উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উপরে ভালো ও মন্দ দু’ধরনের শাসক আসবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে সে দায়িত্বমুক্ত হবে। যে ব্যক্তি তাকে অপসন্দ করবে, সে নিরাপত্তা লাভ করবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তার উপর রাযী থাকবে ও তার অনুসারী হবে। তখন ছাহাবায়ে কেরাম বললেন, আমরা কি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব না? জওয়াবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, না, যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে। না, যতক্ষণ তারা ছালাত আদায় করে’ (মুসলিম হা/১৮৫৪; মিশকাত হা/৩৬৭১)। অন্য হাদীছে এসেছে ‘প্রমাণ ভিত্তিক সুস্পষ্ট কুফরী না দেখা পর্যন্ত শাসকদের আনুগত্যমুক্ত হওয়া যাবে না’ (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৬৬৬)। কিন্তু এর অর্থ শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ফরয তা নয়। কারণ যুদ্ধ করার বিষয়টি শর্ত সাপেক্ষ। অন্যথায় তা আত্মহননের শামিল হবে। অন্য হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ... শাসকের কথা শুনো এবং তার আনুগত্য কর। যদিও তারা তোমার পিঠে আঘাত করে এবং তোমার সম্পদ ছিনিয়ে নেয় (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৫৩৮২)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তাদের হক তাদের দাও এবং তোমাদের হক আল্লাহর কাছে চাও’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ; মিশকাত হা/৩৬৭২)। ‘কেননা তাদের পাপ তাদের উপর এবং তোমাদের পাপ তোমাদের উপর বর্তাবে’ (মুসলিম; মিশকাত হা/৩৬৭৩)। তবে আল্লাহর নাফরমানীতে তার আনুগত্য করা যাবে না (তিরমিযী; মিশকাত হা/৩৬৯৬)

শাসক লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় করছে কিনা তা বাহ্যিকভাবে বুঝা সম্ভব নয়। কেননা কালেমা পড়ার পরও এক ব্যক্তিকে হত্যা করলে রাসূল (ছাঃ) উসামা বিন যায়েদকে ধমক দিয়ে বলেন, তুমি কি তার অন্তর ফেড়ে দেখেছ? (বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৪৫০)। সুতরাং লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ছালাত আদায় করলেও শাসকের আনুগত্য ত্যাগ করা যাবে না।






প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) বর্তমান আলু ও পিয়াজের আবাদ প্রচুর পরিমাণে হচ্ছে এবং ব্যবসায়ী পণ্য হিসাবেও চলছে। এর ওশর দিতে হবে কি?
প্রশ্ন (৪/২৮৪) : যারা গান-বাজনা, ঢোল-তবলাকে ইবাদতের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছে, তাদের পরিণাম কী হবে?
প্রশ্ন (৩৪/৪৩৪) : মাসিক আত-তাহরীক ১১তম বর্ষ অক্টোবর’০৭ সংখ্যার ৩০/৩০নং প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে ইমাম ডানে সালাম ফিরালে মাসবূক অবশিষ্ট ছালাত আদায়ের জন্য দাঁড়াবে। কিন্তু ১৩তম বর্ষ এপ্রিল’১০ সংখ্যার ১৪/২৫৪নং প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছে দুই সালামের পর মাসবূক দাঁড়াবে। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৯/১৯৯) : ওয়াইস ক্বারনী সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৮/৪০৮) : জনৈক প্রবাসীর গৃহে পাঠদানের সুবাদে গৃহকত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী হয়। পরবর্তীতে তার মেয়ের সাথে আমার সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পরও পূর্বের ন্যায় অনৈতিক সম্পর্ক চলতে থাকে। বর্তমানে আমি দুই সন্তানের পিতা। ছহীহ আক্বীদা গ্রহণ করার পর সব বুঝতে পেরে গত আড়াই বছর যাবৎ নিজ স্ত্রী থেকে দূরে রয়েছি। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২০/৩০০) : আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছে। তারা চাচ্ছে এখনই তাদের নামে জমি-জমা রেজিস্ট্রি করে দেই। এরূপ কাজ করা জায়েয হবে কি? - -ফয়ছাল শেখকিষাণগঞ্জ, বিহার, ভারত।
প্রশ্ন (৬/৪৬) : আমার স্বামী স্বেচ্ছায় আমার নামে কিছু জমি লিখে দিয়েছিল। এখন তার নিজ নামে নির্মিতব্য একটি বাড়ির নির্মাণ ব্যয় নির্বাহের জন্য উক্ত জমিটি আমার নিকট থেকে ফেরত নিয়ে বিক্রি করতে চাচ্ছে। এভাবে ফেরত নেওয়া কি তার জন্য ঠিক হবে? আর আমি যদি না দেই সেক্ষেত্রে আমি গোনাহগার হব কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা।
প্রশ্ন (৯/৮৯) : দেশ স্বাধীন করার লক্ষ্যে যারা জীবন দিয়েছেন এবং রাজনৈতিক নেতা মারা গেলে তাদের কবরে ফুল দিয়ে জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করা হয়। এটা কি শরী‘আত সম্মত? কাউকে শহীদ বলে আখ্যায়িত করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৬/৩২৬) : ছালাতের শুরুতে অনেকে বিসমিল্লাহ জোরে বলেন এবং রুকূ থেকে উঠে বুকে হাত বাঁধেন। এরূপ করলে ছালাত ক্ষতিগ্রস্ত বা বাতিল হবে কি?
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : কোন মুছল্ল­ী যদি জুম‘আর ছালাতের শেষ মুহূর্তে এসে হাযির হয়, তাহ’লে সে কিভাবে ছালাত আদায় করবে?
প্রশ্ন (৩৫/২৭৫) : একটি জাতীয় দৈনিকের ইসলামী প্রবন্ধে লেখা হয়েছে যে, শারঈ বিধান অনুযায়ী স্বামী তার স্ত্রীকে খাদ্য প্রস্ত্তত করতে বাধ্য করতে পারবে না। বক্তব্যটির শারঈ ভিত্তি আছে কি? - -মোবারক হোসাইনরাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : জনৈক আলেম বলেন, জানাযা ছালাতের পূর্বে ভাষণ দেওয়া যাবে। কারণ রাসূল (ছাঃ) ভাষণ দিয়ে কবরের অবস্থা বর্ণনা করেছেন। উক্ত দাবী কি সঠিক?
আরও
আরও
.