উত্তর : অন্য সময়ের ন্যায় ছালাত আদায়কালেও মেয়েরা পর্দা রক্ষার সুবিধার্থে তাদের চুল পিছনে বেণী বা খোঁপাবদ্ধ রাখতে পারে। এটা মেয়েদের পর্দা রক্ষা এবং ছালাতে খুশূ-খুযূ বজায় রাখার সহায়ক। তবে তাদের খোঁপা উটের কুঁজোর মত (كَأَسْنِمَةِ الْبُخْتِ) করে মাথার উপরে বাঁধা যাবে না। যেমনভাবে প্রাচীন যুগে মিসরীয় নারীরা বাঁধত। পর পুরুষকে আকৃষ্টকারী এইসব মহিলারা জাহান্নামী (মুসলিম, মিশকাত হা/৩৫২৪ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়; মিরক্বাত ৭/৯৬)

এক্ষণে ছালাতের সময় মুছল্লী তার ৭টি অঙ্গের (কপাল, দু’হাত, দু’হাঁটু ও দু’পায়ের আঙ্গুলের মাথা) উপরে সিজদা করবে  মর্মে ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের শেষাংশে যে বলা হয়েছে وَلاَ نَكْفِتَ الثِّيَابَ وَالشَّعَرَ ‘এবং আমরা যেন সিজদাকালে আমাদের কাপড় ও চুল গুটিয়ে না নেই’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা৮৮৭; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/৮২৭ ‘সিজদা ও তার মাহাত্ম্য’ অনুচ্ছেদ; নায়লুল আওত্বার ৩/২২ পৃঃ), উক্ত বিষয়টি পুরুষের জন্য খাছ, মহিলাদের জন্য নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর এই নিষেধাজ্ঞা না জানার কারণে অনেক পুরুষ মুছল্লী ছালাতের সময়ে তাদের মাথার চুল বেঁধে নিতেন। একদা ইবনু আববাস (রাঃ) জনৈক বদরী ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ (রাঃ) এর চুল খুলে দেন (ইবনু মাজাহ, আবুদাঊদ, তিরমিযী, নায়লুল আওত্বার ৩/২৩৫; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৮৬১ ছহীহ আবুদাঊদ হা/৬৪৬)। ইমাম শাওকানী উপরোক্ত হাদীছ দু’টির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,والحديثان يدلان علي كراهية صلاة الرجل وهو معقوص الشعر ‘হাদীছ দু’টি পুরুষের জন্য চুল বাঁধা অবস্থায় ছালাত আদায় করা মাকরূহ সাব্যস্ত করে। হাফেয ইরাকী বলেন, এটি পুরুষের জন্য খাছ, মেয়েদের জন্য নয়। কেননা তাদের চুলও সতরের অন্তর্ভুক্ত, যা ছালাত অবস্থায় ঢেকে রাখা ওয়াজিব। এছাড়াও খোঁপা বা বেণী খোলার মধ্যে তার জন্য বাড়তি কষ্ট ও ঝামেলা রয়েছে। অথচ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মেয়েদেরকে ফরয গোসলের মত গুরুত্বপূর্ণ সময়েও খোঁপা বা বেণী না খোলার অনুমতি দিয়েছেন (নায়লুল আওত্বার ৩/২৩৬-২৩৭ ‘পুরুষের জন্য চুল বাঁধা অবস্থায় ছালাত আদায়’ অনুচ্ছেদ)। শায়খ আলবানী বলেন, ويبدو أن هذا الحكم خاص بالرجال دون النساء ‘এটা স্পষ্ট যে, সিজদাকালে চুল খুলে দেওয়ার নির্দেশ শুধুমাত্র পুরুষের জন্য খাছ, মহিলাদের জন্য নয়’ (ছিফাতু ছালাতিন নবী পৃঃ ১২৫)

জমহূর বিদ্বানগণ বলেন, ‘পুরুষের জন্য মাথার চুল বাঁধা কেবল ছালাতের সময় নয় বরং সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। ইমাম নববী বলেন, এভাবেই ছাহাবায়ে কেরাম ও অন্যান্য বিদ্বানগণ থেকে বর্ণিত হয়েছে এবং এটাই সঠিক’ (মির‘আত ৩/২০৭ হা/৮৯৪-এর ব্যাখ্যা)






প্রশ্ন (৪/৩২৪) : আসমাউল হুসনা বা আল্লাহুর গুণবাচক নামসমূহ মুখস্থ করা কি আবশ্যিক?
প্রশ্ন (১/৪১) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর তাহাজ্জুদ ছালাতের রাক‘আত সংখ্যা ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চাই।
প্রশ্ন (১২/৪৫২) : গৃহপালিত পশু-পাখি যেমন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগীর পায়ের নখ বা ক্ষুর খাওয়া জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩২/৩২) : নামের শেষে আলী, মুরতাযা, হাসান, হোসাইন, ইত্যাদি যুক্ত করে নাম রাখলে গুনাহ হবে কি? - -আহমাদুল্লাহ, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : কোন কবরস্থান নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি, বংশ বা গ্রামবাসীর জন্য নির্ধারণ করা যাবে কি? - -আম্মার, নাটোর।
প্রশ্ন (২৩/১৮৩) : বহুল প্রচারিত একটি ইসলামী পত্রিকার প্রশ্নোত্তর কলামে বলা হয়েছে যে, কবরের সামনে দাঁড়িয়ে সূরা ইয়াসীন ও ফাতেহাসহ অন্যান্য সূরা পাঠ করা যাবে। এতে কবরের আযাব মাফ হবে এবং মৃত ব্যক্তি উক্ত তেলাওয়াতের নেকী পাবে। এ বক্তব্যের সত্যতা জানতে চাই। - -ডা. মীযানুর রহমান, আমতলা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৭/৪৭) : জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে একই মসজিদে একাধিকবার জুম‘আর ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/৪১৯) : আযান চলা অবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করলে আযানের উত্তর দেয়া উত্তম হবে না সুন্নাত পড়া উত্তম হবে?
প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) : বর্তমানে শরী‘আত বিরোধী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করা হচ্ছে। এ সমস্ত স্থানে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১/২৮১) : জনৈক লেখক বলেন যে, বাঁশির শব্দে ইবনু ওমর (রাঃ) কানে আঙ্গুল দেয়াতে গান হারাম হয়েছে তা বলা যায় না (সৌভাগ্যের পরশমণি)। আবার রাসূল (ছাঃ) নিজে কানে আঙ্গুল দিয়েছিলেন কিন্তু ইবনু ওমর (রাঃ)-কে তা করতে বলেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খলীফাদের যুগে বাদ্যযন্ত্র ও গান নিষেধ ছিল না; বরং তা উপভোগ করা হত (তাবারী)। তিনি আরো বলেন, কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যা গানকে হারাম করে। তাই ইবনে হাজার, ইবনু খাল্লিকান, জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী, গাযালী প্রমুখ বিদ্বানদের মতে বাদ্যযন্ত্রসহ গান শোনা বৈধ। যদি তা সৎ উদ্দেশ্যে এবং কল্যাণকর কথা হয়। উক্ত দাবীগুলো কি সত্য? সৌভাগ্যের পরশমণি’ এবং ‘এহইয়াউ উলূমিদ্দীন’ বইগুলো কি গ্রহণযোগ্য?
প্রশ্ন (৩৮/৭৮) : চোরাইপথে পণ্য আমদানী-রপ্তানীর ব্যবসা করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (২২/১০২) : ক্বিয়ামতের দিন মানবজাতির বিচার কি একদিনেই সম্পন্ন হবে না একাধিক দিনে? - -মুনীরুল ইসলাম, দারুশা, রাজশাহী।
আরও
আরও
.