উত্তর : যেহেতু ব্যক্তির অন্য কোন পুরুষ ওয়ারিছ নেই। সেজন্য নাতির মেয়ে ও ছেলেরা ওয়ারিছ হবে। তবে নাতির স্ত্রী এই সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ হবে না। কারণ তার স্বামী উক্ত সম্পত্তির মালিক হওয়ার পূর্বে মারা গেছে। এক্ষণে নাতির দুই ছেলেকে ছেলে ও দুই মেয়ে ও নাতির এক মেয়েকে মেয়ে তথা দুই ছেলে ও তিন কন্যা ধরে সমুদয় সম্পত্তি ভাগ হবে। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, যায়েদ (রাঃ) বলেন, পুত্রের সন্তানাদি পুত্রের মতই, যখন তাকে ছাড়া আর কোন পুরুষ সন্তান না থাকে। নাতিগণ পুত্রদের মত আর নাতনীগণ কন্যাদের মত। পুত্রদের মত নাতনীগণও উত্তরাধিকারী হয়, আবার পুত্রগণ যেরূপ অন্যদেরকে বঞ্চিত করে নাতিগণও সেরূপ অন্যদেরকে বঞ্চিত করে। আর নাতিগণ পুত্রদের বর্তমানে উত্তরাধিকারী হয় না (বুখারী তা‘লীক্ব ‘ফারায়েয’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৭, ২২/২১৭ পৃ.)। তবে যদি ব্যক্তির পিতা-মাতা থাকত তাহ’লে দুই মেয়ে সমুদয় সম্পত্তির ২/৩ অংশ ও পিতা-মাতা ১/৬ অংশ করে পেয়ে পিতা আছাবা হিসাবে অবশিষ্ট সম্পত্তি পেয়ে যেতেন। যেহেতু মেয়েরা ব্যতীত অন্য কোন ওয়ারিছ নেই, সেকারণ নাতির ছেলে-মেয়েরা অংশ পেয়ে যাবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির নির্ধারিত অংশসমূহ হকদারগণকে পৌঁছে দাও। অতঃপর যা বেঁচে যাবে, সেগুলি (আছাবা সূত্রে) নিকটতম পুরুষ উত্তরাধিকারীদের দাও’ (বুখারী হা/৬৭৩২; মুসলিম হা/১৬১৫; মিশকাত হা/৩০৪২, ‘ফারায়েয ও অছিয়তসমূহ’ অধ্যায়)।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।