উত্তর : মুসলমান পুরুষের নামের আগে মুহাম্মাদ এবং মেয়েদের নামের আগে মুসাম্মাৎ লেখা বা বলার নিয়ম নবী করীম (ছাঃ), ছাহাবা ও তাবেঈনের যুগে ছিল না। এমনকি আরব দেশগুলোতে এখনও নেই। এই নিয়মটি ভারত উপমহাদেশেই বেশী প্রচলিত। তবে এরূপ করাতে কোন আপত্তি নেই। কেননা যতদূর জানা যায়, বৃটিশ ভারতে হিন্দুরা যখন ঢালাওভাবে হিন্দু-মুসলমান সবার নামের আগে শ্রী, শ্রীযুক্ত (যা তাদের নিকট সম্মান সূচক শব্দ) ইত্যাদি ব্যবহার করতে শুরু করে এবং রাষ্ট্রীয় নথিপত্রে ঐ শব্দগুলি যখন হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলমানদের নামের শুরুতে বসানো ব্যাপকতা লাভ করতে থাকে, তখন মুসলামানগণ নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার নিমিত্তে তাদের নামের শুরুতে পুরুষদের নামের আগে শ্রী প্রভৃতির পরিবর্তে ‘মুহাম্মাদ’ ও মহিলাদের নামের আগে শ্রীমতী-এর পরিবর্তে ‘মুসাম্মাৎ’ চালু করেন।

‘মুহাম্মাদ’ বসিয়ে নিজেকে নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর অনুসারী মুসলিম পরিচয় দেওয়া হয়। আর মুসাম্মাৎ-এর অর্থ হ’ল ‘নাম রাখা হয়েছে’। এই আরবী শব্দটিও মহিলার মুসলিম  হওয়ার সংকেত বহন করে।

অতএব আহমাদ ও আবুদাঊদ বর্ণিত হাদীছ ‘যে ব্যক্তি যে কওমের সদৃশ হবে, সে ব্যক্তি সেই কওমের অন্তর্ভুক্ত গন্য হবে’ (মিশকাত, ‘পোষাকঅধ্যায়, হা/৪৩৪৭, সনদ হাসান) এবং বুখারী ও অন্যান্য বর্ণিত হাদীছ ‘মুশরিকদরে বিপরীত কর’ অন্য বর্ণনায় ‘আহলে কিতাব ইহুদী-নাছারাদের বিপরীত কর’ (বুখারী পোষাকআম্বিয়াঅধ্যায়; মুসলিম, ‘পবিত্রতাপোষাকঅধ্যায়; নাসাঈ সৌন্দর্যঅধ্যায় প্রভৃতি) এর আলোকে হিন্দুদের শ্রী-এর বিপরীতে মুসলামানদের ‘জনাব’ এবং শ্রীযুক্ত ও শ্রীমান-এর বদলে মুসলমানদের ‘মুহাম্মাদ’ এবং শ্রীমতী-র বদলে ‘মুসাম্মাৎ’ ইসলামী স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় হিসাবে বলা যেতে পারে।






প্রশ্ন (২৩/৪৬৩) : প্রতিবছর সরকারী খরচে তথা জনগণের করের অর্থে কয়েকশ’ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী হজ্জ পালন করে থাকে। উক্ত অর্থ দ্বারা হজ্জ পালন করা জায়েয হবে কি? এছাড়া তা কবুলযোগ্য হবে কি? - -আবুল কালাম আযাদ, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : ফরয হজ্জ পালনের পূর্বে ওমরা করা যাবে কি? - -মাহবূবুর রহমান, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (১৬/২১৬) : বিভিন্ন প্রচার পত্র ও ইসলামী সম্মেলনের চাঁদা আদায়ের রশিদের শীর্ষে ‘৭৮৬’ লেখা দেখা যায়। এর অর্থ কি? এটা লেখা কি ছহীহ হাদীছ সম্মত?
প্রশ্ন (১১/২৯১) : জনৈক ব্যক্তি বলেন, হাদীছে রয়েছে, কোন খাবারের পাত্রে কুকুর মুখ দিয়ে খেলে সেখান থেকে খাবার ফেলে দিয়ে পাত্রের বাকি খাবার খাওয়া যাবে। কিন্তু ঐ পাত্রে যদি কোন বেনামাযী হাত দেয়, তাহ’লে ঐ পাত্রের খাবার খাওয়া যাবে না। উক্ত হাদীছ উদ্ধৃতিসহ সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৯/৩২৯) : হাশরের ময়দানে বিচারের পর সর্বপ্রথম জান্নাতী হবেন কোন ব্যক্তি?
প্রশ্ন (১২/২১২) : মসজিদের সামনে জনসাধারণের বসার স্থান তৈরী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : ছিয়াম অবস্থায় মযী নির্গত হ’লে বা নাকে পানি প্রবেশ করলে ছিয়াম ভেঙ্গে যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২৬৪) : শয়নকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে চুরি-ডাকাতি হ’তে নিরাপদ থাকা যায়। একথা কি ঠিক?
প্রশ্ন (২৭/১০৭) : জুম‘আর দিন আখেরী যোহর পড়তেই হবে, না পড়লে জুম‘আ আদায় হবে না। একথার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (২১/৪৬১) : হজ্জকারী ব্যক্তির নামের শুরুতে ‘আলহাজ্জ’ বা ‘হাজী’ লেখা হয় কেন? এগুলো লেখা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : বাহাউল্লাহ অর্থ কী? বাহাঈ মতবাদের প্রবর্তক কে? এটা কখন চালু হয়েছে? এ মতবাদের অনুসারীরা কি মুসলিম? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮) : দাফনের প্রাক্কালে নারী বা পুরুষ মাইয়েতের বুকের উপর নিজের হাত রেখে ইমাম ছাহেব ‘বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ বলবেন। এ বিধানের কোন সত্যতা আছে কি? - -আলী হোসাইন, সাহেব বাজার মাছপট্টি, রাজশাহী।
আরও
আরও
.