উত্তর : অমুসলিমদের হেদায়াত এবং সুস্থতার জন্য দো‘আ করা জায়েয (হায়তামী, তোহফাতুল মুহতাজ ২/৮৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১/১০৩)। ওক্ববা বিন ‘আমের আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বলেন, তিনি মুসলিমদের বেশভূষাধারী এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে গমনকালে সে তাকে সালাম দিল এবং তিনিও উত্তরে বলেন, তোমার প্রতিও আল্লাহর অনুগ্রহ ও প্রাচুর্য বর্ষিত হৌক। সাথের যুবক তাকে বলল, সে তো খৃস্টান। ওকবা (রাঃ) দাঁড়ালেন, অতঃপর লোকটির পিছে পিছে অগ্রসর হয়ে তাকে পেয়ে গেলেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর রহমত ও তাঁর প্রাচুর্য মুমিনদের উপর বর্ষিত হয়। কিন্তু আল্লাহ তোমাকে দীর্ঘজীবী করুন এবং তোমার ধন-সম্পত্তি ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দিন (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/১১১২; ইরওয়া হা/১২৭৪)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, জনৈক ইহূদী রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট দো‘আ চাইলে তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার ধন-সম্পদ ও সন্তানাদিতে বরকত দিন এবং দেহে সুস্থতাও বয়সে প্রশস্ততা দান করুন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৫৮২৪)। তবে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নিষিদ্ধ (তওবা ১১৩)।
প্রশ্নকারী : আব্দুছ ছবূর, মেলান্দহ, জামালপুর।