
উত্তর : সম্পূর্ণ টাকার যাকাত দিতে হবে। কারণ সম্পদ যার মালিকানায় থাকবে তাকেই যাকাত দিতে হবে। তবে নিয়ম হচ্ছে যার ঋণ আছে সে প্রথমেই ঋণ পরিশোধ করবে। তারপর সম্পদ হিসাব করে যাকাত আদায় করবে। ওছমান (রাঃ) বলেন, ‘এটি (রামাযান) যাকাতের মাস। অতএব যদি কারো উপর ঋণ থাকে, তাহ’লে সে যেন প্রথমে ঋণ পরিশোধ করে। এরপর অবশিষ্ট সম্পদ নিছাব পরিমাণ হ’লে সে তার যাকাত আদায় করবে’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৮৭৩; ইরওয়া ৩/৩৪১, সনদ ছহীহ)। যদি ঋণ পরিশোধ না করে, তাহ’লে ঋণসহ যাকাতযোগ্য সব সম্পদের উপরেই যাকাত আদায় করতে হবে। তবে কারো আর্থিক সক্ষমতা না থাকলে ভিন্ন কথা। কেননা যাকাত প্রদানের শর্ত হ’ল তা আদায়ের সক্ষমতা থাকা (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/২৮)।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তাদের সম্পদ হ’তে ছাদাক্বা (যাকাত) গ্রহণ কর। যার দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশুদ্ধ করবে’ (তওবা ৯/১০৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে বললেন, তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে, ‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর তাদের সম্পদের মধ্য থেকে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরয করেছেন। যেটা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে’ (বুখারী হা/১৩৯৫)। এখানে ঐ ধনী ব্যক্তিরা ঋণগ্রস্ত কি-না, সেটা শর্ত করা হয়নি।
প্রশ্নকারী : ছাববীর আহমাদ, বগুড়া।