উত্তর : এ সকল বিদ্বানের কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক ফৎওয়াগুলো গ্রহণ করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে ফৎওয়া দেয়া হ’লে তার পাপের বোঝা ফৎওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে (ইবনু মাজাহ হা/৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৬০৬৯)। আবু হুরায়রা (রাঃ) ইবলীসের নিকট থেকে হাদীছ গ্রহণ করেছিলেন তা সঠিক হওয়ার কারণে (বুখারী হা/২৩১১; মিশকাত হা/২১২৩)। মুহাদ্দিছগণ অনেক ক্ষেত্রে বিদআ‘তী এবং শী‘আদের নিকট থেকেও হাদীছ গ্রহণ করেছেন, যদি তারা সত্যবাদী হয় এবং বাতিল মতবাদের গোঁড়া প্রচারক না হয়। যেমন ইমাম বুখারী আবান বিন তাগলিব ও আদী বিন ছাবিতের বর্ণনা গ্রহণ করেছেন, যদিও তারা শী‘আ হিসাবে সুপরিচিত। ইমাম যাহাবী এ বিষয়ে বলেন, فلنا صدقه وعليه بدعته ‘ আমাদের জন্য তার সত্যবাদিতা আর তার জন্য তার বিদ‘আত প্রযোজ্য’ (মীযানুল ই‘তিদাল ১/৫)। অতএব কোন আলেমের বিশেষ কোন বিষয়ে ভুল আক্বীদা থাকলে তা বর্জন করতঃ তার সঠিক ফৎওয়াগুলো গ্রহণ করা যাবে (উছায়মীন, লিকাউল বাবিল মাফতূহ ৩২/২২৫)। তবে সুস্পষ্ট বিদ‘আতী, পথভ্রষ্ট ও চরমপন্থীদের থেকে ইলম অন্বেষণ করা যাবে না। কেননা এটি ক্বিয়ামতের অন্যতম আলামত (ছহীহাহ হা/৬৯৫)।
প্রশ্নকারী : আহমাদুল্লাহ, জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা।