উত্তর : কথাটি
ঠিক নয়। তবে রাসূল (ছাঃ)-এর অনেক গুণবাচক নাম রয়েছে। যেমন তিনি বলেন,
‘আমার অনেকগুলো নাম আছে। আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমাদ। আমি মাহী; আমার দ্বারা
আল্লাহ সমস্ত কুফরী দূর করবেন। আমি হাশির; আমার পেছনে সমস্ত মানুষকে
একত্রিত করা হবে এবং আমি আকিব, যার পরে কোন নবী নেই (বুখারী হা/৪৮৯৬; মুসলিম হা/২৩৫৪; মিশকাত হা/৫৭৭৬)। অন্য বর্ণনায় তিনি নিজেকে নবীউর রহমাহ (রহমতের নবী), ‘নবীউত তওবাহ’, ‘নাবীউল মালহামাহ’ (যুদ্ধের নবী) বলে আখ্যায়িত করেছেন (আহমাদ হা/১৯৬৬৮; মুসলিম হা/২৩৫৫; মিশকাত হা/৫৭৭৭)। এছাড়া আল্লাহ তা‘আলা নবী করীম (ছাঃ)-কে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করেছেন। যেমন মুতাওয়াক্কিল (বুখারী হা/২১২৫),
মুবাশশির, হাদী, আমীন, মুয্যাম্মিল, শাহেদ, বাশীর, নাযীর ইত্যাদি। ইমাম
নববী, সুয়ূতী প্রমুখ বিদ্বানগণ কুরআনে উল্লেখিত নামসমূহকে তাঁর গুণবাচক নাম
বলে আখ্যায়িত করেছেন (তাহযীবু আসমাইল লুগাহ ১/৪৯; তানবীরুল হাওয়ালিক ১/২২৭)। কেউ কেউ রাসূল (ছাঃ)-এর এক হাযার নাম আছে বলে উল্লেখ করেছেন (মু‘জামুল মানাহিল লাফযিয়া ৩৬১ পৃঃ)। তবে তা কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়।