উত্তর :
সূরা আহযাবের ৬ আয়াতে বলা হয়েছে যে, নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের চেয়েও
অধিক ঘনিষ্ঠতর এবং তাঁর স্ত্রীগণ মুমিনগণের মাতা’। এখানে রাসূল (ছাঃ)-এর
স্ত্রীগণকে মা বলার কারণে রাসূল (ছাঃ) যে তাদের পিতা এটা বুঝায় না। বরং
এখানে মুমিনগণের নিকটে রাসূল (ছাঃ) কিরূপ প্রিয় হওয়া উচিত সে ব্যাপারে বলা
হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ মুমিন হ’তে পারবে না,
যতক্ষণ না আমি তার নিকটে প্রিয়তর হব তার
পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি ও দুনিয়ার সকল মানুষের চেয়ে’ (বুখারী হা/১৫)। এমনকি তার নিজের জীবনের চাইতে (বুখারী হা/৬৬৩২)। এখানে নবীর স্ত্রীগণকে উম্মতের মা বলে সম্মানিত করা হয়েছে এবং মায়ের মত মর্যাদা দিয়ে তাঁদেরকে বিবাহ করা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে।
আর সূরা কাওছারের ৩ আয়াতে রাসূল (ছাঃ)-কে কুফফারে কুরায়েশ কর্তৃক ‘নির্বংশ’ বলে আখ্যায়িত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়েছে যে, কেবল পুত্রসন্তানই পিতার বংশ রক্ষার একমাত্র মাধ্যম নয়। বরং কন্যা সন্তানের মাধ্যমেও আল্লাহ সে উদ্দেশ্য সাধন করতে পারেন। যেমন ফাতেমার সন্তান হাসান ও হোসায়েনের মাধ্যমে আল্লাহ সেটা করেছেন। দ্বিতীয়তঃ মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর রয়েছে এবং থাকবে চিরকাল ক্বিয়ামত পর্যন্ত লাখো-কোটি অনুসারী উম্মতে মুহাম্মাদী, যারা পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর নাম উচ্চারণ করবে, তাঁকে ভালবাসবে এবং তাঁর রেখে যাওয়া দ্বীন ইসলামের অনুসরণ করবে। সুতরাং এ আয়াত থেকে ভুল বুঝার কোন অবকাশ নেই। বরং প্রত্যেক নবীই স্ব স্ব উম্মতের নেতা। সে হিসাবে আমাদের নবী আখেরী যামানার উম্মতের ধর্মীয় নেতা। কারো রূহানী পিতা নন। বরং এ কথাটিই অবান্তর।