উত্তর : উক্ত বক্তব্যের কোন ভিত্তি নেই। কারণ কোন সূত্র দ্বারা প্রমাণিত নয় যে, তিনি কোন হাদীছের কিতাব সংকলন করেছেন। মূলতঃ তিনি মুহাদ্দিছ ছিলেন না বরং ফক্বীহ ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) ফিক্বহের ক্ষেত্রে আবু হানীফা (রহঃ)-এর দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করলেও হাদীছ শাস্ত্রে তিনি ‘মিসকীন’ ছিলেন বলে অভিহিত করেছেন (ইবনু আবী হাতেম, আল-জারহু ওয়াত-তাদীল ৮/৪৫০; তাহযীবুত-তাহযীব ১০/৪৫০)। ইবনু হিববান বলেন,لم يكن الحديث صناعته حدث بمائة وثلاثين حديثا مسانيد، ماله حديث في الدنيا غيرها، ‘হাদীছ শাস্ত্র নিয়ে তার কাজ ছিল না। তিনি কেবল ১৩০টি মুসনাদ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। এর বাইরে দুনিয়াতে তাঁর কোন হাদীছ নেই। তন্মধ্যে ১২০টি হাদীছের বর্ণনাতে তিনি হয় সনদে কিংবা মতনে ভুল করেছেন (আল-মাজরূহীন ৩/৬৩)। ইমাম নাসাঈ বলেন, ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) হাদীছের ক্ষেত্রে শক্তিশালী ছিলেন না। হাদীছের স্বল্প বর্ণনার মধ্যেও তিনি অনেক ভুল-ভ্রান্তি করেছেন (রাসায়েল ফী উলূমিল হাদীছ ৭১ পৃ.)। বিশেষত বাগদাদে হাদীছ জালকরণের ফিৎনা ব্যাপক আকার ধারণ করায় ইরাক পরিণত হয়েছিল হাদীছ জালকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে। এমনকি ইরাককে বলা হ’তدار ضرب الحديث  বা ‘হাদীছ রচনার কেন্দ্র’। ইবনু খালদূন বলেন,أن أبا حنيفة لتشدده في شروط الصحة لم يصح عنده إلاّ سبعة عشر حديثاًً- ‘হাদীছের বিশুদ্ধতার শর্তসমূহ নির্ধারণে কঠোরতার কারণে আবু হানীফার নিকট মাত্র ১৭টি হাদীছ বিশুদ্ধ প্রমাণিত হয়েছে (মুক্বাদ্দামাহ ইবনু খালদূন ১/৪৪৪ পৃ.)। সম্ভবত এই সতর্কতা অবলম্বনের কারণেই তাঁর বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা কম (মোল্লা আলী ক্বারী, শরহ মুসনাদ আবী হানীফা ১/৯১; আবু যাহূ, আল-হাদীছ ওয়াল মুহাদ্দিছূন, ২৪০ পৃ.; আস-সিবাঈ, আস-সুন্নাহ ওয়া মাকানাতুহা ৪০৪ পৃ.)। 

প্রশ্নকারী : হেলালুদ্দীন, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া।






প্রশ্ন (৩৬/২৩৬) : মহিলাদের কণ্ঠে ইসলামী গান শোনা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (১৬/২১৬) : মসজিদে ক্বোবায় ছালাত আদায় করার বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২৯/৩৮৯) : ছেলে-মেয়ে অভিভাবক ছাড়া বিবাহের পর মেয়ের পিতা মেনে নিলেও নতুনভাবে আর বিবাহ হয়নি। কিছুদিন পর ছেলেটি মেয়েটিকে তালাক দিয়ে দেয়। এক্ষণে উক্ত বিবাহ বৈধ না হ’লে তালাক দেয়া সঠিক হয়েছে কি? সেক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ করে আবার সংসার করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/৩৪৯) : বিভিন্ন সূরা পাঠের ফযীলত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : মসজিদ আল্লাহর ঘর, তিনিই এর হেফাযত করে থাকেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা যুদ্ধের সময় দেখা যায় যে অনেক মসজিদও বিলীন হয়ে যায়। এর ব্যাখ্যা কী?
প্রশ্ন (২/৮২) : বাংলাদেশের বর্তমান আদালতগুলি বৃটিশ আইনে পরিচালিত হয়। এক্ষণে এখানে আইন পেশায় অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে কি? - -মিছবাহুল ইসলাম, পাবনা।
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : অসুস্থতা, দুর্বলতা বা অন্য কারণে দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তির জন্য কি ইমামতি করা বৈধ? এ ক্ষেত্রে মুক্তাদীগণ কিভাবে তার পেছনে ইক্তেদা করবে?
প্রশ্ন (৫/২৮৫) : কুরআন তেলাওয়াতের সময় সিজদার আয়াত পাওয়া গেলে কখন সিজদা করতে হবে? এ সময় কী দো‘আ পাঠ করতে হয়? - -হাসানুল হক, নওগাঁ।
প্রশ্ন (১৯/১৩৯): আমাদের আশেপাশে অনেক পীর-ফকীর আছে, যারা মানুষকে ঝাড়-ফুঁক করে থাকে এবং তাতে অনেক মানুষই আরোগ্য লাভ করে। ফলে মানুষ তাদের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখে। যদি তাদের কোন ক্ষমতা না থাকে তাহলে কিভাবে আরোগ্য লাভ করছে? এদের থেকে মানুষকে বাঁচানোর পথ কি?
প্রশ্ন (৫/১৬৫) : জনৈক ব্যক্তি তার সন্তানকে নিজের সন্তান হিসাবে পরিচয় দিতে অস্বীকার করে। এমতাবস্থায় সন্তানও পিতাকে পিতা হিসাবে স্বীকার করে না। এতে সন্তান কি গুনাহগার হবে? - -কাওছার রহমান, শিকটা, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৪/২৮৪) : মহিলারা পরপুরুষের সামনে সশব্দে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১২/২৯২) : বিভিন্ন ওয়ায মাহফিলে যে সম্মিলিতভাবে আখেরী মুনাজাত করা হয়, এরূপ কোন বিধান শরী‘আতে আছে কি? - আব্দুল্লাহ, রংপুর।
আরও
আরও
.