উত্তর : কুরবানীর জন্য কেমন পশু হ’তে বিরত থাকতে হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চার প্রকার পশু থেকে : স্পষ্ট খোঁড়া, স্পষ্ট কানা, স্পষ্ট রোগী ও জীর্ণশীর্ণ (আহমাদ হা/১৮৬৯৭, ১০৪৮, ১০৬১; তিরমিযী হা/১৪৯৭; ইবনু মাজাহ হা/৩১৪৪ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৪৬৫)। সুতরাং সাধারণ ত্রুটি যেমন অর্ধেক কান কাটা বা ছিদ্র করা, অর্ধেক শিং ভাঙ্গা বা কিছু দাঁত পড়ে যাওয়া পশু দিয়ে কুরবানী করা যায় (আহমাদ হা/১৮৫৩৩; ইবনু মাজাহ হা/৩১৪৩-৪৪; নাসাঈ হা/৪৩৬৯)। এছাড়া জন্মগতভাবে বা পরবর্তীতে লেজ কাটা অথবা জন্মগতভাবে শিং বা কান না থাকা পশু কুরবানী করা জায়েয (আশ-শারহুল মুমতে‘ ৭/৪৩৫, ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ১৩/৩৭২)। তবে নিখুঁত হওয়াই উত্তম (দ্র. ‘মাসায়েলে কুরবানী ও আক্বীক্বা’ বই, ৭ম সংস্করণ, ১৭-১৮ পৃ.)। আর টিউমারকে হাদীছে ত্রুটিযুক্ত পশুর তালিকায় বর্ণনা করা হয়নি। তবে পশুর যে সমস্ত রোগ মানব দেহে সংক্রমিত হয়, ঐসব রোগে আক্রান্ত পশু কুরবানী করা হ’তে বিরত থাকা কর্তব্য। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা ক্ষতি করোনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়োনা’ (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪১; ছহীহাহ হা/২৫০)।
প্রশ্নকারী : আনোয়ার হোসাইন, রহনপুর, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।