উত্তর : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে দু’টি (জ্ঞান) পাত্র সংরক্ষণ করেছি। যার একটি তো আমি প্রচার করে দিয়েছি। কিন্তু তার দ্বিতীয়টি যদি প্রচার করতাম, তাহ’লে আমার এই কণ্ঠনালী কাটা যেত’ (বুখারী হা/১২০; মিশকাত হা/২৭১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, তাঁকে বলা হ’ল, আপনি অধিক হাদীছ বর্ণনা করেন। তিনি বললেন, আমি রাসূল (ছাঃ) থেকে যা শুনেছি তার সবগুলো যদি বর্ণনা করতাম তাহ’লে তোমরা আমাকে পাথর মেরে হত্যা করতে; কোন অবকাশই দিতে না (আহমাদ হা/১০৯৭২, সনদ ছহীহ)। উপরোক্ত হাদীছে ছুফীবাদের পক্ষে কোন দলীল নেই। যেমনটি তারা বলে যে, আবু হুরায়রা (রাঃ) যা গোপন রেখেছিলেন তা ইলমে বাতেনী। আর বাতেনী ইলম বা নূর তাদের নিকটে রয়েছে। তাদের এ ধরনের দাবী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় বিদ্বানগণ বলেন, তা ছিল ফিৎনা সম্পর্কিত বিষয় বা তৎকালীন শাসকের বিরুদ্ধেছিল, যা প্রকাশ করলে তাকে হত্যা করা হ’ত। অথবা হয়ত এমন বিষয় ছিল যা গোপন রাখলে দ্বীনের কোন ক্ষতি হবে না বরং প্রকাশ করলে ফিৎনা বৃদ্ধি পাবে বলেই তিনি প্রকাশ করেননি। এমনকি যাদের হাত থেকে ইসলামী নেতৃত্ব হারিয়ে যাবে বলে রাসূল (ছাঃ) সাবধান করেছিলেন তাদের নামও তিনি জানতেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি আছ-ছাদিকুল মাছদূক (সত্যবাদী ও সত্যবাদী হিসাবে সত্যায়িত)-কে বলতে শুনেছি, ‘আমার উম্মতের ধ্বংস কুরাইশের কতিপয় বালকের হাতে হবে। তখন মারওয়ান বললেন, এ সকল বালকের প্রতি আল্লাহর লা‘নত বর্ষিত হোক। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি যদি বলার ইচ্ছা করি যে তারা অমুক অমুক গোত্রের লোক তাহ’লে তাদের নাম বলতে সক্ষম’ (বুখারী হা/৩৬০৫)। আমর বিন ইয়াহইয়া বলেন, মারওয়ান যখন সিরিয়ায় ক্ষমতাসীন  হ’লেন, তখন আমি আমার দাদার সঙ্গে সেখানে গেলাম। তিনি যখন তাদের অল্প বয়ষ্ক বালকদের দেখলেন তখন তিনি আমাদের বললেন, সম্ভবত এরা সেই দলেরই অন্তর্ভুক্ত। আমরা বললাম, এ বিষয়ে আপনিই ভাল বুঝেন (বুখারী হা/৭০৫৮)। এদের নামই আবু হুরায়রা (রাঃ) গোপন রেখেছিলেন। কোন ইলমে বাতেনী বা ওয়াহ্দাতুল অজূদ ছিল না (রশীদ রেযা, তাফসীরুল মানার ৬/৩৯০; তাহের আল-জাযায়েরী, তাওযীহুন নাযার ১/৬৩-৬৪)। এ ব্যাপারে ইমাম কুরতুবী বলেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) যা প্রকাশ করেননি এবং যা প্রকাশ করলে স্বীয় জীবনের জন্য ঝুঁকি মনে করছিলেন তা ছিল ফিৎনা সংক্রান্ত বিষয় এবং মুরতাদ ও মুনাফিকদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে দলীল। সেগুলো হেদায়াত ও বিধান সংশ্লিষ্ট ছিল না (তাফসীরে কুরতুবী ২/১৮৬)। হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) জ্ঞানের যে পাত্র উন্মুক্ত করেননি তার ব্যাখ্যায় ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, সে পাত্রে নিকৃষ্ট নেতাদের নাম, অবস্থা ও সময়কাল স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। অবশ্য আবু হুরায়রা (রাঃ) কোন কোন সময় তাদের উপনাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু জীবনের ভয়ে স্পষ্ট করে নাম উল্লেখ করেননি। যেমন তিনি দো‘আয় বলতেন, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ষাট হিজরী থেকে আশ্রয় চাই। বালকদের নেতৃত্ব থেকে আশ্রয় চাই। এর দ্বারা তিনি ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়ার খেলাফতের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন। কারণ তিনি ষাট হিজরীতে খেলাফত লাভ করেন। আল্লাহ তার দো‘আ কবুল করেন। তিনি ঊনষাট হিজরীতে মারা যান (ফাৎহুল বারী ১/২১৬)। অতএব উক্ত হাদীছে ছূফীবাদের পক্ষে কোন দলীল নেই।






প্রশ্ন (১০/৩৭০) : সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ব্যবসা করা বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (৫/২০৫) : শিশুরা বিভিন্ন বিপদাপদে পতিত হ’লে যেমন উঁচু স্থান থেকে পড়ে গেলে ফেরেশতারা তাদের রক্ষা করে- এ কথার কোন সত্যতা আছে কি? - -আমীনুল ইসলাম, কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : জনৈক ব্যক্তি পবিত্র কুরআন নিয়ে দৃঢ়ভাবে শপথ করে যে, আল্লাহর কসম! আমি বাকী জীবনে এই পাপ আর করব না। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পুনরায় ঐ পাপে লিপ্ত হ’লে তার হুকুম কী?
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩) : নবী করীম (ছাঃ)-এর দেহে খাতমে নবুঅতের চিহ্ন কোথায় ছিল এবং তা কেমন ছিল? কোন কোন ছাহাবী তা চুমু দিয়েছিলেন বলে যা প্রচলিত রয়েছে। এর সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (২১/১৪১) : একই মসজিদে কোন ওয়াক্তে একজন আযান দিল এবং প্রয়োজনে সে বাইরে গেল। এই ফাঁকে আরেকজন এসে পুনরায় আযান দিল। এক্ষণে করণীয় কি?
প্রশ্নঃ (৩৬/৩৫৬) : বিবাহের পূর্বে অবৈধ সম্পর্ক হ’লে বিবাহের পর ঐ পাপ মাফ হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/১৩৫) : একই আমল একাধিক নিয়তে করা যাবে কি? যেমন আইয়ামে বীযের নফল ছিয়ামের দিন সোম বা বৃহস্পতিবারের ছিয়াম রাখা। এছাড়াও অন্যান্য অনেক আমল রয়েছে। যার ফযীলত ভিন্ন ভিন্ন।
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : খ্রিষ্টানদের পরিচালিত কলেজ হওয়ায় সব জায়গায় ক্রুশের ছবি রয়েছে। এক্ষণে কলেজে অবস্থানরত সময়ে ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -এ.বি.এম রিফাত, নটরডেম কলেজ, ঢাকা।
প্রশ্ন (২৯/৩৪৯) : আমরা (৬) ছয় বোন ও চার (৪) ভাই। বাবা-মা উভয়েই বেঁচে আছে। আববার নামে ২৪ ও মায়ের নামে ২ বিঘা মোট ২৬ বিঘা জমি আছে। ভাইয়েরা জমি বোনদেরকে দিতে চাচ্ছে না। মায়ের জমিটুকু দিতে চাচ্ছে। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে কে কতটুকু পাবে? আল্লাহ্র বিধান অনুযায়ী বণ্টন না করলে তার পরিণাম কী জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৭/৪৬৭) : হাদীছে উত্তমরূপে ওযূ করে কেবল ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আগমনকারীর জন্য বিশেষ পুরস্কারের কথা বর্ণিত হয়েছে। এর ব্যাখ্যা ও তাৎপর্য কি? - -যহীর শেখ, আসাম, ভারত।
প্রশ্ন (২৯/৬৯) : আমরা হানাফী মসজিদে ছালাত আদায় করতাম। সেখানে ছালাত আদায়ে সুন্নাতী আমল করতে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হ’তে হয়। এক্ষণে সাময়িকভাবে জনৈক ব্যক্তির অনুমতিক্রমে তার জমিতে জুম‘আ ও অন্যান্য ছালাত আদায় করা যাবে কী?
প্রশ্ন (২০/২০) : ছালাতে দ্বিতীয় রাক‘আতে শামিল মুক্তাদীর জন্য তা প্রথম রাক‘আত হিসাবে গণ্য হয়। এক্ষণে এ রাক‘আতে যে তাশাহহুদ পাওয়া যাবে সেখানে দো‘আ-দরূদ পড়া যরূরী কি?
আরও
আরও
.