উত্তর
: উক্ত দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং মর্যাদার দৃষ্টিকোণ থেকে রাসূল
(ছাঃ)-এর পরপর দুই কন্যাকে বিবাহ করায় ওছমান (রাঃ)-কে উক্ত লকবে ডাকা হয় (যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ২/৪৫১)।
উল্লেখ্য যে, اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُوْرِى ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার
নূর সৃষ্টি করেন’ বলে যে হাদীছ প্রচলিত আছে তা মওযূ‘ বা জাল (ছহীহাহ হা/৪৫৮-এর আলোচনা দ্র.)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বা তার সন্তানেরা কেউ নূরের তৈরী ছিলেন না। বরং তারা
মাটির মানুষ ছিলেন। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বল, নিশ্চয় আমি তোমাদেরই মত একজন
মানুষ ব্যতীত নই’... (কাহ্ফ ১৮/১১০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি একজন মানুষ ব্যতীত নই’... (মুসলিম হা/২৩৬২; মিশকাত হা/১৪৭; বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৭৬১ ‘নেতৃত্ব ও পদমর্যাদা’ অধ্যায়)।
তিনি বলেন, ‘খৃষ্টানরা যেমন তাদের নবী ঈসা ইবনু মরিয়মের ব্যাপারে অতিরঞ্জিত প্রশংসায় লিপ্ত হয়, আমার ব্যাপারে তেমন প্রশংসা থেকে তোমরা বেঁচে থাক। বরং বল, আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ; মিশকাত হা/৪৮৯৭)।
প্রশ্নকারী : ওবায়দুর রহমান, গাবতলী, বগুড়া।