কা বিজয়ের পর আলী (রাঃ)-কে লোকালয়ে পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোন ভাষ্কর্য পেলেই তা ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলবে। আর কোন কবর উঁচু পেলেই তা ভেঙ্গে মাটি সমান করে দিবে (মুসলিম হা/৯৬৯; মিশকাত হা/১৬৯৬)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ভাষ্কর্য ভেঙ্গে ফেলতে বলেছেন এই কারণে যে, এর মাধ্যমে শিরক হয়ে থাকে (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১৭/৪৬২ পৃ.)। মূলতঃ অপূজনীয় ভাষ্কর্যের মাধ্যমেই পৃথিবীতে প্রথম মূর্তিপূজার সূচনা হয়। ইবনু আববাস (রাঃ) সূরা নূহে বর্ণিত ওয়াদ, সুয়া‘ ইয়াগূছ, ইয়াঊক, নাসর প্রভৃতি মূর্তি সম্পর্কে বলেন, এগুলি হচ্ছে নূহ (আঃ)-এর সম্প্রদায়ের কতিপয় নেককার ব্যক্তির নাম। তারা যখন মৃত্যুবরণ করল, তখন শয়তান তাদের সম্প্রদায়কে কুমন্ত্রণা দিয়ে বলল, যেসব জায়গায় তাদের মজলিস বসত সেসব জায়গায় তাদের মূর্তি স্থাপন কর এবং তাদের সম্মানার্থে তাদের নামেই মূর্তিগুলির নামকরণ কর। তখন তারা তাই করল। তবে তাদের জীবদ্দশায় ঐ সমস্ত মূর্তির পূজা করা হয়নি, কিন্তু মূর্তি স্থাপনকারীরা যখন মৃত্যুবরণ করল এবং লোকেরা মূর্তি স্থাপনের ইতিকথা ভুলে গেল তখনই এগুলির ইবাদত বা পূজা শুরু হ’ল (বুখারী হা/৪৯২০)

ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, সম্মান প্রদর্শনের জন্য মূর্তি বা ভাষ্কর্য বানানোকে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এর মাধ্যমে বড় শিরক বা ছোট শিরক হ’তে পারে (ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ২/৩৩৪ পৃ.)। মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) কা‘বাগৃহে প্রবেশের আগে ভিতর থেকে সমস্ত মূর্তি ও প্রতিকৃতি বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি তার মধ্যে ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আঃ)-এর দু’টি প্রতিকৃতি দেখেন। তখন তিনি বলেন, ‘ইব্রাহীম কখনো ইহূদী বা নাছারা ছিলেন না। বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। আর তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না’ (আলে ইমরান ৩/৬৭)। এভাবে তিনি সকল মূর্তি-প্রতিকৃতি মিটিয়ে না ফেলা পর্যন্ত সেখানে প্রবেশ করেননি (বুখারী হা/৩৩৫২; আহমাদ হা/৩৪৫৫)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, মারিয়াম, ঈসা, জারজিস প্রমুখ সৎ ব্যক্তির ভাষ্কর্য নির্মাণের মাধ্যমে মানুষ মূর্তিপূজার ন্যায় বড় শিরকে লিপ্ত হয়ে পড়ে (ইগাছাতুল লাহফান ২/২৯২ পৃ.)। ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে কোন প্রকার প্রাণীর মূর্তি বা মূর্তির অনুরূপ অবয়ব, চাই সেটা ভাষ্কর্য হৌক বা ছবি হৌক এবং তা পূজার জন্য হৌক বা না হৌক, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। বরং এগুলিকে কুরআনে অপবিত্র ও অরুচিকর বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মূর্তির অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক’ (হজ্জ ৩০)। রাসূল (ছাঃ) ছবি বা প্রতিকৃতি নির্মাণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সর্বাধিক আযাবপ্রাপ্ত লোক হবে ছবি প্রস্ত্ততকারীগণ’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৯৭)। তাদেরকে বলা হবে, ‘তোমরা যা সৃষ্টি করেছিলে, তা জীবিত কর’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৯২)। হাদীছে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ বলেন, ‘আমার সৃষ্টির মত করে যে ব্যক্তি (প্রাণী) সৃষ্টি করতে যায়, তার চেয়ে বড় যালেম আর কে আছে? পারলে তারা একটি পিঁপড়া বা শস্যদানা বা একটি যবের দানা সৃষ্টি করুক তো দেখি!’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৪৪৯৬; ফাৎহুল বারী ১০/৩৯৮ পৃ.; দ্র. ‘ছবি ও মূর্তি’ বই)।  

প্রশ্নকারী : মুহাইমিনুল হক, শ্যামলী, ঢাকা







প্রশ্ন (৬/৪৪৬) : যিনি মুরশিদ তিনি রাসূল। কখনো তিনি খোদা হন। এ কথা শুধু লালন নয় কুরআনও বলে। এর প্রমাণে তারা আলে ইমরান ৩১; নিসা ৮০, ১৫০; কাহ্ফ ১১০ আয়াত দলীল হিসাবে পেশ করে। উক্ত দাবী কি সঠিক? লালনের ভক্ত এই শ্রেণীর লোকদের অবস্থা পরকালে কী হবে?
প্রশ্ন (১৮/৩৫৮) : আমাদের সরকারী অফিসে অনেক কর্মকর্তা আছেন, যারা দ্বীনী কাজের অজুহাতে মাসের অর্ধেক দিন অফিস ফাঁকি দেন। যদিও তারা ধর্মীয় কার্যাবলী সুচারুরূপে করেন। কিছু বলা হ’লে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি রয়েছে বলে জানান। অথচ সরকারী চাকুরী বিধি সবার উপর সমভাবে প্রযোজ্য। এরূপ অন্যায়ের জন্য তাকে গুনাহগার হ’তে হবে কি? - -আব্দুন নূর, কোনাবাড়ী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : কোন ব্যক্তি নিজের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্য কাফনের কাপড় কিনে রাখতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৮/৩৬৮) : মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি কিভাবে তার ওয়ারিছগণের মধ্যে বণ্টিত হবে? মৃতব্যক্তি কোন অছিয়ত করে গেলে এবং তার ওয়ারিছগণ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই অছিয়ত পূরণ না করলে কে দায়ী হবে? এজন্য মৃতব্যক্তির কবরে আযাব হবে কি?
প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : ইরি মৌসুমে আমার ধান হয় ২০ বস্তা, যার মূল্য প্রায় ২০ হাযার টাকা। আমার ঋণ আছে ৪০ হাযার টাকা। এক্ষণে ওশর দেওয়া উত্তম, না ঋণ পরিশোধ করা উত্তম?
প্রশ্ন (৩/১২৩) : ওমর (রাঃ) বলেন, ‘যদি ফোরাত নদীর কূলে একটি ভেড়ার বাচ্চাও হারানো অবস্থায় মারা যায়, তাতে আমি ভীত হই যে, সেজন্য আমাকে ক্বিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হ’তে হবে’- এ মর্মে বর্ণিত আছারটির বিশুদ্ধতা জানতে চাই? - -আব্দুর রহমান, মনোহরদী, নরসিংদী।
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : ৭টি কারণে দরিদ্রতা আসে। যথা- দ্রুত ছালাত, দাঁড়িয়ে পেশাব, পেশাবের স্থানে ওযূ, দাঁড়িয়ে পানি পান, ফুঁ দিয়ে বাতি নেভানো, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, পরিধেয় বস্ত্ত দ্বারা মুখ ছাফ করা। এটি কি কোন হাদীছ? - -আব্দুল ওয়াহীদ, যশোর।
প্রশ্ন (৮/৮৮) : মায়ের গোসলের পানি দ্বারা বরকত হাছিল করা যাবে কি? - -মুবারক হোসাইন, আটঘরিয়া, পাবনা।
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : ইবনু ছাইয়াদকে রাসূল (ছাঃ) দাজ্জাল বলে সন্দেহ করার কারণ কি? তাহ’লে দাজ্জাল কি পূর্ব থেকেই জীবিত না কি শেষ যামানায় জন্ম লাভ করবে?
প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) : সন্তান লাভের জন্য কি কি দো‘আ ও আমল করা যাবে বিস্তারিত জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : আল্লাহ তা‘আলার কোন ছিফাত বা গুণবাচক নামের মাধ্যমে কিছু প্রার্থনা করা যাবে কি? যেমন কেউ বলল, হে আল্লাহর কালাম! তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও ইত্যাদি।
প্রশ্ন (৩৯/১৫৯) : ছালাতরত অবস্থায় সিজদার স্থানের ভিতর দিয়ে কুকুর, বিড়াল বা ছাগল জাতীয় কোন প্রাণী হেঁটে গেলে ছালাত বাতিল হয়ে যাবে কি?
আরও
আরও
.